একই বৈশিষ্ট্যের জন্য ক্রোমোজোমে অবস্থানরত জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপকে কী বলা হয়?
A
অ্যালিল
B
লোকাস
C
জিনোটাইপ
D
ফিনোটাইপ
উত্তরের বিবরণ
একটি
জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপকে অ্যালিল বলা হয়। এগুলো একই লোকাসে (chromosome-এর নির্দিষ্ট অবস্থান) অবস্থান করে এবং কোনো বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: মটরশুঁটির ফুলের রঙের জন্য একটি অ্যালিল বেগুনি রঙের, আরেকটি অ্যালিল সাদা রঙের হতে পারে।
জিন:
- জিন (Gene) W. L.
Johannsen (গ্রিক genes
= born) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে জিন শব্দটি ব্যবহার
করেন।
- ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে মেন্ডেল এর অনুমানকৃত জীবের
বৈশিষ্ট্য নির্ধারক বস্তুটি হলো এলিমেন্টিস বা
ফ্যাক্টর যা পরবর্তীকালে জিন
নামে অভিহিত হয়।
- জিন হচ্ছে বংশগতির মৌলিক একক এবং এরা
বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে বংশগতিধারা অব্যাহত
রাখে।
- জিন হচ্ছে পলিপেপটাইড সংশ্লেষের জন্য সংকেত প্রদানকারী
DNA অণুর অংশ বিশেষ।
লোকাস:
- ক্রোমোসোমে একটি জিনের অবস্থানকে
লোকাস বলে।
অ্যালিল:
- ক্রোমোসোমের একই লোকাসে অবস্থানকারী
জিনগুলোকে পরস্পরের অ্যালিল বলা হয়।
অ্যালিলোমর্ফ:
- জিনগুলোর একত্রে অবস্থান করাকে অ্যালিলোমর্ফ বলে।
জিনোটাইপ:
- জীবদেহের দৃশ্যমান অথবা সুপ্ত বেশিষ্ট্যগুলোর
নিয়ন্ত্রক জিনসমূহের গঠনকে জিনোটাইপ বলে।
ফিনোটাইপ:
- জীবদেহের দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যসমূহকে ফিনোটাইপ বলে।
- ফিনোটাইপ প্রকৃতপক্ষে জিনোটাইপের জিনসমূহের বাহ্যিক প্রকাশ।

0
Updated: 17 hours ago
শ্বেত-কণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোনটি?
Created: 5 days ago
A
কোবাল্ট-৬০
B
কার্বন-১৪
C
ফসফরাস-৩২
D
আয়োডিন-১৩১
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব শাখায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলোর ব্যবহার গবেষণা, চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর প্রধান কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
-
খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে
-
কৃষিজাত ও অন্যান্য পচনশীল খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য বেশি দিন ঘরে বা গুদামে রাখলে তা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে এসব ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
-
বিশেষভাবে কোবাল্ট-৬০ (⁶⁰Co) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়।
-
-
চিকিৎসাক্ষেত্রে
-
ক্যান্সার টিউমার নির্ণয় ও ধ্বংসের জন্য কোবাল্ট-৬০ এর গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
আয়োডিন-১৩১ (¹³¹I) থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২ (³²P) শ্বেত রক্তকণিকার অতিবৃদ্ধিজনিত রোগ (রক্তাল্পতা বা ব্লাড-লিউকেমিয়া) চিকিৎসায় কাজে লাগে।
-
টেকনেসিয়াম-৯৯m (⁹⁹ᵐTc) হাড়ের অস্বাভাবিকতা, ব্যথার কারণ ও স্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (²³⁸Pu) হার্টে পেসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
গবেষণা ও জীববিজ্ঞানে
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি উপাদান শোষণের পর্যবেক্ষণে ফসফরাস-৩২ (³²P) ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২, কার্বন-১৪ (¹⁴C) এবং অন্যান্য আইসোটোপ ব্যবহার করে DNA ও RNA-এর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
-
-
শিল্প ও প্রযুক্তিতে
-
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কার্বন-১৪ (¹⁴C) ব্যবহৃত হয়।
-
কীটপতঙ্গ দমন, ধাতব পাতের পুরুত্ব নির্ধারণ, পাইপলাইনের ছিদ্র অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে PET Scan (Positron Emission Tomography) ও SPECT Scan-এ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়ে অত্যন্ত কার্যকর।

0
Updated: 5 days ago
মৃৎক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-18
পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলো তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলগুলো (হাইড্রোজেন ব্যতীত) ক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি মৌল একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়ন গঠন করে।
-
প্রধানত আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এর মৌলগুলো মৃৎক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক, তবে দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ তৈরি করে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের অধিকাংশ যৌগ মাটিতে বিদ্যমান, তাই নামকরণ হয়েছে মৃৎক্ষার ধাতু।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রূপা (Ag), সোনা (Au)।
-
এদের ধাতব উজ্জ্বলতা অত্যন্ত চমৎকার।
-
ইতিহাসে যেমন, আজও বাজারে মুদ্রা প্রচলিত আছে, তবে সেগুলো প্রায়ই সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি হয়।

0
Updated: 6 days ago
চোখের লেন্সের ধরণ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
উত্তল
B
অবতল
C
দ্বি-উত্তল
D
দ্বি-অবতল
• মানুষের
চোখের লেন্সটি হলো একটি দ্বি-উত্তল লেন্স, যা উভয় দিকেই উত্তল আকৃতির।
- এই লেন্সটি অভিসারী লেন্স হিসেবে কাজ করে এবং
আলোকরশ্মিকে প্রতিসারিত করে রেটিনার উপর
ফোকাস করতে সাহায্য করে,
যার ফলে আমরা কোনো
বস্তুর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব দেখতে পাই।
• দ্বি-উত্তল লেন্স:
- দ্বি-উত্তল লেন্স হলো একটি বিশেষ
ধরনের উত্তল লেন্স, যার উভয় পৃষ্ঠই
বাইরের দিকে বক্রাকার বা
উত্তল আকৃতির।
- এটি অভিসারী (converging) লেন্স হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি এর
মধ্য দিয়ে যাওয়া সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে
(ফোকাস বিন্দুতে) একত্রিত করে।
- এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি এর
মধ্য দিয়ে আপতিত সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে প্রতিসরণের পর একটি বিন্দুতে
মিলিত করে।
- এটি সাধারণত বাস্তব (real) এবং উল্টো (inverted) প্রতিবিম্ব
তৈরি করে।
- রেটিনায় সৃষ্ট উল্টো প্রতিবিম্বের তথ্য অপটিক স্নায়ুর
মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, এবং মস্তিষ্ক সেই
সংকেতগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে সোজা করে
দেখায়।
• চোখে
দ্বি-উত্তল লেন্সের কার্যকারিতা:
- চোখের লেন্স হলো একটি প্রাকৃতিক,
নমনীয় এবং স্বচ্ছ দ্বি-উত্তল লেন্স।
- এর মূল কাজ হলো
বিভিন্ন দূরত্বে থাকা বস্তু থেকে
আসা আলোকরশ্মিকে রেটিনার ওপর সঠিকভাবে ফোকাস
করা, যাতে একটি স্পষ্ট
প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।
• উপযোজন
(Accommodation) প্রক্রিয়া:
- চোখের লেন্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর উপযোজন
ক্ষমতা। এটি চোখের সিলিয়ারি
পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
- দূরের বস্তু দেখার জন্য চোখের লেন্স
পাতলা হয়ে যায়, যার
ফলে ফোকাস দূরত্ব বেড়ে যায় এবং রেটিনার
উপর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।
- আর কাছের বস্তু দেখার সময় লেন্সটি মোটা
হয়ে যায়, যার কারণে ফোকাস
দূরত্ব কমে যায় এবং
রেটিনার উপর প্রতিবিম্ব সঠিকভাবে
গঠিত হয়। এই প্রক্রিয়াটিই
উপযোজন নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য-
- উত্তল: এটি লেন্সের একটি
সাধারণ প্রকার, কিন্তু চোখের লেন্সের সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট ধরণ হলো দ্বি-উত্তল।
- অবতল: এটি একটি অপসারী
লেন্স এবং এটি দৃষ্টি
ত্রুটি (যেমন: মায়োপিয়া) সংশোধনের জন্য চশমায় ব্যবহৃত
হয়, চোখে নয়।
- দ্বি-অবতল: এটি অবতল লেন্সের
একটি প্রকারভেদ এবং এটিও সাধারণত
চশমা ও কিছু বিশেষ
আলোকীয় যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 day ago