কোন গ্রিনহাউজ গ্যাস সবচেয়ে বেশি উষ্ণায়ন ঘটায়?
A
কার্বন ডাই-অক্সাইড
B
মিথেন
C
নাইট্রাস অক্সাইড
D
ফ্লুরোকার্বন
উত্তরের বিবরণ
গ্রিনহাউজ
গ্যাসগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming) ঘটায়। তবে সব গ্যাস সমানভাবে প্রভাব ফেলে না।
- বায়ুমণ্ডলে
সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিদ্যমান গ্রিনহাউজ গ্যাস। শিল্পকারখানা, জ্বালানি (কয়লা, তেল, গ্যাস) পোড়ানো এবং বন উজাড়ের ফলে এর পরিমাণ বাড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান চালিকা শক্তি।
গ্রীন হাউজ গ্যাস:
- যে সব গ্যাস ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত IR রশ্মিকে শোষণ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, তাদেরকে গ্রীন হাউজ গ্যাস বলে।
- কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাসকে প্রধান গ্রীন হাউজ গ্যাস বলা হয়।
- এছাড়াও জলীয় বাষ্প (H2O), মিথেন (CH4), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O),
ফ্রিয়ন বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
(CFC) ও ওজোন গ্যাস (O3) গ্রীন হাউজ প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে।
- শেষের গ্যাসগুলোর ঘনত্ব বায়ুমণ্ডলে
CO2 গ্যাসের তুলনায় অনেক কম হলেও এদের IR
রশ্মি শোষণ ও বিকিরণ ক্ষমতা CO2 গ্যাসের তুলনায় অনেক বেশি। তাই গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এ এদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
• গ্রিন হাউজ গ্যাস ⇔ বায়ুতে % পরিমাণ
১। কার্বন ডাই-অক্সাইড
(CO2) গ্যাস ⇔ 49%,
২। মিথেন
(CH4) গ্যাস ⇔ 18%,
৩। নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) গ্যাস ⇔
উৎস: রসায়ন দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. হাজারী ও নাগ) ও ব্রিটানিকা।

0
Updated: 17 hours ago
মানবদেহে অক্সিজেন পরিবহনের কাজ কোন রক্তকণিকা করে?
Created: 17 hours ago
A
শ্বেত রক্তকণিকা
B
অণুচক্রিকা
C
লোহিত রক্তকণিকা
D
প্লাজমা
লোহিত
কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে এক ধরনের প্রোটিন থাকে। হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড বহন করে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে। তাই অক্সিজেন পরিবহনের কাজ মূলত RBC করে।
রক্ত
(Blood):
- রক্ত একটি অস্বচ্ছ তরল
পদার্থ।
- লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন
নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
- রক্ত হৃদপিন্ড, শিরা, উপশিরা, ধমনি, শাখা ধমনি ও
কৈশিকনালি পথে আবর্তিত হয়।
- এটি ক্ষারধর্মী, লবণাক্ত স্বাদযুক্ত পদার্থ।
- সাধারণত হাড়ের লাল অস্থিমজ্জাতে (Bone marrow) রক্ত কণিকার জন্ম।
- রক্ত এক প্রকার লাল
তরল যোজক কলা।
- রক্ত রক্তরস ও রক্ত কণিকার
সমন্বয়ে গঠিত।
রক্তের
কাজ:
- রক্ত দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
- এটি দেহের নানাবিধ কাজ করে।
যেমন-
• অক্সিজেন পরিবহন: লোহিত রক্ত কণিকা কোষে অক্সিজেন বহন করে।
• কার্বন ডাইঅক্সাইড অপসারণ: নিঃশ্বাস বায়ুর সাথে দেহের কোষে
উৎপন্ন CO2 বাইরে বের করে দেয়।
• খাদ্যসার পরিবহন: রক্তরস গাড়ুকোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও চর্বি কণা
ইত্যাদি কোষে সরবরাহ করে।
• তাপের সমতা রক্ষা: দেহের
সর্বত্র তাপের সমতা রক্ষা করে।
• বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন: রক্ত দেহের সকল
দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ
বহন করে বিভিন্ন অঙ্গের
মাধ্যমে ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড
হিসেবে নিষ্কাশন করে।
• হরমোন পরিবহন: হরমোন সরাসরি রক্তে মিশে প্রয়োজন অনুযায়ী
বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত হয়ে বিভিন্ন জৈবিক
কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• রোগ প্রতিরোধ: শ্বেত রক্ত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহকে জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
• রক্ত জমাট বাঁধা: অণুচক্রিকা
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য
করে এবং দেহের রক্ত
ক্ষরণ বন্ধ করে।

0
Updated: 17 hours ago
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশবিশেষকে বাংলায় কী বলা হয়?
Created: 6 days ago
A
ছায়াপথ
B
ধূমকেতু
C
উল্কাপিন্ড
D
নক্ষত্রমালা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও সৌরজগত:
সুদূর আকাশে বায়বীয় পদার্থ এবং গ্যাসপূর্ণ স্বল্পআলোকিত মেঘের মতো আস্তরণকে গ্যালাক্সি বলা হয়। আমাদের সৌরজগত হলো মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশ, যা বাংলায় ছায়াপথ নামে পরিচিত। এই ছায়াপথটি অসংখ্য গ্রহ ও নক্ষত্রের সমন্বয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
ধূমকেতু (Comet):
-
ধূমকেতু হলো এক ধরনের জ্যোতিষ্ক।
-
এর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: মস্তক (Head) বা কেন্দ্র এবং পুচ্ছ (Tail)।
-
কোনো কোনো ধূমকেতুর মস্তক গ্রহের তুলনায় বড় হতে পারে।
-
ধূমকেতুর সুদীর্ঘ পুচ্ছ গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত।
-
অধিকাংশ ধূমকেতু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহসমূহের আবর্তন পথের উল্টো দিকে চলে।
-
উদাহরণ: হ্যালির ধূমকেতু (Halley's Comet) প্রতি ৭৬ বছর অন্তর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়।
উল্কা ও উল্কাপিন্ড (Meteors & Meteoroids):
-
উল্কা হলো মহাশূন্যে বিচরণরত ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন বস্তু।
-
ক্ষুদ্র উল্কাপিন্ড যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন এটি উল্কাবৃষ্টি তৈরি করে।
-
যদি উল্কা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হয় এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পতিত হয়, তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
-
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় একটি উল্কাপিন্ড পতনের কারণে বনভূমির ব্যাপক এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।

0
Updated: 6 days ago
চাপের একক কোনটি?
Created: 6 days ago
A
ওয়াট
B
জুল
C
নিউটন
D
প্যাসকেল
চাপ হলো একক ক্ষেত্রফলে কোনো বস্তুর তলের ওপর লম্বভাবে প্রয়োগকৃত বলের মান। এটি সমভাবে বিতরণিত হয়।
-
গজ চাপ: পারিপার্শ্বিক চাপের তুলনায় যে অতিরিক্ত চাপ উৎপন্ন হয়, তাকে গজ চাপ বলা হয়।
-
চাপের একক হলো প্যাসকেল (Pa)।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এককসমূহ:
-
কাজ/শক্তি/তাপের একক: জুল (J)
-
বল/ওজনের একক: নিউটন (N)
-
বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক: ওয়াট (W)

0
Updated: 6 days ago