ক্রীতদাসের হাসি হলো শওকত ওসমানের কালোত্তীর্ণ ও প্রতিকাশ্রয়ী উপন্যাস, যা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়। এটি মূলত তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সামরিক শাসনের সমালোচনা নিয়ে রচিত।
-
মূল বিষয়বস্তু:
-
উপন্যাসে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সমালোচনা রূপক-প্রতীকের মাধ্যমে করা হয়েছে।
-
বাগদাদের বাদশা হারুন অর রশিদ অত্যাচারী চরিত্রে চিত্রিত; তিনি ক্রীতদাস তাতারি ও বাঁদি মেহেরজানের সম্পর্কের পথে বাধা সৃষ্টি করেন এবং তাতারিকে গৃহবন্দি ও নির্যাতন করেন।
-
তাতারি আমৃত্যু বাদশা হারুনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
-
উপন্যাসে তাতারি বাঙালি জনতার প্রতীক, আর বাদশা হারুন আইয়ুব খানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
তাতারির হাসি বাঙালির স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত।
-
এটি শওকত ওসমানের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত; রচনার জন্য ১৯৬৬ সালে তাঁকে আদমজি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শওকত ওসমান
-
জন্ম: ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: শেখ আজিজুর রহমান, সাহিত্যিক নাম শওকত ওসমান।
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
নেকড়ে অরণ্য: মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নারীর উপর অত্যাচারের বর্ণনা।
-
জননী: সামাজিক জীবনকে কেন্দ্র করে লেখা।
-
ক্রীতদাসের হাসি: রাজনৈতিক জীবনের অন্ধকার দিক উন্মোচিত।
-
জাহান্নম হইতে বিদায়: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
শওকত ওসমান রচিত কিছু উপন্যাস:
ক্রীতদাসের হাসি, সমাগম, রাজা উপাখ্যান, দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্য, পতঙ্গ পিঞ্জর, রাজসাক্ষী, জলাঙ্গী, পুরাতন খঞ্জর, বনি আদম, জননী, চৌরসন্ধি
শওকত ওসমান রচিত নাটক:
তস্কর নস্কর, পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা, আমলার মামলা