নিচের কোনটি পাললিক শিলা নয়?
A
কয়লা
B
গ্রানাইট
C
চুনাপাথর
D
ডলোমাইট
উত্তরের বিবরণ
শিলা হলো পৃথিবীর ভূ-গঠনের একটি মৌলিক উপাদান, যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়। শিলাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়: পাললিক শিলা এবং অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা।
-
পাললিক শিলা হলো এমন শিলা যা ছোট ছোট কণা জমে বা সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয় এবং পরে সমুদ্রের তল বা অন্যান্য জলের দেহে খনিজ বা জৈব কণার সিমেন্টেশন দ্বারা দৃঢ় হয়।
-
পাললিক শিলার উদাহরণ: কংগ্লোমারেট, ব্রেকসিয়া, গ্রেওয়েক, বেলেপাথর, কাদাপাথর, কোয়ার্টজ, ডলোমাইট, ক্যালসাইট, জিপসাম, কয়লা, চুনাপাথর।
-
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য:
১। স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়।
২। মাঝে মাঝে জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
৩। স্ফটিকাকার নয়।
৪। হালকা, ভঙ্গুর ও তরঙ্গ বিশিষ্ট। -
অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা তখন তৈরি হয় যখন উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে না উঠে ভূগর্ভে জমাট বাঁধে।
-
অন্তঃজ আগ্নেয় শিলার উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল।
-
গ্রানাইট পাললিক শিলা নয়, এটি অন্তঃজ আগ্নেয় শিলার একটি প্রধান উদাহরণ।
অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা সাধারণত দৃঢ়, কঠিন এবং স্ফটিকাকার, যা পাললিক শিলার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী।

0
Updated: 19 hours ago
'ডলোরাইট' কোন ধরনের শিলা?
Created: 2 weeks ago
A
বহিঃজ আগ্নেয় শিলা
B
অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা
C
রূপান্তরিত শিলা
D
পাললিক শিলা
১. আগ্নেয় শিলা:
-
গলিত ম্যাগমা ঘনীভূত হয়ে তৈরি।
-
বহিঃজ আগ্নেয় শিলা: ভূপৃষ্ঠে শীতল হয়ে সৃষ্টি; সূক্ষ্ম দানা, গাঢ় রং। উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
-
অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা: ভূগর্ভে জমাট বাঁধা; স্থূল দানা, হালকা রং। উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট।
২. পাললিক শিলা:
-
পলি সঞ্চিত হয়ে গঠিত। উদাহরণ: চুনাপাথর, বেলেপাথর, কয়লা, শেল, কাদাপাথর।
৩. রূপান্তরিত শিলা:
-
আগ্নেয় বা পাললিক শিলা চাপ, উত্তাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়।
-
উদাহরণ: চুনাপাথর → মার্বেল, বেলেপাথর → কোয়ার্টজাইট, কাদা/শেল → স্লেট, গ্রানাইট → নিস, কয়লা → গ্রাফাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোনটি পাললিক শিলা?
Created: 2 weeks ago
A
মার্বেল
B
কয়লা
C
গ্রানাইট
D
নিস
পাললিক শিলা (Sedimentary Rock)
-
‘পাললিক শিলা’ শব্দটি এসেছে ‘পলি’ বা ‘পলল’ থেকে।
-
এটি একটি প্রাকৃতিক শিলার ধরন, যা ছোট ছোট কণা বা কণা সমষ্টি জমে জমে এবং পরে সমুদ্র, হ্রদ বা নদীর তলে খনিজ বা জৈব পদার্থের সিমেন্টেশন (সংযোগ) দ্বারা গঠিত হয়।
-
উদাহরণ: কংগ্লোমারেট, ব্রেকসিয়া, গ্রেওয়েক, বেলেপাথর, কাদাপাথর, কোয়ার্টজ, ডলোমাইট, ক্যালসাইট, জিপসাম, কয়লা, চুনাপাথর ইত্যাদি।
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য
-
স্তরায়ন দেখা যায় এবং কাদার খাওয়া দাগ লক্ষ্য করা যায়।
-
একমাত্র এই শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
-
সচ্ছিদ্রতা (Porosity) এবং ভঙ্গুরতা (Brittleness) বেশি।
-
জল প্রবেশের ক্ষমতা (Permeability) বেশি।
-
ক্ষয় প্রতিরোধের ক্ষমতা বিভিন্ন রকম।
-
কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস।
-
কাঠিন্য (Hardness) তুলনামূলকভাবে কম।
-
দারণ বা ফাটল সাধারণত থাকে না।
অন্য শিলার তুলনা
-
আগ্নেয় শিলা: উদাহরণ – গ্রানাইট।
-
রূপান্তরিত শিলা: উদাহরণ – মার্বেল।
-
আগ্নেয় শিলা প্রচন্ড তাপ ও চাপে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলা গঠন করে। যেমন: গ্রানাইট থেকে নিস (Gneiss) তৈরি হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এস এস সি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন ধরনের শিলায় জীবাশ্ম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে?
Created: 6 days ago
A
আগ্নেয় শিলা
B
রূপান্তরিত শিলা
C
পাললিক শিলা
D
কোনোটিই নয়
পাললিক শিলা হলো এমন একটি শিলা যা ছোট ছোট কণার সঞ্চয় বা জমার মাধ্যমে গঠিত এবং পরবর্তীতে সমুদ্রের তলে বা জলের অন্যান্য দেহে খনিজ ও জৈব কণার সিমেন্টেশন দ্বারা শক্ত হয়। এই শিলার মধ্যে জীবাশ্ম থাকার সম্ভাবনা থাকে।
-
পাললিক শিলা শব্দটি এসেছে ‘পলি’ বা ‘পলল’ থেকে।
-
উদাহরণ: কংগ্লোমারেট, ব্রেকসিয়া, গ্রেওয়েক, বেলেপাথর, কাদাপাথর, কোয়ার্টজ, ডলোমাইট, ক্যালসাইট, জিপসাম, কয়লা, চুনাপাথর ইত্যাদি।
-
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য:
১. স্ফটিকাকার নয়।
২. জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
৩. স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে গঠিত।
৪. হালকা, ভঙ্গুর এবং তরঙ্গ বিশিষ্ট।

0
Updated: 6 days ago