কোন ভূগোলবিদ প্রথম 'Geography' শব্দ ব্যবহার করেন?
A
অ্যারিস্টটল
B
ইরাটোসথেনিস
C
অধ্যাপক ম্যাকনি
D
কার্ল রিটার
উত্তরের বিবরণ
ভূগোল এমন একটি বিদ্যা যা পৃথিবী ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সামাজিক পরিবেশের সমন্বিত বর্ণনা প্রদান করে। ভূগোল শব্দটি এসেছে ইংরেজি Geography শব্দ থেকে, যা পৃথিবী সম্পর্কিত জ্ঞানকে বোঝায়। ইতিহাসের বিভিন্ন ভূগোলবিদ ভিন্ন ভিন্নভাবে ভূগোলকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
-
প্রাচীন গ্রিসের ভূগোলবিদ ইরাটোসথেনিস সর্বপ্রথম "Geography" শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
Geo শব্দের অর্থ "ভূ" বা পৃথিবী এবং graphy শব্দের অর্থ "বর্ণনা"। সুতরাং Geography শব্দের অর্থ দাঁড়ায় "পৃথিবীর বর্ণনা"।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ অধ্যাপক ম্যাকনি (Professor E. A. Macnee) ভূগোলকে মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর আলোচনা বা বর্ণনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, ভৌত ও সামাজিক পরিবেশে মানুষের কর্মকাণ্ড ও জীবনধারা নিয়ে যে বিষয় আলোচনা করে তাই ভূগোল।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ ডাডলি স্ট্যাম্প (Professor L. Dudley Stamp) বলেছেন, পৃথিবী ও এর অধিবাসীদের বর্ণনাই ভূগোল।
-
জার্মান ভূগোলবিদ কার্ল রিটার (Professor Carl Ritter) ভূগোলকে পৃথিবীর বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
-
মার্কিন ভূগোলবিদ রিচার্ড হার্টশোর্ন (Professor Richard Hartshorne) বলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ই হলো ভূগোল।
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, ভূগোল মূলত দুই ভাগে বিভক্ত— ভৌত ভূগোল এবং মানব ভূগোল। ভৌত ভূগোল পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যেমন পাহাড়, নদী, জলবায়ু, মৃত্তিকা, সাগর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে মানব ভূগোল মানুষের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বসতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে। আধুনিক কালে ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো ভূ-তথ্য ব্যবস্থা (GIS) এবং রিমোট সেন্সিং, যা পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 20 hours ago
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে বলা হয়-
Created: 6 days ago
A
মৌসুমি বায়ু
B
অয়ন বায়ু
C
নিয়ত বায়ু
D
স্থলবায়ু
মৌসুমি বায়ু হলো ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক বায়ু, যা বর্ষাকালে বিশেষভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
মৌসুমি শব্দটি এসেছে আরবি ভাষার “মত্তসুম”, যার অর্থ ঋতু।
-
সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন অনুযায়ী শীত ও গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য মৌসুমি বায়ু সৃষ্টি করে।
-
মৌসুমি বায়ু প্রধানত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লক্ষ্য করা যায়, পাশাপাশি কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ, মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও দেখা যায়।
-
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল:
-
সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ায় কর্কটক্রান্তিতে বায়ুর চাপ কমে এবং নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে।
-
এ বায়ু এশিয়া মহাদেশের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে চলে আসে এবং চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপান, কম্বোডিয়া, লাওস-এ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়েও বৃষ্টি হয়।
-
-
শীতকালে:
-
সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে এবং মকরক্রান্তিতে নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ শীতল হওয়ায় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়।
-
বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যাকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলা হয় এবং এটি শুষ্ক থাকে।
-
মৌসুমি বায়ু যখন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী বাম দিকে বেঁকে যায় এবং উত্তর-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ুরূপে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 6 days ago
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে কোন দেশ অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
বাংলাদেশ
B
ভারত
C
শ্রীলঙ্কা
D
ইন্দোনেশিয়া
বঙ্গোপসাগর হলো বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
বেষ্টিত দেশসমূহ:
-
উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমে: ভারত
-
পূর্বে: মায়ানমার
-
উত্তরে: বাংলাদেশ
-
দক্ষিণ-পশ্চিমে: শ্রীলঙ্কা
-
দক্ষিণ-পূর্বে: ইন্দোনেশিয়া
-
-
ভূপৃষ্ঠের আয়তন: ২,৬০০,০০০ বর্গকিলোমিটার
-
দৈর্ঘ্য: ২,০৯০ কিলোমিটার
-
প্রস্থ: ১,৬১০ কিলোমিটার
-
গড় গভীরতা: ২,৬০০ মিটার
-
সর্বোচ্চ গভীরতা: ৪,৬৯৪ মিটার
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 6 days ago
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ কী দ্বারা গঠিত?
Created: 6 days ago
A
বেলেপাথর, শেল ও কদম
B
মার্বেল ও গ্রানাইট
C
কাদা মাটি
D
চুনাপাথর
পাহাড় হলো ভূ-পৃষ্ঠের প্রাকৃতিক উচ্চভূমি, যা সাধারণত চূড়ান্ত শীর্ষ এবং ঢালসহ উঁচু ভূপ্রদেশ গঠন করে। বাংলাদেশের ভূগোল এবং পারিপার্শ্বিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়সমূহের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
সিলেট অঞ্চলের পাহাড়: সিলেটের পার্বত্য এলাকা, যেমন জাফলং ও বাগানবিল উচ্চভূমি, আংশিকভাবে বাংলাদেশের পার্বত্য ভূ-রূপ।
-
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল: রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার পার্বত্য অঞ্চল; মেঘমালা, তেজপাহাড় ও খাসিয়াল উচ্চভূমি অন্তর্ভুক্ত।
-
মায়ানমারের সীমান্তবর্তী পাহাড়: বান্দরবান ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল মায়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত।
-
লুসাই পাহাড়: প্রধানত মিজোরাম ও আসামের অংশ, বাংলাদেশের নদী প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ উৎপত্তিস্থল।
-
আরাকান পাহাড়: সাঙ্গু নদীর উৎপত্তিস্থল, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত।
-
বাদানাতলী পর্বতশৃঙ্গ: খাগড়াছড়ি জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় যা হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল।
বাংলাদেশে পাহাড়সমূহ সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঘনবসতি এবং নদী উৎপত্তিস্থলের সঙ্গে সংযুক্ত।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 6 days ago