বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অনাবৃষ্টি বা খরার প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়?
A
মধ্যাঞ্চল
B
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল
C
উত্তর-পূর্বাঞ্চল
D
উপকূলীয় অঞ্চল
উত্তরের বিবরণ
খরা হলো এমন একটি প্রাকৃতিক অবস্থান যেখানে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে দীর্ঘসময় ধরে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়, যার ফলে মাটির আর্দ্রতা কমে যায় এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়।
-
খরা সাধারণত তখন ঘটে যখন কোনো এলাকা পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত পায় না বা দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিহীন থাকে।
-
মাটি এই সময়ে শুষ্ক হয়ে ফেটে চৌচির হয়ে যায় এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়।
-
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও কিছু মধ্যাঞ্চলের জেলা খরাপ্রবণ হিসেবে পরিচিত।
-
বিগত অর্ধশতকের মধ্যে (১৯৭৩, ১৯৭৫, ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৪, ১৯৯৫, ২০১৬) দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র খরা দেখা গেছে।
বাংলাদেশের খরাপ্রবণ অঞ্চল:
-
অতি তীব্র: রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ
-
তীব্র: দিনাজপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর এবং টাঙ্গাইল জেলার অংশবিশেষ
-
মাঝারি: রংপুর, বরিশাল জেলা এবং দিনাজপুর, কুষ্টিয়া ও যশোর জেলার অংশ
-
সামান্য: তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা নদীর পললভূমি এলাকা
খরার প্রধান কারণ:
-
সময়মতো বৃষ্টিপাতের অভাব
-
পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা
-
অপরিকল্পিতভাবে বনভূমি উজাড়
-
নদীর উজানে অযথাযথ বাঁধ নির্মাণ
-
এল নিনো ও লা নিনো প্রভাব যা বৈশ্বিক জলবায়ুতে পরিবর্তন ঘটায়
-
খরার ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস, পানির অভাব এবং পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব দেখা দেয়।
-
এটি মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক উভয় কারণে সংঘটিত হতে পারে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ব্যবস্থাপনার কারণে ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 19 hours ago
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে সাধারণত কোন প্রকার বৃষ্টিপাত দেখা যায়?
Created: 3 days ago
A
ঘূর্ণি বৃষ্টি
B
বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি
C
পরিচলন বৃষ্টি
D
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
বিভিন্ন ধরনের বৃষ্টিপাত তাদের উৎপত্তি ও প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। প্রধান বৃষ্টিপাতের ধরনগুলো হলো বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি, ঘূর্ণি বৃষ্টি, শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি এবং পরিচলন বৃষ্টি।
-
বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি (Frontal Rain):
-
শীতল ও উষ্ণ বায়ু মুখোমুখি অবস্থানে থাকলে তারা সরাসরি মিশে না গিয়ে মধ্যবর্তী এলাকায় অদৃশ্য বায়ুপ্রাচীর (Front) তৈরি করে।
-
শীতল বায়ুর সংস্পর্শে উষ্ণ বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায়, ফলে শিশিরাঙ্ক তৈরি হয়।
-
উভয় বায়ুর সংযোগস্থলে বৃষ্টিপাত ঘটে, যা মূলত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়।
-
-
ঘূর্ণি বৃষ্টি (Cyclonic Rain):
-
কোনো অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলে নিম্নচাপ কেন্দ্র গঠিত হলে, জলভাগের উপর থেকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু এবং স্থলভাগের উপর থেকে শীতল ও শুষ্ক বায়ু ঐ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
শীতল বায়ু ভারী হওয়ায় উষ্ণ বায়ু শীতল বায়ুর ওপর দিয়ে উঠে যায়।
-
উষ্ণ বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিতে পরিণত হয়।
-
-
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি (Orographic Rain):
-
জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু যখন উঁচু পর্বতের পথে বাধা পায়, তখন বায়ু উপরের দিকে উঠতে বাধ্য হয়।
-
বায়ু ক্রমশ প্রসারিত হয়ে শীতল ও ঘনীভূত হয় এবং পর্বতের প্রতিবাত ঢালে (Windward slope) বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
-
পরিচলন বৃষ্টি (Convectional Rain):
-
দিনের সময় সূর্যের তাপ পানিকে বাষ্পে রূপান্তরিত করে, যা সোজা উপরের দিকে উঠে যায়।
-
শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে এই জলীয়বাষ্প মেঘে পরিণত হয় এবং পরে বৃষ্টির আকারে নিচে নামে।
-

0
Updated: 3 days ago