কোন গ্রিনহাউজ গ্যাস সবচেয়ে বেশি উষ্ণায়ন ঘটায়?
A
কার্বন ডাই-অক্সাইড
B
মিথেন
C
নাইট্রাস অক্সাইড
D
ফ্লুরোকার্বন
উত্তরের বিবরণ
গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming) ঘটায়। তবে সব গ্যাস সমানভাবে প্রভাব ফেলে না।
-
বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিদ্যমান গ্রিনহাউজ গ্যাস হলো কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)।
-
শিল্পকারখানা, জ্বালানি পোড়ানো (কয়লা, তেল, গ্যাস) এবং বন উজাড়ের ফলে এর পরিমাণ বাড়ছে।
-
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান চালিকা শক্তি হলো CO₂।
গ্রিনহাউজ গ্যাস সম্পর্কিত তথ্য:
-
যে সব গ্যাস ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত IR রশ্মি শোষণ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, তাদেরকে গ্রিনহাউজ গ্যাস বলা হয়।
-
প্রধান গ্রিনহাউজ গ্যাস: কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)।
-
অন্যান্য গ্রিনহাউজ গ্যাস:
-
জলীয় বাষ্প (H₂O)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ফ্রিয়ন বা ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC)
-
ওজোন (O₃)
-
-
যদিও এই শেষের গ্যাসগুলোর ঘনত্ব CO₂-এর তুলনায় কম, তাদের IR রশ্মি শোষণ ও বিকিরণ ক্ষমতা অনেক বেশি, তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং বায়ুমণ্ডলে তাদের আনুমানিক % পরিমাণ:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): 49%
-
মিথেন (CH₄): 18%
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O): [আপেক্ষিক পরিমাণ লেখা হয়নি; সাধারণত প্রায় 6%–7%]
চাওয়াতে আমি চাইলে এই তালিকাটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাকি গ্রিনহাউজ গ্যাসসহ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে তাদের ভূমিকা সহ সম্পূর্ণ করতে পারি।
0
Updated: 1 month ago
অলফ্যাক্টরি স্নায়ু কোন ধরনের স্নায়ু?
Created: 1 month ago
A
মিশ্র
B
সংবেদী
C
অসংবেদী
D
আজ্ঞাবাহী
করোটিক স্নায়ু হলো সেই সব স্নায়ু যা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে করোটিকার ছিদ্রপথের মাধ্যমে বের হয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে বিস্তৃত হয়।
-
মানুষের করোটিক স্নায়ু ১২ জোড়া।
-
করোটিক স্নায়ু তিন প্রকারের হতে পারে: সংবেদী (Sensory), আজ্ঞাবাহী বা মোটর (Motor), এবং মিশ্র (Mixed)।
-
সংবেদী স্নায়ু: কোন সংবেদী অঙ্গ থেকে উদ্দীপনা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বা মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়।
-
উদাহরণ: অলফ্যাক্টরি স্নায়ু, অপটিক স্নায়ু।
-
-
মোটর বা আজ্ঞাবাহী স্নায়ু: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের নির্দেশ নির্দিষ্ট অঙ্গে পৌঁছে দেয়।
-
উদাহরণ: অকুলোমোটর স্নায়ু, ট্রকলিয়ার স্নায়ু।
-
-
মিশ্র স্নায়ু: সংবেদী ও আজ্ঞাবাহী উভয় ধরনের কাজ করে।
-
উদাহরণ: ফ্যাসিয়াল স্নায়ু, ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু।
-
0
Updated: 1 month ago
একই বৈশিষ্ট্যের জন্য ক্রোমোজোমে অবস্থানরত জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
অ্যালিল
B
লোকাস
C
জিনোটাইপ
D
ফিনোটাইপ
একটি জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপকে অ্যালিল বলা হয়। এই অ্যালিলগুলো একই লোকাসে (ক্রোমোসোমের নির্দিষ্ট অবস্থান) অবস্থান করে এবং কোনো বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মটরশুঁটির ফুলের জন্য একটি অ্যালিল হতে পারে বেগুনি রঙের, আরেকটি অ্যালিল হতে পারে সাদা রঙের।
জিন:
-
জিন (Gene) শব্দটি ১৯০৯ সালে W. L. Johannsen প্রবর্তন করেন। (গ্রিক “genes” = born)
-
১৮৬৬ সালে মেন্ডেল অনুমান করেছিলেন যে জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী বস্তুটি হলো এলিমেন্টিস বা ফ্যাক্টর, যা পরবর্তীকালে জিন নামে অভিহিত হয়।
-
জিন হলো বংশগতির মৌলিক একক, যা বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে বংশগতিধারা অব্যাহত রাখে।
-
জিন পলিপেপটাইড সংশ্লেষের জন্য সংকেত প্রদানকারী DNA অণুর অংশ।
লোকাস:
-
ক্রোমোসোমে একটি জিনের অবস্থানকে লোকাস বলা হয়।
অ্যালিল:
-
ক্রোমোসোমের একই লোকাসে অবস্থানকারী জিনগুলোকে পরস্পরের অ্যালিল বলা হয়।
অ্যালিলোমর্ফ:
-
জিনগুলোর একত্রে অবস্থানকে অ্যালিলোমর্ফ বলা হয়।
জিনোটাইপ:
-
জীবদেহের দৃশ্যমান বা সুপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর নিয়ন্ত্রক জিনসমূহের গঠনকে জিনোটাইপ বলা হয়।
ফিনোটাইপ:
-
জীবদেহের দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যসমূহকে ফিনোটাইপ বলা হয়।
-
ফিনোটাইপ হলো জিনোটাইপের জিনসমূহের বাহ্যিক প্রকাশ।
0
Updated: 1 month ago
শ্বেত-কণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কোবাল্ট-৬০
B
কার্বন-১৪
C
ফসফরাস-৩২
D
আয়োডিন-১৩১
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব শাখায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলোর ব্যবহার গবেষণা, চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর প্রধান কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
-
খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে
-
কৃষিজাত ও অন্যান্য পচনশীল খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য বেশি দিন ঘরে বা গুদামে রাখলে তা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে এসব ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
-
বিশেষভাবে কোবাল্ট-৬০ (⁶⁰Co) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়।
-
-
চিকিৎসাক্ষেত্রে
-
ক্যান্সার টিউমার নির্ণয় ও ধ্বংসের জন্য কোবাল্ট-৬০ এর গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
আয়োডিন-১৩১ (¹³¹I) থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২ (³²P) শ্বেত রক্তকণিকার অতিবৃদ্ধিজনিত রোগ (রক্তাল্পতা বা ব্লাড-লিউকেমিয়া) চিকিৎসায় কাজে লাগে।
-
টেকনেসিয়াম-৯৯m (⁹⁹ᵐTc) হাড়ের অস্বাভাবিকতা, ব্যথার কারণ ও স্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (²³⁸Pu) হার্টে পেসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
গবেষণা ও জীববিজ্ঞানে
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি উপাদান শোষণের পর্যবেক্ষণে ফসফরাস-৩২ (³²P) ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২, কার্বন-১৪ (¹⁴C) এবং অন্যান্য আইসোটোপ ব্যবহার করে DNA ও RNA-এর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
-
-
শিল্প ও প্রযুক্তিতে
-
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কার্বন-১৪ (¹⁴C) ব্যবহৃত হয়।
-
কীটপতঙ্গ দমন, ধাতব পাতের পুরুত্ব নির্ধারণ, পাইপলাইনের ছিদ্র অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে PET Scan (Positron Emission Tomography) ও SPECT Scan-এ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়ে অত্যন্ত কার্যকর।
0
Updated: 1 month ago