দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
A
২০১০ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০১৪ সালে
D
২০১৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হলো বাংলাদেশে দুর্যোগ প্রস্তুতি, ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরী সাড়া প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী প্রতিষ্ঠান, যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এটি দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে সমন্বয় ও দক্ষতা নিশ্চিত করে।
-
২০১২ সালের নভেম্বর মাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২ অনুমোদনের পর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর এবং ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো (ডিএমবি) অবলুপ্ত হয়ে ডিডিএমে রূপান্তরিত হয়।
দায়িত্বসমূহ:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন।
-
ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি গ্রহণ করে বিভিন্ন দুর্যোগের বিপদাপন্নতা হ্রাস করা।
-
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরী সাড়া প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি এবং দাতা সংস্থার কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন।
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও পরিকল্পনা সম্পর্কিত সরকারের নির্দেশাবলী ও সুপারিশ বাস্তবায়ন।
লক্ষ্য:
-
ডিডিএম হবে একটি সক্রিয় প্রতিষ্ঠান, যা বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবে।
-
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি গ্রহণ, যে কোনো দুর্যোগে দক্ষতার সঙ্গে সাড়া প্রদান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে সার্বিকভাবে সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করা।
ডিডিএম দেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, যাতে জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি সর্বনিম্ন রাখা যায়।

0
Updated: 19 hours ago
পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই কোন দুর্যোগ সংঘটিত হয়?
Created: 1 month ago
A
বন্যা
B
খরা
C
ভূমিকম্প
D
ঘূর্ণিঝড়
• পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়- ভূমিকম্প।
-----------------
• ভূমিকম্প:
- ভূ-অভ্যন্তরে আকস্মিক সৃষ্ট কম্পনের দরুণ আকস্মিকভাবে ভূমির যে কম্পন হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
- কোন ধরনের আগাম সতর্ক সংকেত ব্যতীত অর্থাৎ কার্যকর পূর্বাভাস ছাড়া সংঘটিত দুর্যোগ হলো ভূমিকম্প।
- ভূমিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও ভূমিকম্প সংঘটনের পূর্বে সতর্কতা প্রাপ্তি এখনো সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে,
- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
----------------------------------
• আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ১৯৯৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভূমিকম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
- মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ (উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল), মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ (মধ্য অঞ্চল) এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল)।
- ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় নদীর গতিপথ পাল্টে যায়।
যেমন, ১৭৮৭ সালে আসামে (ডাউকি ফন্ট) যে ভূমিকম্প হয় তাতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উচু হয় ফলে তার গতিপথ পাল্টে গিয়ে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
- ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ।
- ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম রিখটার স্কেল।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
UNDRR এর পূর্ণরূপ-
Created: 1 week ago
A
United Nations Office for Disaster Risk Reduction
B
United Nations Division for Relief and Rehabilitation
C
United Nations Disaster Risk Reduction Agency
D
United Nations Department of Relief and Rehabilitation
United Nations Office for Disaster Risk Reduction (UNDRR) ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য হল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে জাতীয় কর্মকৌশল কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা।
-
পূর্ণরূপ: United Nations Office for Disaster Risk Reduction (UNDRR)
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৯৯
-
উদ্দেশ্য: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে জাতীয় কর্মকৌশল বাস্তবায়ন
-
সদরদপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

0
Updated: 1 week ago
'আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস' পালিত হয় কবে?
Created: 19 hours ago
A
১১ অক্টোবর
B
১৩ অক্টোবর
C
১৯ অক্টোবর
D
২১ অক্টোবর
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস প্রতি বছর ১৩ অক্টোবর পালিত হয় এবং এটি বৈশ্বিকভাবে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও প্রস্তুতি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কেন্দ্রিত।
-
এই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো সেনদাই ফ্রেমওয়ার্কের লক্ষ্য পূরণ, যা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
-
১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
-
দিবসটির প্রধান লক্ষ্যসমূহ:
১. দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
২. দুর্যোগ মোকাবেলায় সামাজিক প্রস্তুতি গড়ে তোলা।
৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা।
৪. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
৫. দুর্যোগ প্রশমনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো। -
বাংলাদেশে এই দিবস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে পালিত হয়।
-
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি, সেমিনার ও কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা জনসাধারণের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকির সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 19 hours ago