এক্সোপ্ল্যানেট বলতে কী বোঝায়?
A
সৌরজগতের গ্রহসমূহ
B
পৃথিবীর উপগ্রহ (চাঁদ)
C
মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো ছোট পাথুরে বস্তু (গ্রহাণু)
D
সূর্য ছাড়া অন্য নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তনকারী গ্রহ
উত্তরের বিবরণ
যেসব গ্রহ আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্য কোনো তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে, তাদের বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট।
এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet):
- Exoplanet হলো যেকোনো গ্রহ যা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থান করে।
- বেশিরভাগ Exoplanet অন্য কোনো তারাকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
- কিছু Exoplanet তারার সাথে যুক্ত নয়, এগুলোকে বলা হয়
Rogue Planet.
- এখন পর্যন্ত প্রায় ৬,০০০টি Exoplanet নিশ্চিতভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে। ধারণা করা হয়, মহাবিশ্বে গ্রহের সংখ্যা তারার সংখ্যার চেয়েও বেশি।
- আবিষ্কৃত Exoplanet গুলোর বেশিরভাগই আমাদের গ্যালাক্সি Milky Way-এর একটি ছোট অঞ্চলে পাওয়া গেছে।
- পৃথিবীর নিকটতম
Exoplanet হলো Proxima Centauri b, যা প্রায় ৪ আলোকবর্ষ দূরে।
- জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে এমন এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজছেন যেগুলো “হ্যাবিটেবল জোনে” (তারার চারপাশে এমন অঞ্চলে যেখানে তরল পানি থাকতে পারে), কারণ এগুলোতে জীবনের সম্ভাবনা থাকতে পারে।

0
Updated: 17 hours ago
সবচেয়ে হালকা ধাতু কোনটি?
Created: 5 days ago
A
লিথিয়াম
B
প্লাটিনাম
C
টাংস্টেন
D
হীরক
ধাতু:
- ধাতু দেখতে চকচকে। একে আঘাত করলে টুনটুন শব্দ হয়।
- ধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
- সবচেয়ে হালকা ধাতু লিথিয়াম।
অন্যদিকে,
- প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে শক্ত বা কঠিন পদার্থ হীরক।
- সবচেয়ে ভারী মূল্যবান ধাতু প্লাটিনাম।
- পারদ হলো সর্বনিম্ন গলনাঙ্কের ধাতু।
- প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে শক্ত ধাতু - টাংস্টেন।
- প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে ভারি ধাতু - ইউরেনিয়াম।

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে?
Created: 6 days ago
A
ভূমিকম্প
B
বন্যা
C
ঘূর্ণিঝড়
D
বজ্রপাত
সুনামি শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যেখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ। অর্থাৎ সুনামি বলতে বোঝায় বন্দরের ঢেউ। এটি এক ধরনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
-
সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনার কারণে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে।
-
এই দুর্যোগ কেবল সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি ঘটে।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে একটি মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।
-
এই সুনামিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই নিহত হয় প্রায় এক লাখ মানুষ।
-
সুনামি অগভীর পানির দিকে আসতে থাকলে ধীরে ধীরে তার শক্তি কমতে থাকে।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বিস্তৃত থাকায় বাংলাদেশ সুনামির বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।

0
Updated: 6 days ago
একটি গাড়ি ব্রেক কষার পর থেমে যায়। এর জন্য দায়ী কোন বল?
Created: 17 hours ago
A
মহাকর্ষ বল
B
ঘর্ষণ বল
C
চৌম্বক বল
D
স্থিতিস্থাপক বল
যখন
একটি গাড়ি ব্রেক কষে, তখন ব্রেক প্যাড চাকায় ঘর্ষণ সৃষ্টি করে। এই ঘর্ষণ বল চাকাকে ঘুরতে বাধা দেয় এবং ক্রমান্বয়ে গাড়ির গতি কমিয়ে এনে একসময় থামিয়ে দেয়।
ঘর্ষণ
ও ঘর্ষণ বল:
- যখন দু'টি বস্তু
পরস্পরের সংস্পর্শে থাকে এবং একটি
বস্তু অপরটির উপর দিয়ে চলতে
চেষ্টা করে, তখন বস্তু
দু'টির স্পর্শ তলে
একটি বাধার সৃষ্টি হয়। এই বাধাকে
ঘর্ষণ বলা হয়।
- যে বল গতিশীল বস্তুটির
গতির পথে বাধা সৃষ্টি
করে, তাকে ঘর্ষণ বল
বলা হয়।
• ঘর্ষণ
সাধারণত চার প্রকার। যথা:
১. প্রবাহী ঘর্ষণ:
- যখন কোনাে বস্তু তরল বা বায়বীয়
পদার্থ এর ভেতর দিয়ে
যায় তখন সেটি যে
ঘর্ষণ বল অনুভব করে
সেটি হচ্ছে প্রবাহী ঘর্ষণ।
- প্যারাস্যুট নিয়ে যখন কেউ প্লেন
থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন বাতাসের
প্রবাহী ঘর্ষণের কারণে ধীরে ধীরে নিচে
নেমে আসতে পারে।
- জাহাজ পানিতে চলার সময় একটি
বাঁধা অতিক্রম করে সামনের দিকে
এগিয়ে যায়, আর এ বাঁধার
ফলে প্রবাহী ঘর্ষণ সৃষ্টি হয়।
- আবার, মানুষ পুকুরে সাঁতার কাটার সময় পুকুরের পানির
মধ্য দিয়ে একটি বাঁধাকে অতিক্রম
করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে
হয়, আর এ বাঁধাই
হলো প্রবাহী ঘর্ষণ।
২. স্থিতি ঘর্ষণ:
- যখন দুটি বস্তু একে
অপরের সাপেক্ষে স্থির থাকে, তখন যে ঘর্ষণ
বল সৃষ্টি হয়, সেটি স্থিতি
ঘর্ষণ।
- স্থিতি ঘর্ষণের কারণে আমরা হাঁটতে পারি,
কারণ আমাদের পা বা জুতার
তলা মাটিতে স্থিতি ঘর্ষণের ফলে আটকে থাকে
এবং পিছলে পড়ে না।
৩.
গতি ঘর্ষণ:
- একটি বস্তুর সাপেক্ষে অন্য বস্তু যখন
চলমান হয় তখন যে
ঘর্ষণ বল তৈরি হয়
সেটি হচ্ছে গতি ঘর্ষণ।
- সাইকেলের ব্রেক চেপে ধরলে সেটি
সাইকেলের চাকাকে চেপে ধরে এবং
ঘুরন্ত চাকাকে গতি ঘর্ষণের কারণে
থামিয়ে দেয়।
- গতি ঘর্ষণ ওজনের উপর নির্ভর করে,
ওজন যত বেশি হবে
গতি ঘর্ষণ তত বেশি হবে।
৪. আবর্ত ঘর্ষণ:
- একটি তলের উপর যখন
অন্য একটি বস্তু গড়িয়ে
বা ঘুরতে ঘুরতে চলে তখন সেটাকে
বলে আবর্ত ঘর্ষণ।
- সবগুলাে ঘর্ষণ বলের মধ্যে এটা
সবচেয়ে ছােট তাই আমরা
সব সময়ই সকল রকম যানবাহনের
মাঝে চাকা লাগিয়ে নিই।
চাকা লাগানাে সুটকেস খুব সহজে টেনে
নেওয়া যায়, যদি এর চাকা
না থাকত তাহলে মেঝের
উপর টেনে নিতে আমাদের
অনেক বেগ পেতে হতাে।

0
Updated: 17 hours ago