বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বা মহাকাশ অনুসন্ধানের মতো ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোন ধরনের কম্পিউটার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
A
Minicomputer
B
Mainframe Computer
C
Supercomputer
D
Workstation
উত্তরের বিবরণ
সুপারকম্পিউটার হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার, যা প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি গণনা করতে সক্ষম। এগুলো মূলত জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, পারমাণবিক গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মহাকাশ অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।
সুপারকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার:
-
সর্বোচ্চ ক্ষমতা ও দ্রুতগতি: এটি সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য সক্ষমতা: সুপারকম্পিউটার একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী পরিচালনা করতে পারে।
-
উচ্চ মেমোরি ও প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা: বিপুল পরিমাণ উপাত্ত সংরক্ষণ এবং জটিল গণনা পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি ও প্রসেসিং ইউনিট থাকে।
-
সমান্তরাল প্রসেসর ব্যবহারে ক্ষমতা: একাধিক প্রসেসর একসাথে কাজ করে প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক ও প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করে।
-
বহু ক্ষেত্রের ব্যবহার: সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বড় ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র ডিজাইন, সিমুলেশন, পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রধান প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য:
-
বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
-
RAM টাইপ মেমোরির বিশাল সংগ্রহ।
-
নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
-
উচ্চ ইনপুট/আউটপুট গতি।
-
কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
-
কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
-
মানুষের ক্ষমতার বাইরে বিপুল গণনা পরিচালনার সক্ষমতা।
0
Updated: 1 month ago
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় ব্যবহৃত POST এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 month ago
A
Power On System Test
B
Power On Self Test
C
Program Operating Software Test
D
Primary OS Test
POST (Power On Self Test) হলো একটি স্বয়ংক্রিয় ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়া, যা প্রতিবার কম্পিউটার চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু হয়। বুটিং (Booting) হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কম্পিউটার চালু হওয়ার পর অপারেটিং সিস্টেম মেমোরিতে লোড হয় এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়।
-
এতে যাচাই করা হয় কী-বোর্ড, মাউস, মনিটর এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে যুক্ত আছে কিনা।
-
যদি হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করে, CPU স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ডডিস্ক থেকে র্যামে লোড করে এবং কম্পিউটারকে ব্যবহারকারীর জন্য প্রস্তুত করে।
-
বুটিং হলো একটি স্বয়ক্রিয় প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হওয়ার পরই কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।
Booting-এর ধাপগুলো:
-
Power On → কম্পিউটার চালু হলে BIOS/UEFI লোড হয়।
-
POST (Power-On Self Test) → হার্ডওয়্যার ঠিকমতো কাজ করছে কিনা যাচাই করা হয়।
-
Boot Loader Execution → অপারেটিং সিস্টেমের boot manager (যেমন Windows Boot Manager বা GRUB) চালু হয়।
-
OS Loading → Windows, Linux বা অন্য OS মেমোরিতে লোড হয়।
-
User Interface Ready → ব্যবহারকারী লগইন করতে পারে এবং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি এম্বেডেড সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য?
Created: 1 month ago
A
মাল্টি-ইউজার সিস্টেম
B
সীমাহীন মেমরি
C
জেনারেল-পারপাস সফটওয়্যার
D
রিয়েল-টাইম কার্যক্রম
এম্বেডেড সিস্টেম হলো বিশেষভাবে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য তৈরি একটি কম্পিউটার সিস্টেম। এগুলো সাধারণত সীমিত মেমরি এবং প্রসেসিং ক্ষমতা নিয়ে তৈরি হয়, তবে নির্দিষ্ট ফাংশন দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অপ্টিমাইজ করা হয়। এই সিস্টেমগুলো মাল্টি-ইউজার সিস্টেমের মতো কাজ করে না এবং সাধারণ উদ্দেশ্যের সফটওয়্যার চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয় না। এম্বেডেড সিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো রিয়েল-টাইম কার্যক্রম, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কার্য সম্পন্ন করার ক্ষমতা।
-
এম্বেডেড কম্পিউটার একটি বিশেষায়িত সিস্টেম, যা কোনো বৃহৎ সিস্টেম বা যন্ত্রের অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি মাইক্রোপ্রসেসর, সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা সম্বলিত মেমরি বা রম এবং ইনপুট/আউটপুট সিস্টেমের সমন্বয়ে গঠিত।
-
সাধারণত এতে একটি মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড ও নির্দিষ্ট প্রোগ্রামসহ রম ব্যবহৃত হয়।
-
আধুনিক এম্বেডেড সিস্টেমে মাইক্রোকন্ট্রোলার ব্যবহার করা হয়।
-
এতে মনিটর বা অন্যান্য অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার সাধারণত থাকে না।
-
এম্বেডেড সিস্টেম ব্যবহৃত হয় সেল ফোন, এসি, প্রিন্টার, থার্মোস্ট্যাট, ভিডিও গেমস, এটিএম, ওয়াশিং মেশিন প্রভৃতিতে।
-
তবে LED লাইটে এম্বেডেড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় না।
0
Updated: 1 month ago
সুপারকম্পিউটার প্রধানত কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
গেম খেলা
B
অফিসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি
C
ভিডিও এডিটিং
D
আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং বৈজ্ঞানিক সিমুলেশন
সুপারকম্পিউটার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার, যা জটিল এবং বিশাল পরিমাণ ডেটা দ্রুততম সময়ে প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম। সাধারণ কম্পিউটারের মতো এগুলো অফিসের কাজ, গেম খেলা বা ভিডিও এডিটিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয় না, বরং এগুলোর মূল কাজ হলো উচ্চক্ষমতার বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সিমুলেশন এবং বিশ্লেষণ। সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করা হয় আবহাওয়া পূর্বাভাস, জলবায়ু পরিবর্তনের মডেল তৈরি, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস, মহাকাশ গবেষণা কিংবা জটিল চিকিৎসা বিশ্লেষণের মতো কাজে। এ কারণে বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুপার কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য:
-
এটি সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
একই সাথে একাধিক ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে।
-
বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত মেমরি ও উচ্চক্ষমতার প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা রয়েছে।
-
একাধিক প্রসেসর একসাথে কাজ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক ও জটিল কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম।
-
সুপারকম্পিউটার সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিশাল ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র নকশা, সিমুলেশন এবং পারমাণবিক চুল্লির নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।
সুপার কম্পিউটারের উদাহরণ:
-
CRAY-I
-
CRAY-XMP
-
CYBER 205
-
ETA-D2P
-
Intel Corporation-এর Paragon
-
জাপানের Nippon Electronic Company-এর Super SX II
0
Updated: 1 month ago