অনুকার দ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
A
চকচক
B
থকথকে
C
লুচিফুচি
D
ভটভট
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় অনুকার দ্বিত্ব হলো এমন শব্দ গঠন যেখানে পরপর দুটি কাছাকাছি চেহারার শব্দ ব্যবহৃত হয়। এতে প্রথম শব্দটি সাধারণত অর্থপূর্ণ হলেও, দ্বিতীয় শব্দটি প্রায়শই অর্থহীন হয়ে থাকে এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়। দ্বিতীয় শব্দের শুরুতে ট, ফ, ব, ম, শ ইত্যাদি ধ্বনি যুক্ত হয়ে শব্দকে খানিকটা অনির্দিষ্ট, সাধারণ বা গুরুত্বহীন করে।
-
উদাহরণ: অঙ্ক-টঙ্ক, অল্পসল্প, কেক-টেক, কচর-মচর, চাকর-বাকর, ছাগল-টাগল, ঝাল-টাল, হেন-তেন, লুচিফুচি, আগড়ম-বাগড়ম, এলোমেলো, ব্যাপার-স্যাপার, বুঝে-সুঝে
অনুকার দ্বিত্বে অনেক সময় স্বরের পরিবর্তনও ঘটে।
-
উদাহরণ: আড়াআড়ি, ঘোরাঘুরি, চুপচাপ, ঠেকাঠেকি, তাড়াতাড়ি, দলাদলি, দামাদামি, পাকাপাকি, বাড়াবাড়ি, মোটামুটি, ধারধোর
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
চকচক, থকথকে, ভটভট
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
বাক্যের মধ্যে শব্দ অবস্থান করে কীভাবে?
Created: 5 days ago
A
কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী
B
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী
C
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে
D
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে
সঠিক উত্তর হলো ক) কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী। বাংলায় বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে শব্দের অবস্থান সাধারণত কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) নিয়ম মেনে চলে, যা বাক্যের ব্যাকরণগত সঠিকতা ও অর্থ স্পষ্ট করে তোলে।
-
বাংলা বাক্যের মূল বৈশিষ্ট্য: শব্দের বিন্যাস কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) অনুসারে হয়।
-
উদাহরণ: “রানা (কর্তা) বই (কর্ম) পড়ে (ক্রিয়া)।” এখানে কর্তা শুরুতে, কর্ম মাঝখানে এবং ক্রিয়া শেষে এসেছে।
-
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী (খ): বাক্যের ভাব বা অর্থ শব্দ নির্বাচনে প্রভাব ফেললেও শব্দের অবস্থান মূলত পদবিন্যাসের নিয়মে নির্ধারিত হয়।
-
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে (গ): বাক্যে বিশেষণ-বিশেষ্য বা শব্দগুচ্ছ থাকতে পারে, তবে এটি শব্দের অবস্থান নির্ধারণ করে না; অবস্থান আসে পদবিন্যাস থেকে।
-
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে (ঘ): শব্দের পদ পরিচয় (বিশেষ্য, ক্রিয়া ইত্যাদি) তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করে, কিন্তু বাক্যে অবস্থান নির্ধারণ করে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া বিন্যাস।

0
Updated: 5 days ago
'মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন' প্রবাদের অর্থ কী?
Created: 4 days ago
A
লক্ষ্য অর্জনে প্রাণপণ চেষ্টা
B
সামান্য লাভের জন্যে অসম্মানের ভাগি হওয়া
C
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাল ছেড়ে না দেয়া
D
প্রত্যেকের যোগ্যতা সীমাবদ্ধ
'মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন' প্রবাদের অর্থ হলো লক্ষ্য অর্জনে প্রাণপণ চেষ্টা। এর পাশাপাশি আরও কিছু প্রবাদ রয়েছে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন ভিন্ন।
-
মাছি মেরে হাত কালো করা: সামান্য লাভের জন্যে অসম্মানের ভাগি হওয়া
-
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ: শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাল না ছাড়া
-
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত: প্রত্যেকের যোগ্যতা সীমাবদ্ধ
উৎস:

0
Updated: 4 days ago
‘গরমিল’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 week ago
A
মিল ও অমিল
B
অমিলের সদৃশ
C
মিলের অভাব
D
গর ও মিল
গরমিল সমাসের ব্যাসবাক্য - "মিলের অভাব"। এটি একটি অব্যয়ীভাব সমাস।

0
Updated: 1 week ago