সমভূমি থেকে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এর গড় উচ্চতা কত?
A
প্রায় ৬ মিটার
B
প্রায় ১২ মিটার
C
প্রায় ২১ মিটার
D
প্রায় ৩০ মিটার
উত্তরের বিবরণ
প্লাইস্টোসিনকাল পৃথিবীর ভূ-তাত্ত্বিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যা আজ থেকে আনুমানিক প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বে সংঘটিত হয়েছিল। এ সময়ের গঠিত ভূমি বা সোপানসমূহ এখনো বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে বিদ্যমান এবং এগুলো মাটির রং, গঠন ও ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করে।
-
প্লাইস্টোসিনকালের মাটির রং সাধারণত লাল ও ধূসর।
-
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি, দেশের মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এই কালের অন্তর্ভুক্ত।
-
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় মূলত টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল অঞ্চল নিয়ে গঠিত।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি।
-
সমভূমি থেকে এর গড় উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার।
-
এর আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
এখানকার মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য তেমন উপযোগী নয়।
-
এই অঞ্চল দেশের গজারী বৃক্ষের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে বলা যায়, প্লাইস্টোসিন যুগটি ভূ-তাত্ত্বিকভাবে বরফ যুগের অংশ, এ সময়ে বারবার হিমবাহের অগ্রসর ও পশ্চাদপসারণ ঘটে, যার প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ভূমিরূপ ও মৃত্তিকা গঠনে বড় পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশের মধুপুর গড়, ভাওয়াল গড় ও লালমাই উচ্চভূমি মূলত অলুভিয়াল সোপানভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গড়ে ওঠা উঁচুভূমি, যেখানে প্রাকৃতিকভাবে শালবন, গজারী বন এবং ঝোপঝাড় বিস্তৃত। বর্তমানে এসব এলাকায় জনবসতি ও কৃষিকাজ বেড়ে গেলেও এখনও এগুলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবশিষ্ট বনাঞ্চলের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 20 hours ago
টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ও প্লাইস্টোসিনকালের সোপান ব্যতীত বাংলাদেশের বাকি অংশ কী রূপ?
Created: 1 month ago
A
উপকূলীয় ভূমি
B
প্লাবন সমভূমি
C
পার্বত্য অঞ্চল
D
কোনটিই নয়
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশ নদীবিধৌত একটি বিস্তীর্ণ সমভূমি।
-
অসংখ্য ছোট-বড় নদী বাংলাদেশের সর্বত্র জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে।
-
সমতলভূমির উপর দিয়ে নদীগুলো প্রবাহিত হওয়ায় বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয়।
-
বছরের পর বছর বন্যার সঙ্গে পরিবাহিত মাটি সঞ্চিত হয়ে এ প্লাবন সমভূমি গঠিত হয়েছে।
-
এই প্লাবন সমভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
-
ক. রংপুর ও দিনাজপুরের পাদদেশীয় সমভূমি।
-
খ. ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, পাবনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেটের অন্তর্গত বন্যা প্লাবন সমভূমি।
-
গ. ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ঢাকা অঞ্চলের অংশবিশেষ নিয়ে ব-দ্বীপ সমভূমি।
-
ঘ. নোয়াখালী ও ফেনী নদীর নিম্নভাগ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত চট্টগ্রামের উপকূলীয় সমভূমি।
-
ঙ. খুলনা ও পটুয়াখালী অঞ্চল এবং বরগুনা জেলার কিছু অংশ নিয়ে স্রোতজ সমভূমি।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago