মানুষের শরীরে সবচেয়ে বড় গ্রন্থি কোনটি?
A
লিভার
B
থাইরয়েড
C
কিডনি
D
প্যানক্রিয়াস
উত্তরের বিবরণ
লিভার বা যকৃত হলো মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ গ্রন্থি।
যকৃত সম্পর্কিত তথ্য:
-
যকৃত মানবদেহের সর্ববৃহৎ গ্রন্থি।
-
এটি মধ্যচ্ছদার নিচে, পাকস্থলীর ডানপাশে অবস্থিত এবং গাঢ় বাদামী রঙের ত্রিকোণাকার আকারের।
-
যকৃতের সাথে সংযুক্ত থাকে কলস আকৃতির পিত্তথলি।
-
যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস পিত্তথলিতে জমা হয়।
-
পিত্তরস ক্ষারীয় গুণসম্পন্ন, গাঢ় সবুজ রঙের এবং তিক্ত স্বাদযুক্ত।
-
পিত্তনালির মাধ্যমে পিত্তরস যকৃত থেকে ডিওডেনামে প্রবাহিত হয়।
-
যকৃতের মধ্যে বিভিন্ন রকম জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, তাই এটিকে রসায়ন গবেষণাগার হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
অন্যান্য অপশনসমূহ:
-
থাইরয়েড: গলায় অবস্থানকারী অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি, থাইরক্সিন হরমোন নিঃসরণ করে।
-
কিডনি: গ্রন্থি নয়, এটি রক্ত পরিশোধক অঙ্গ।
-
প্যানক্রিয়াস: মিশ্র গ্রন্থি (Exocrine + Endocrine), তবে আকারে লিভারের তুলনায় অনেক ছোট।
0
Updated: 1 month ago
বংশগতির বাহক জিনের রাসায়নিক কী দিয়ে তৈরি?
Created: 1 month ago
A
অ্যামিনো অ্যাসিড
B
কার্বোহাইড্রেট
C
ডিএনএ
D
ফ্যাটি অ্যাসিড
জিন হলো DNA-এর একটি অংশ, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য বহন করে। DNA একটি নিউক্লিক অ্যাসিড, যার ভেতরে চারটি নাইট্রোজেন বেস (A, T, G, C) নির্দিষ্ট ক্রমে সাজানো থাকে, যা জিনগত তথ্য নির্ধারণ করে।
মানবদেহে নিউক্লিক অ্যাসিড:
-
দুই ধরনের নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে: DNA এবং RNA।
-
DNA-এর পূর্ণরূপ: Deoxyribonucleic Acid।
-
RNA-এর পূর্ণরূপ: Ribonucleic Acid।
DNA-এর বৈশিষ্ট্য:
-
জিনের রাসায়নিক গঠন DNA দ্বারা নির্ধারিত।
-
এটি একটি নিউক্লিক এসিড, যা জীবদেহের গঠন ও কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য জিনগত নির্দেশাবলী ধারণ করে।
-
DNA হলো দ্বিসূত্রক বিশিষ্ট পলিনিউক্লিয়োটাইডের সর্পিলাকার গঠন, আকৃতিতে অনেকটা প্যাঁচানো সিঁড়ির ন্যায়।
-
১৯৫৩ সালে জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক DNA অণুর গঠন আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে অক্সিজেন পরিবহনের কাজ কোন রক্তকণিকা করে?
Created: 1 month ago
A
শ্বেত রক্তকণিকা
B
অণুচক্রিকা
C
লোহিত রক্তকণিকা
D
প্লাজমা
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন থাকে, যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে। তাই অক্সিজেন পরিবহনের মূল কাজ লোহিত রক্ত কণিকা (RBC) করে।
রক্ত (Blood):
-
রক্ত একটি অস্বচ্ছ তরল পদার্থ।
-
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
-
রক্ত হৃদপিণ্ড, শিরা, উপশিরা, ধমনি, শাখা ধমনি ও কৈশিকনালি পথে আবর্তিত হয়।
-
এটি ক্ষারধর্মী এবং লবণাক্ত স্বাদযুক্ত।
-
সাধারণত হাড়ের লাল অস্থিমজ্জা (Bone marrow)-তে রক্ত কণিকার জন্ম হয়।
-
রক্ত মূলত রক্তরস ও রক্ত কণিকার সমন্বয়ে গঠিত।
রক্তের প্রধান কাজ:
-
অক্সিজেন পরিবহন: লোহিত রক্ত কণিকা কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারণ: নিঃশ্বাসের মাধ্যমে দেহের CO2 বাইরে বের করা।
-
খাদ্যসার পরিবহন: রক্তরস গ্লুকোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও চর্বি কণা কোষে সরবরাহ করে।
-
তাপের সমতা রক্ষা: দেহের সর্বত্র তাপের সমতা বজায় রাখে।
-
বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন: রক্ত দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ বহন করে, যা ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড ও CO2 হিসেবে নিষ্কাশিত হয়।
-
হরমোন পরিবহন: হরমোন রক্তে মিশে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত হয়।
-
রোগ প্রতিরোধ: শ্বেত রক্ত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণুর আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
-
রক্ত জমাট বাঁধা: অণুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
0
Updated: 1 month ago
অণুচক্রিকার প্রধান কাজ কী?
Created: 1 month ago
A
রক্তরস তৈরি
B
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
C
রোগ প্রতিরোধ
D
অক্সিজেন পরিবহন
রক্ত ঘন লাল রঙের এক ধরনের তরল পদার্থ যা একটি তরল যোজক টিস্যু হিসেবে কাজ করে। এর স্বাদ সামান্য ক্ষারধর্মী। রক্ত প্রধানত দুইটি উপাদান দিয়ে গঠিত— রক্তরস ও রক্তকণিকা।
রক্তকণিকা তিন প্রকারের হয়।
ক. লোহিত রক্তকণিকা (RBC)
-
রক্তের লাল রঙের জন্য লোহিত রক্তকণিকা দায়ী, কারণ এতে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকে।
-
হিমোগ্লোবিনের সাথে অক্সিজেন যুক্ত হয়ে তা দেহকোষে পৌঁছে দেয়।
-
এর আকার চাকতির মতো গোলাকার ও উভঅবতল (দুই পৃষ্ঠে খাদযুক্ত)।
-
পরিণত লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত।
-
এগুলো যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
খ. শ্বেত রক্তকণিকা (WBC)
-
আকারে লোহিত রক্তকণিকার তুলনায় বড়ো ও অনিয়মিত আকারের।
-
এতে নিউক্লিয়াস বিদ্যমান এবং এগুলো প্লীহা ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
-
এরা রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
-
দেহকে রক্ষা করার কারণে শ্বেত রক্তকণিকাকে সৈনিকের সাথে তুলনা করা হয়।
গ. অণুচক্রিকা (Platelet)
-
আকারে লোহিত রক্তকণিকার চেয়ে ছোটো, দেখতে গোলাকার বা বৃত্তাকার।
-
এদের নিউক্লিয়াস থাকে না এবং সাধারণত গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উৎপত্তি হয় লোহিত অস্থিমজ্জায়।
-
দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই এদের প্লেটলেট বলা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য: একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ লোহিত রক্তকণিকা, ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা এবং ২ লাখ থেকে ৪ লাখ অণুচক্রিকা থাকে।
0
Updated: 1 month ago