পৃথিবীর কেন্দ্রে কোন ধাতু সবচেয়ে বেশি?
A
অ্যালুমিনিয়াম
B
লোহা
C
কপার
D
ম্যাগনেসিয়াম
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীর
কেন্দ্রস্থল
(Core) মূলত
লোহা
(Fe) দ্বারা
গঠিত,
সাথে কিছু পরিমাণ নিকেল (Ni) ও হালকা উপাদান (যেমন সালফার, অক্সিজেন ইত্যাদি) থাকে।
পৃথিবীর কেন্দ্র:
- পৃথিবীর অভ্যন্তরে গভীরতার সাথে তাপমাত্রা ও
চাপ বৃদ্ধি পায়।
- গড়ে প্রতি ১ কিলোমিটার গভীরতায়
প্রায় ২৫° সেলসিয়াস (অথবা
প্রতি ২১.৩ মিটার
গভীরতায় ১° ফারেনহাইট) তাপমাত্রা
বৃদ্ধি ঘটে।
- পৃথিবীর কেন্দ্র প্রায় সম্পূর্ণই ধাতব; প্রধানত লোহা (Fe) ও নিকেল (Ni)। এজন্য কেন্দ্রকে সংক্ষেপে বলা হয় NiFe (Nickel + Iron)।
- পৃথিবীর মোট ভরের ৯০%
গঠিত লোহা (Fe), অক্সিজেন (O), সিলিকন (Si), ম্যাগনেসিয়াম (Mg) দ্বারা। এরা মূলত silicate minerals তৈরি করে।
- পৃথিবীর ভরের ৮৫–৯০%
লোহা (Iron) মূলত কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত।
পৃথিবী গঠনের (প্রায় ৪.৫৬ বিলিয়ন বছর আগে) অল্প সময় পরই ভিন্ন ভিন্ন স্তরে বিভক্ত হয়েছিল—
Core (কেন্দ্র): ধাতব উপাদানে সমৃদ্ধ।
Mantle: সিলিকেট সমৃদ্ধ।
Crust: খনিজে বৈচিত্র্যময়, কিন্তু আয়তনে খুব পাতলা।

0
Updated: 17 hours ago
দৃশ্যমান আলোর মধ্যে কোন বর্ণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 5 days ago
A
কমলা
B
লাল
C
সবুজ
D
বেগুনি
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ হলো তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির একটি ক্ষুদ্র অংশ, যা মানুষের চোখে দেখা যায়। এটিকে দৃশ্যমান বিকিরণও বলা হয়। এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার পর্যন্ত।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে আলো বিভিন্ন বর্ণে দেখা যায়।
-
এ বর্ণগুলো হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, আর লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হয়, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
অতিরিক্ত তথ্য: মানুষের চোখ সাধারণত 380 nm (3.8×10⁻⁷ মি) থেকে 750 nm (7.5×10⁻⁷ মি) পর্যন্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শনাক্ত করতে পারে। এর বাইরে থাকা অতিবেগুনি ও অবলোহিত তরঙ্গ খালি চোখে দেখা যায় না।

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে?
Created: 6 days ago
A
ভূমিকম্প
B
বন্যা
C
ঘূর্ণিঝড়
D
বজ্রপাত
সুনামি শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যেখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ। অর্থাৎ সুনামি বলতে বোঝায় বন্দরের ঢেউ। এটি এক ধরনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
-
সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনার কারণে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে।
-
এই দুর্যোগ কেবল সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি ঘটে।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে একটি মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।
-
এই সুনামিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই নিহত হয় প্রায় এক লাখ মানুষ।
-
সুনামি অগভীর পানির দিকে আসতে থাকলে ধীরে ধীরে তার শক্তি কমতে থাকে।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বিস্তৃত থাকায় বাংলাদেশ সুনামির বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।

0
Updated: 6 days ago
নিচের কোনটি প্রাইমারি দূষক হিসেবে কাজ করে?
Created: 17 hours ago
A
সালফার ডাই-অক্সাইড
B
সালফার ট্রাই-অক্সাইড
C
ওজোন
D
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড
দূষক (Pollutant):
- কোনো পদার্থ পরিবেশে তার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রাচুর্য অপেক্ষা অধিক পরিমাণে উপস্থিত থেকে মনুষ্যজাতি অথবা অন্যান্য জীবের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করলে ঐ পদার্থটিকে দূষক বলা হয়।
- বায়ুতে সল্পমাত্রায়
(0.1 ppm) CO থাকে।
- কিন্তু এর পরিমাণ বেড়ে
(40 ppm) বা তার বেশি হলে এটি দূষক হিসেবে বিবেচিত হয়।
- দূষক দুই প্রকার।
যথা-
১। প্রাথমিক (প্রাইমারী) দূষক ও
২। গৌণ (সেকেন্ডারী) দূষক।
প্রাইমারী দূষক:
- যেসব দূষক কোনো উৎস হতে নির্গত হয়ে সরাসরি অপরিবর্তিত অবস্থায় পরিবেশে আসে তাদের প্রাইমারী দূষক বলা হয়।
যেমন- SO2, CO, CO2,
NOx হাইড্রোকার্বনসমূহ, ছাই, ধূলিকণা ইত্যাদি।
সেকেন্ডারী দূষক:
- এই প্রকারের দূষক কোনো উৎস থেকে সরাসরি পরিবেশে আসে না।
- পরিবেশেস্থিত দূষকগুলির পারস্পরিক বিক্রিয়ায় বা প্রাথমিক
উৎস: রসায়ন দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 17 hours ago