রঙিন টেলিভিশন হতে ক্ষতিকর কোন রশ্মি বের হয়?
A
মৃদু রঞ্জন রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
কসমিক রশ্মি
উত্তরের বিবরণ
রঙিন টেলিভিশন থেকে কিছু ক্ষুদ্র পরিমাণের ক্ষতিকর রঞ্জন রশ্মি নির্গত হয়।
রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মৌলিক যন্ত্রপাতিগুলো সাদাকালো অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রেও একই রকমই ব্যবহৃত হয়।
তবে রঙিন চিত্র প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য রঙিন টেলিভিশনে অতিরিক্ত কিছু বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।
রঙিন টেলিভিশনের ক্যামেরায় লাল, নীল এবং সবুজ—এই তিনটি মূল রঙের জন্য পৃথক পৃথক ইলেকট্রন টিউব থাকে।
গ্রাহকের টেলিভিশন সেটেও এই তিনটি রংয়ের জন্য তিনটি ইলেকট্রন গান ব্যবহার করা হয়।
পর্দাটিও তিন রকমের ফসফর দানার সমন্বয়ে গঠিত।
যখন ইলেকট্রন গান থেকে নির্গত ইলেকট্রন বিম ফসফর দানার ওপর পড়ে, তখন সেই নির্দিষ্ট রঙের ফসফরই আলোকিত হয়।
ফলস্বরূপ, পর্দায় একযোগে লাল, নীল ও সবুজ রঙের বিন্দু তৈরি হয়, এবং এদের মিশ্রণে টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন রঙিন ছবি ফুটে ওঠে।
পর্দার ফসফরগুলো ইলেকট্রন আঘাতের ফলে ক্ষুদ্র পরিমাণের মৃদু রঞ্জন রশ্মি উৎপন্ন করে, যা অত্যন্ত নগণ্য হওয়ায় সাধারণত গুরুত্ব দেয়া হয় না।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
ঘন পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে রাতে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কারণ গাছ হতে-
Created: 1 month ago
A
অধিক পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত হয়
B
অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়
C
অধিক পরিমাণে কার্বন মনো-অক্সাইড নির্গত হয়
D
বিষাক্ত সায়ানাইড নির্গত হয়
ঘন পাতাওয়ালা গাছগুলো রাতে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়।
রাতের সময় এই গাছগুলোর নিচে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, কারণ শ্বসনের মাধ্যমে তারা বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশে ছেড়ে দেয়।
এ সময় উদ্ভিদ বাইরের বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে নিজস্ব জৈব প্রক্রিয়া চালায়, ফলে আশপাশের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রাতের বেলায় গাছের নিচে অক্সিজেনের ঘনত্ব কমে যায়।

0
Updated: 1 month ago
মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
Created: 2 months ago
A
স্ফিগমোম্যানোমিটার
B
স্টেথস্কোপ
C
কার্ডিওগ্রাফ
D
ইকোকার্ডিওগ্রাফ
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের কারণে রক্ত যখন ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন ধমনিপ্রাচীরে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলা হয়।
-
সাধারণত রক্তচাপ বলতে ধমনির রক্তচাপকেই বোঝানো হয়।
-
যখন হৃৎপিণ্ড সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকে (সিস্টোল), তখন ধমনিতে যে উচ্চ চাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।
-
আর যখন হৃৎপিণ্ড বিশ্রামে থাকে (ডায়াস্টোল), তখন ধমনিতে যে নিম্ন চাপ থাকে তাকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে।
-
রক্তচাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র হলো স্ফিগমোম্যানোমিটার।
অন্যদিকে,
-
হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ শোনা ও নির্ণয়ের যন্ত্র হল স্টেথোস্কোপ।
-
আর হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণয়ের যন্ত্র হলো কার্ডিওগ্রাফ।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি বেশি স্থিতিস্থাপক?
Created: 1 month ago
A
ইস্পাত
B
রাবার
C
কাচ
D
পানি
স্থিতিস্থাপকতা
কোনো বস্তুতে বল প্রয়োগ করলে যদি তার আকার, আয়তন কিংবা উভয়ই পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ বস্তুটি বিকৃত হয়, এবং বল সরিয়ে নেয়ার পর যদি সেই বস্তু আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে—তাহলে এ ধর্মকে স্থিতিস্থাপকতা বলা হয়।
যেসব বস্তু বেশি বাধা দিতে পারে, অর্থাৎ বিকৃতি প্রতিরোধ করতে সক্ষম, তাদের স্থিতিস্থাপকতাও তুলনামূলকভাবে বেশি। উদাহরণস্বরূপ, লোহা রাবারের তুলনায় বেশি বাধা দেয়, তাই লোহার স্থিতিস্থাপকতা রাবারের চেয়ে বেশি।
স্থিতিস্থাপক সীমা
প্রত্যেক বস্তুই নির্দিষ্ট মাত্রার বাহ্যিক বল পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে স্থিতিস্থাপক আচরণ করে। এই নির্দিষ্ট মাত্রাকে বলা হয় স্থিতিস্থাপক সীমা।
বস্তুভেদে স্থিতিস্থাপক সীমার পরিমাণ ভিন্ন হয়। যেমন, ইস্পাতের স্থিতিস্থাপক সীমা খুব বেশি, অর্থাৎ এটি অনেক বেশি বল সহ্য করেও আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। অন্যদিকে, রাবারের স্থিতিস্থাপক সীমা তুলনামূলকভাবে কম।
তথ্যসূত্র: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম (বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি), ড. শাহজাহান তপন।

0
Updated: 1 month ago