"মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড" — কোন মঙ্গলকাব্যের অন্তর্গত?
A
মনসামঙ্গল
B
অন্নদামঙ্গল
C
চণ্ডীমঙ্গল
D
ধর্মমঙ্গল
উত্তরের বিবরণ
“মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড” হলো ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের তৃতীয় খণ্ড।
‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য:
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রর আদেশে ভারতচন্দ্র এই কাব্য রচনা করেন।
-
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করলেও তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলো অন্নদামঙ্গল (১৭৫২-৫৩ সালে), এবং কাব্যের দ্বিতীয় অংশ হলো বিদ্যাসুন্দর।
-
কাব্যের বৈশিষ্ট্য হলো ছন্দ ও অলঙ্কারের সুদক্ষ প্রয়োগ।
-
সমালোচক অধ্যাপক অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মতে, ‘অন্নদামঙ্গল’ অষ্টদশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য এবং সমগ্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
অন্নদামঙ্গল কাব্য ৩ খণ্ডে বিভক্ত:
-
শিবনারায়ণ
-
কালিকামঙ্গল
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর:
-
মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি।
-
তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
-
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেন।
-
কাব্যের তিনটি খণ্ডের জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি প্রদান করেন।
-
ভারতচন্দ্রের প্রথম কাব্য ছিল বিমিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি পাঁচালি।
-
ভারতচন্দ্রকে মধ্যযুগের শেষ বড় কবি বা নাগরিক কবি হিসাবেও অভিহিত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'চরিত্রহীন' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পার্বতী
B
অচলা
C
কিরণময়ী
D
বিজয়া
চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি বহুল আলোচিত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে। প্রথা-বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষ সম্পর্কের জটিলতা এতে গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। শিরোনামের মতোই উপন্যাসটি মূলত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও "চরিত্র" শব্দের প্রচলিত ব্যাখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
-
উপন্যাসে চারটি নারী চরিত্র রয়েছে: সাবিত্রী, কিরণময়ী, সুরবালা ও সরোজিনী।
-
প্রধান দুই নারী চরিত্র সাবিত্রী ও কিরণময়ী—দুজনের বিরুদ্ধেই ‘চরিত্রহীন’ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি নারী চরিত্রের স্বভাব, মানসিকতা ও জীবনধারা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
চরিত্রগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
-
সাবিত্রী: বিশুদ্ধ চরিত্রের প্রতীক। সতীশের প্রতি অনুগত ও একনিষ্ঠ প্রেমিকা।
-
সুরবালা: উপেন্দ্রনাথের তরুণী স্ত্রী। ধর্মগ্রন্থে অন্ধবিশ্বাসী হওয়ায় তার ব্যক্তিত্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
-
সরোজিনী: পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত, অগ্রসরচিন্তার অধিকারী। কিন্তু পরিবার ও কঠোর মায়ের কারণে জীবনে দমবন্ধ অবস্থা। শেষপর্যন্ত সে সতীশকে বিয়ে করে।
-
কিরণময়ী: উপন্যাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র। তরুণ, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী। তার আবেগ-আকাঙ্ক্ষা সবসময় দমন করা হয় স্বামী ও শাশুড়ির দ্বারা।
অন্যদিকে:
-
গৃহদাহ উপন্যাসের চরিত্র: অচলা, মহিম, সুরেশ।
-
দত্তা উপন্যাসের চরিত্র: বিজয়া, নরেন, রাসবিহারী, বনমালী।
-
দেবদাস উপন্যাসের চরিত্র: দেবদাস, পার্বতী, চন্দ্রমুখী, চুনিলাল, ধর্মদাস।
0
Updated: 1 month ago
'গোরক্ষবিজয়' কোন ধারার সাহিত্য?
Created: 1 month ago
A
নাথসাহিত্য
B
মঙ্গলকাব্য
C
কবিগান
D
মর্সিয়া সাহিত্য
নাথসাহিত্য বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা, যা মূলত নাথধর্মের আচার-আচরণ ও নাথযোগীদের কাহিনি অবলম্বনে রচিত। এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ ধারার অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাহিনি হলো শেখ ফয়জুল্লাহর ‘গোরক্ষবিজয়’। একই ধারায় রাজা মাণিকচন্দ্রের গান, ময়নামতীর গান এবং গোপীচন্দ্রের গান রচিত হয়েছিল। বিশেষ করে ময়নামতী-গোপীচন্দ্রের গানে গার্হস্থ্য জীবনের ভিত্তিতে যোগজীবনের নির্দেশিকা প্রকাশ পেয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম নাটক হিসেবে নির্দেশ করা হয় কোন নাটক কে?
Created: 4 weeks ago
A
বসন্তকুমারী
B
পদ্মাবতী
C
অশ্রুমতী
D
মালতী-মাধব
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে মীর মশাররফ হোসেন একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি মুসলমান সমাজের প্রথম দিকের নাট্যকারদের অন্যতম, যিনি সামাজিক ও পারিবারিক বাস্তবতাকে নাটকের আঙ্গিকে উপস্থাপন করেন। তাঁর রচিত ‘বসন্তকুমারী’ নাটকটি বাংলা নাট্যজগতে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘বসন্তকুমারী’ নাটকটি রচনা করেন মীর মশাররফ হোসেন।
-
নাটকটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে।
-
এটি মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম বাংলা নাটক হিসেবে স্বীকৃত।
-
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
-
কাহিনিতে দেখা যায়—ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজা বৃদ্ধ বয়সে এক যুবতী স্ত্রী গ্রহণ করেন। পরে সেই যুবতী বিমাতা রাজপুত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রেম নিবেদন করেন। রাজপুত্র তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিমাতা ষড়যন্ত্র করে রাজপরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়, যার ফলে পরিণতিতে সবাই মৃত্যুবরণ করে।
-
এই নাটকে প্রেম, নৈতিকতা ও সামাজিক বিপর্যয়—এই তিনটি দিক গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
মীর মশাররফ হোসেনের দ্বিতীয় নাটক ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩) সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাহিত্য হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে:
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন নাটক ‘অশ্রুমতী’ এবং অনুবাদ নাটক ‘মালতী-মাধব’।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন নাটক ‘পদ্মাবতী’।
0
Updated: 4 weeks ago