এক্সোপ্ল্যানেট বলতে কী বোঝায়?
A
সৌরজগতের গ্রহসমূহ
B
পৃথিবীর উপগ্রহ (চাঁদ)
C
মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো ছোট পাথুরে বস্তু (গ্রহাণু)
D
সূর্য ছাড়া অন্য নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তনকারী গ্রহ
উত্তরের বিবরণ
যেসব গ্রহ আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্য কোনো তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে, তাদের এক্সোপ্ল্যানেট বলা হয়।
এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet) সম্পর্কিত তথ্য:
-
এক্সোপ্ল্যানেট হলো যেকোনো গ্রহ যা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থান করে।
-
বেশিরভাগ এক্সোপ্ল্যানেট অন্য কোনো তারাকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
-
কিছু এক্সোপ্ল্যানেট তারার সাথে যুক্ত নয়, এদেরকে বলা হয় Rogue Planet।
-
এখন পর্যন্ত প্রায় ৬,০০০টি এক্সোপ্ল্যানেট নিশ্চিতভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
ধারণা করা হয়, মহাবিশ্বে গ্রহের সংখ্যা তারার সংখ্যার চেয়েও বেশি।
-
আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর বেশিরভাগই আমাদের গ্যালাক্সি Milky Way-এর একটি ছোট অঞ্চলে পাওয়া গেছে।
-
পৃথিবীর নিকটতম এক্সোপ্ল্যানেট হলো Proxima Centauri b, যা প্রায় ৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
-
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে এমন এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজছেন যেগুলো “হ্যাবিটেবল জোনে” থাকে, অর্থাৎ তারার চারপাশের এমন অঞ্চল যেখানে তরল পানি থাকতে পারে, কারণ এগুলোতে জীবনের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
জীবের ভ্রূণ গঠন ও বিকাশ নিয়ে জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় আলোচনা হয়?
Created: 1 month ago
A
Cytology
B
Physiology
C
Morphology
D
Embryology
জীববিজ্ঞানকে জীবের বৈশিষ্ট্য বা জীববিজ্ঞানের কোন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নরূপ:
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology):
-
এ শাখায় জীবের গঠন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাহ্যিক গঠনকে বহিঃঅঙ্গসংস্থান (External morphology) এবং অভ্যন্তরীণ গঠনকে অন্তঃঅঙ্গসংস্থান (Internal morphology) বলা হয়।
-
-
শারীরবিদ্যা (Physiology):
-
জীবের শ্বসন, রেচন, প্রজনন, পরিপাক ও আত্তীকরণ এবং সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণসহ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
ভ্রূণবিদ্যা (Embryology):
-
ভ্রূণ সৃষ্টি ও বিকাশের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবের সৃষ্টি হয়।
-
জীবের ভ্রূণ গঠন ও বিকাশ নিয়ে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
কোষবিদ্যা (Cytology):
-
জীবদেহের গঠন ও কার্যপ্রণালীর মৌলিক একক হলো কোষ।
-
কোষ ও কোষাঙ্গাণুর গঠন, কাজ এবং বিভাজন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics):
-
মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তানে স্থানান্তরিত হয়।
-
বংশগতি সংক্রান্ত ধারাগুলো এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology):
-
জীবসমূহ যে পরিবেশে বাস করে এবং সেই পরিবেশের সঙ্গে জীবসমূহের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
বিবর্তন (Evolution):
-
আদি কালের জীব বর্তমান কালের জীবের চেয়ে ভিন্ন ছিল; কালের বিবর্তনের মাধ্যমে তারা বর্তমান পর্যায়ে এসেছে।
-
জীবসমূহের সূচনা ও বিবর্তন নিয়ে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
শ্বেত-কণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কোবাল্ট-৬০
B
কার্বন-১৪
C
ফসফরাস-৩২
D
আয়োডিন-১৩১
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব শাখায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলোর ব্যবহার গবেষণা, চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর প্রধান কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
-
খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে
-
কৃষিজাত ও অন্যান্য পচনশীল খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য বেশি দিন ঘরে বা গুদামে রাখলে তা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে এসব ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
-
বিশেষভাবে কোবাল্ট-৬০ (⁶⁰Co) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়।
-
-
চিকিৎসাক্ষেত্রে
-
ক্যান্সার টিউমার নির্ণয় ও ধ্বংসের জন্য কোবাল্ট-৬০ এর গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
আয়োডিন-১৩১ (¹³¹I) থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২ (³²P) শ্বেত রক্তকণিকার অতিবৃদ্ধিজনিত রোগ (রক্তাল্পতা বা ব্লাড-লিউকেমিয়া) চিকিৎসায় কাজে লাগে।
-
টেকনেসিয়াম-৯৯m (⁹⁹ᵐTc) হাড়ের অস্বাভাবিকতা, ব্যথার কারণ ও স্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (²³⁸Pu) হার্টে পেসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
গবেষণা ও জীববিজ্ঞানে
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি উপাদান শোষণের পর্যবেক্ষণে ফসফরাস-৩২ (³²P) ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২, কার্বন-১৪ (¹⁴C) এবং অন্যান্য আইসোটোপ ব্যবহার করে DNA ও RNA-এর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
-
-
শিল্প ও প্রযুক্তিতে
-
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কার্বন-১৪ (¹⁴C) ব্যবহৃত হয়।
-
কীটপতঙ্গ দমন, ধাতব পাতের পুরুত্ব নির্ধারণ, পাইপলাইনের ছিদ্র অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে PET Scan (Positron Emission Tomography) ও SPECT Scan-এ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়ে অত্যন্ত কার্যকর।
0
Updated: 1 month ago
তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের একটি উদাহরণ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইথানয়িক এসিড
B
সালফিউরিক এসিড
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
কপার সালফেট
তড়িৎ বিশ্লেষ্য হলো এমন পদার্থ যা কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে না, কিন্তু গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে এবং এর সাথে সাথে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের পদার্থ আয়নে বিভক্ত থাকে এবং ঐ আয়নের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ পরিবাহিতা ঘটে।
-
তড়িৎ বিশ্লেষ্য সাধারণত আয়নিক যৌগ অথবা কিছু পোলার সমযোজী যৌগ, যা গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় আয়নিত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য দুই প্রকার।
১। তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়।
-
এগুলো বিদ্যুৎ পরিবহণে খুবই কার্যকর।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)।
২। মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে খুব অল্প পরিমাণে আয়নিত হয়।
-
এরা বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে, তবে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের তুলনায় অনেক দুর্বল।
-
উদাহরণ: অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
অতিরিক্ত তথ্য: তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মৌল বা যৌগে ভেঙে যায়। যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে সোডিয়াম ও ক্লোরিন গ্যাস পাওয়া যায়।
0
Updated: 1 month ago