পৃথিবীর কেন্দ্রে কোন ধাতু সবচেয়ে বেশি?
A
অ্যালুমিনিয়াম
B
লোহা
C
কপার
D
ম্যাগনেসিয়াম
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল (Core) মূলত লোহা (Fe) দ্বারা গঠিত, সাথে কিছু পরিমাণ নিকেল (Ni) এবং হালকা উপাদান যেমন সালফার, অক্সিজেন ইত্যাদি থাকে।
পৃথিবীর কেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য:
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে গভীরতার সাথে তাপমাত্রা ও চাপ বৃদ্ধি পায়।
-
গড়ে প্রতি ১ কিলোমিটার গভীরতায় প্রায় ২৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
-
পৃথিবীর কেন্দ্র প্রায় সম্পূর্ণই ধাতব, প্রধানত লোহা (Fe) ও নিকেল (Ni); এজন্য কেন্দ্রকে সংক্ষেপে বলা হয় NiFe (Nickel + Iron)।
-
পৃথিবীর মোট ভরের ৯০% গঠিত লোহা (Fe), অক্সিজেন (O), সিলিকন (Si), ম্যাগনেসিয়াম (Mg) দ্বারা, যা মূলত silicate minerals তৈরি করে।
-
পৃথিবীর ভরের ৮৫–৯০% লোহা মূলত কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত।
পৃথিবী গঠনের স্তরসমূহ (প্রায় ৪.৫৬ বিলিয়ন বছর আগে):
-
Core (কেন্দ্র): ধাতব উপাদানে সমৃদ্ধ।
-
Mantle: সিলিকেট সমৃদ্ধ।
-
Crust: খনিজে বৈচিত্র্যময়, আয়তনে খুব পাতলা।
0
Updated: 1 month ago
উদ্ভিদ কোষে কোন অঙ্গাণুটি থাকে না?
Created: 1 month ago
A
কোষপ্রাচীর
B
প্লাস্টিড
C
সেন্ট্রোসোম
D
কোষগহ্বর
উদ্ভিদ কোষ প্রাণী কোষের তুলনায় কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করে। এগুলো কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড, খাদ্য সঞ্চয় ও অঙ্গাণুর উপস্থিতি ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে চিহ্নিত করা যায়।
উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য:
-
উদ্ভিদ কোষের চারদিকে সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত কঠিন কোষপ্রাচীর থাকে এবং এর নিচে থাকে প্লাজমা ঝিল্লী।
-
অধিকাংশ উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড থাকে। তবে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ায় প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
-
উদ্ভিদ কোষে খাদ্যসঞ্চয় প্রধানত শ্বেতসার (স্টার্চ) আকারে হয়।
-
সাধারণত উদ্ভিদ কোষে সেন্ট্রোসোম থাকে না, তবে কিছু শৈবাল, মস ও ছত্রাকে সেন্ট্রোসোম দেখা যায়।
-
এ কোষে সাধারণত বড় আকারের এক বা একাধিক স্থায়ী কোষগহ্বর (ভ্যাকুয়োল) থাকে।
-
পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ কোষের আকৃতি সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে।
-
প্লাজমা পর্দায় মাইক্রোভিলাই অনুপস্থিত।
-
নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের পরিধি বরাবর অবস্থান করে।
-
কেবলমাত্র ভাজক কোষেই লাইসোসোম থাকে।
-
উদ্ভিদ কোষে স্নেহ পদার্থ বা লিপিড তরল অবস্থায় সঞ্চিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন খাদ্য উপাদান দেহে সবচেয়ে বেশি তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে?
Created: 1 month ago
A
শর্করা
B
স্নেহ
C
আমিষ
D
খনিজ লবণ
খাদ্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত, যেগুলোকে খাদ্য উপাদান বলা হয়। এই উপাদানগুলোর মধ্যেই পুষ্টি থাকে, তাই এগুলোকে পুষ্টি উপাদানও বলা হয়। উপাদানের ভিত্তিতে খাদ্যবস্তুকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।
-
আমিষ: দেহের বৃদ্ধি সাধন করে এবং ক্ষয়পূরণে সহায়তা করে।
-
শর্করা: দেহে শক্তি উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা রাখে।
-
স্নেহ: চর্বিজাতীয় খাদ্য হিসেবে দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে।
-
ভিটামিন (খাদ্যপ্রাণ): দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্দীপনা যোগায়।
-
খনিজ লবণ: দেহের বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
-
পানি: দেহে পানি ও তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে, কোষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ ও অঙ্গাণুগুলোকে ধারণ করে।
-
রাফেজ (খাদ্য আঁশ): পুষ্টি সরবরাহ না করলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা পানি শোষণ করে, মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং বৃহদন্ত্র থেকে মল নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
0
Updated: 1 month ago
জীবের ভ্রূণ গঠন ও বিকাশ নিয়ে জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় আলোচনা হয়?
Created: 1 month ago
A
Cytology
B
Physiology
C
Morphology
D
Embryology
জীববিজ্ঞানকে জীবের বৈশিষ্ট্য বা জীববিজ্ঞানের কোন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নরূপ:
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology):
-
এ শাখায় জীবের গঠন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাহ্যিক গঠনকে বহিঃঅঙ্গসংস্থান (External morphology) এবং অভ্যন্তরীণ গঠনকে অন্তঃঅঙ্গসংস্থান (Internal morphology) বলা হয়।
-
-
শারীরবিদ্যা (Physiology):
-
জীবের শ্বসন, রেচন, প্রজনন, পরিপাক ও আত্তীকরণ এবং সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণসহ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
ভ্রূণবিদ্যা (Embryology):
-
ভ্রূণ সৃষ্টি ও বিকাশের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবের সৃষ্টি হয়।
-
জীবের ভ্রূণ গঠন ও বিকাশ নিয়ে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
কোষবিদ্যা (Cytology):
-
জীবদেহের গঠন ও কার্যপ্রণালীর মৌলিক একক হলো কোষ।
-
কোষ ও কোষাঙ্গাণুর গঠন, কাজ এবং বিভাজন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics):
-
মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তানে স্থানান্তরিত হয়।
-
বংশগতি সংক্রান্ত ধারাগুলো এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology):
-
জীবসমূহ যে পরিবেশে বাস করে এবং সেই পরিবেশের সঙ্গে জীবসমূহের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
বিবর্তন (Evolution):
-
আদি কালের জীব বর্তমান কালের জীবের চেয়ে ভিন্ন ছিল; কালের বিবর্তনের মাধ্যমে তারা বর্তমান পর্যায়ে এসেছে।
-
জীবসমূহের সূচনা ও বিবর্তন নিয়ে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago