আধুনিক পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহ কোন ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে?
A
পারমাণবিক ভর
B
পারমাণবিক সংখ্যা
C
যোজন ইলেকট্রন
D
আয়নীকরণ শক্তি
উত্তরের বিবরণ
আধুনিক
পর্যায় সারণি (Modern Periodic
Table) মূলত মোজলি (Henry Moseley, 1913)-এর প্রস্তাবিত নীতি অনুসারে সাজানো। তিনি প্রমাণ করেন যে, মৌলের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে পারমাণবিক সংখ্যা (proton সংখ্যা) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই পর্যায় সারণিতে মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির ক্রমানুসারে সাজানো হয়েছে।
আধুনিক পর্যায় সারণি:
- আবিষ্কৃত মৌল সমূহকে তাদের
ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলির
সামঞ্জস্য রেখে যে সারণিতে
পর্যায় ক্রমে স্থান দেয়া হয়েছে তাকে পর্যায় সারণি
(Periodic table) বলে।
- আধুনিক পর্যায় সারণিতে (Modern Periodic
Table) মৌলগুলোর পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যার ক্রম অনুসারে সাজানো
হয়েছে।
- ১৯১৩ সালে মোসলে পারমাণবিক ভরের পরিবর্তে পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারী মৌলগুলোকে পর্যায় সারণিতে সাজানোর প্রস্তাব দেন।
- এর পূর্বে মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণিতে মৌলগুলো তাদের পারমাণবিক ভর অনুযায়ী সাজানো
ছিলো।
• আধুনিক
পর্যায় সারণির বৈশিষ্ট্য:
- পর্যায় সারণির মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক সংখ্যা (প্রোটন সংখ্যা) অনুসারে সাজানো হয়।
- পর্যায় সারণিতে 18টি গ্রুপ এবং
7টি পর্যায় রয়েছে।
- একটি গ্রুপ হল পর্যায় সারণীর
উল্লম্ব কলাম, যা মৌলের ইলেকট্রন
বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে
গঠিত।
- একটি পর্যায় হল পর্যায় সারণীর
অনুভূমিক সারি।
- প্রতিটি পর্যায় বামদিকের গ্রুপ ১ থেকে শুরু
করে ডানদিকে গ্রুপ ১৮ পর্যন্ত বিস্তৃত।
- মূল পর্যায় সারণির নিচে ল্যান্থানাইড ও
অ্যাক্টিনাইড সারির মৌল হিসেবেও দেখানো
হলেও এগুলো যথাক্রমে ৬ এবং ৭
পর্যায়ের অংশ।

0
Updated: 17 hours ago
সালোকসংশ্লেষণের প্রধান উপজাত (by-product) কী?
Created: 6 days ago
A
পানি
B
অক্সিজেন
C
নাইট্রোজেন
D
কার্বন ডাই-অক্সাইড
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া
সালোকসংশ্লেষণ হলো একটি জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদ সবুজ পাতার ক্লোরোফিল রঞ্জকের সাহায্যে সূর্যালোক ব্যবহার করে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি থেকে খাদ্য তৈরি করে।
-
প্রক্রিয়ায় প্রধান খাদ্য উপাদান হিসেবে শর্করা উৎপন্ন হয়, যা সাধারণত স্টার্চ (মাড়) আকারে উদ্ভিদদেহে সঞ্চিত থাকে।
-
প্রাণিদেহে অতিরিক্ত শর্করা গ্লাইকোজেন আকারে যকৃত ও পেশিতে জমা থাকে।
-
সালোকসংশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত (by-product) হলো অক্সিজেন, যা পরিবেশে নিঃসরণ হয়ে প্রাণীর জীবনধারণে সহায়ক।
রাসায়নিক সমীকরণ:
6CO₂ + 6H₂O + আলো → C₆H₁₂O₆ + 6O₂

0
Updated: 6 days ago
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশবিশেষকে বাংলায় কী বলা হয়?
Created: 6 days ago
A
ছায়াপথ
B
ধূমকেতু
C
উল্কাপিন্ড
D
নক্ষত্রমালা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও সৌরজগত:
সুদূর আকাশে বায়বীয় পদার্থ এবং গ্যাসপূর্ণ স্বল্পআলোকিত মেঘের মতো আস্তরণকে গ্যালাক্সি বলা হয়। আমাদের সৌরজগত হলো মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশ, যা বাংলায় ছায়াপথ নামে পরিচিত। এই ছায়াপথটি অসংখ্য গ্রহ ও নক্ষত্রের সমন্বয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
ধূমকেতু (Comet):
-
ধূমকেতু হলো এক ধরনের জ্যোতিষ্ক।
-
এর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: মস্তক (Head) বা কেন্দ্র এবং পুচ্ছ (Tail)।
-
কোনো কোনো ধূমকেতুর মস্তক গ্রহের তুলনায় বড় হতে পারে।
-
ধূমকেতুর সুদীর্ঘ পুচ্ছ গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত।
-
অধিকাংশ ধূমকেতু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহসমূহের আবর্তন পথের উল্টো দিকে চলে।
-
উদাহরণ: হ্যালির ধূমকেতু (Halley's Comet) প্রতি ৭৬ বছর অন্তর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়।
উল্কা ও উল্কাপিন্ড (Meteors & Meteoroids):
-
উল্কা হলো মহাশূন্যে বিচরণরত ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন বস্তু।
-
ক্ষুদ্র উল্কাপিন্ড যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন এটি উল্কাবৃষ্টি তৈরি করে।
-
যদি উল্কা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হয় এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পতিত হয়, তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
-
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় একটি উল্কাপিন্ড পতনের কারণে বনভূমির ব্যাপক এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।

0
Updated: 6 days ago
চন্দ্রে কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর ওজনের
Created: 1 day ago
A
দ্বিগুন
B
তিনগুন
C
দুইভাগের একভাগ
D
ছয়ভাগের একভাগ
• চন্দ্রে
কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর ওজনের ছয় ভাগের এক ভাগ।
- কোন বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে
যে বলে আকর্ষণ করে,
তাকে ঐ বস্তুর ওজন
বলে।
- পৃথিবী থেকে যতই উপরে
উঠা যায় বস্তুর ওজন
ততই কমতে থাকে।
- কোনো বস্তুর ওজন নির্ভর করে
তার ভর এবং যে
স্থানে বস্তুটি রয়েছে সেখানকার অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর।
- ওজনের সূত্র হলো: W = mg (এখানে W হলো ওজন, m হলো
ভর এবং g হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ)।
- চাঁদের অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের মাত্র ছয়ভাগের একভাগ (প্রায় 1.625 m/s2)।
- উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো বস্তুর
ওজন পৃথিবীতে 60 কিলোগ্রাম হয়, তবে চাঁদে
তার ওজন হবে মাত্র
10 কিলোগ্রাম
- এই কারণে, মহাকাশচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে খুব হালকা অনুভব
করে এবং লাফিয়ে লাফিয়ে
চলাচল করতে পারে।

0
Updated: 1 day ago