‘Nor' wester’ কোন দুর্যোগকে নির্দেশ করে?
A
সুনামি
B
ভূমিকম্প
C
অনাবৃষ্টি
D
কালবৈশাখী ঝড়
উত্তরের বিবরণ
কালবৈশাখী ঝড় বাংলাদেশের প্রাকৃতিক আবহাওয়ার একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, যা মূলত বজ্রঝড়ের ধরন। এটি দেশের কৃষি, জনজীবন এবং স্থানীয় আবহাওয়ার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। কালবৈশাখী সাধারণত এপ্রিল-মে (বৈশাখ) মাসে উত্তরের দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
-
কালবৈশাখী একটি ধরনের বজ্রঝড়, যা সচরাচর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
-
স্থানীয়ভাবে কোনো এলাকার ভূ-পৃষ্ঠ অত্যধিক উত্তপ্ত হলে বায়ুমন্ডল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে এবং ঝড়ের জন্ম হয়।
-
এই অস্থিরতার ফলে কিউমুলাস মেঘ উল্লম্বভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ গঠন করে এবং বজ্রঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয়।
-
সাধারণ বর্ষণের সঙ্গে পার্থক্য হলো, কালবৈশাখীর সঙ্গে সবসময় বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকা যুক্ত থাকে।
-
ঝড়ের গতি সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার, অনেক সময় ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটারেরও বেশি হয়ে যায়।
-
কালবৈশাখীকে বায়ুপুঞ্জ বজ্রঝড় (air mass thunderstorm) বা পরিচলনগত বজ্রঝড় (convective thunderstorm) হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে বলা যায়, কালবৈশাখী ঝড় সরাসরি কৃষি এবং স্থানীয় জীবজগতে ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে, যেমন পাকা ফসল নষ্ট হওয়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং ছাদ-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এছাড়া এটি দেশের গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যা বাতাস ও জলীয় বাষ্পের প্রবাহের সঙ্গে সম্পর্কিত। আধুনিক আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থায়, কালবৈশাখীর আগাম সতর্কতা দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমানো সম্ভব।

0
Updated: 20 hours ago