শাহ মুহম্মদ সগীর কার শাসন আমলে 'ইউসুফ জোলেখা' কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেন?
A
শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ
B
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
C
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
D
ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ
উত্তরের বিবরণ
• ইউসুফ-জোলেখা কাব্য:
- 'ইউসুফ-জোলেখা' শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত কাহিনি কাব্যগ্রন্থ যা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য। তিনি পারস্যের জামী রচিত 'ইউসুফ জোলেখা' কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেন যা এই ধারার আদি গ্রন্থ।
- গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ) এ গ্রন্থ রচিত হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। সে-বিচারে কাব্যটি পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকের রচনা এবং শাহ মুহম্মদ সগীর বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি হিসেবে গণ্য।
- বাইবেল ও কোরানে ইউসুফ-জোলেখার কাহিনি বর্ণিত আছে। ইরানের কবি ফেরদৌসিও (মৃত্যু ১০২৫ খ্রিষ্টাব্দ) এই নামে কাব্য রচনা করেছেন। শাহ মুহম্মদ সগীর কোরান ও ফেরদৌসির কাছ থেকেই কাহিনিসূত্র গ্রহণ করে ইউসুফ ও জোলেখার প্রণয়কাহিনি লেখেন।
- তৈমুস বাদশার কন্যা জোলেখার আজিজের সঙ্গে বিয়ে হয়। ক্রীতদাস ইউসুফের (নবি) প্রতি প্রেমাসক্ত হয়ে জোলেখা তাকে আকর্ষণ করে। নানা ঘটনায় ইউসুফ মিশরের অধিপতি হয় এবং তার মনেরও পরিবর্তন ঘটে। ধর্মান্তরের মধ্য দিয়ে ইউসুফ-জোলেখার মিলন হয়। সুফিরা ইউসুফকে পরমাত্মা জোলেখাকে জীবাত্মার প্রতীক বিবেচনা করেন। সর্গীরও তাই করেছেন। তবে বর্ণনায় প্রেমের আবহটি প্রধান হয়েছে।
- সগীর ছাড়া একই কাহিনি নিয়ে আবদুল হাকিম, গরীবুল্লাহ, ফকির মুহম্মদ প্রমুখ কাব্য লিখেছেন। তবে এ কাব্য শাহ মুহম্মদ সগীরই প্রথম লেখেন।
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
বাক্যের মধ্যে শব্দ অবস্থান করে কীভাবে?
Created: 5 days ago
A
কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী
B
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী
C
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে
D
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে
সঠিক উত্তর হলো ক) কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী। বাংলায় বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে শব্দের অবস্থান সাধারণত কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) নিয়ম মেনে চলে, যা বাক্যের ব্যাকরণগত সঠিকতা ও অর্থ স্পষ্ট করে তোলে।
-
বাংলা বাক্যের মূল বৈশিষ্ট্য: শব্দের বিন্যাস কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) অনুসারে হয়।
-
উদাহরণ: “রানা (কর্তা) বই (কর্ম) পড়ে (ক্রিয়া)।” এখানে কর্তা শুরুতে, কর্ম মাঝখানে এবং ক্রিয়া শেষে এসেছে।
-
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী (খ): বাক্যের ভাব বা অর্থ শব্দ নির্বাচনে প্রভাব ফেললেও শব্দের অবস্থান মূলত পদবিন্যাসের নিয়মে নির্ধারিত হয়।
-
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে (গ): বাক্যে বিশেষণ-বিশেষ্য বা শব্দগুচ্ছ থাকতে পারে, তবে এটি শব্দের অবস্থান নির্ধারণ করে না; অবস্থান আসে পদবিন্যাস থেকে।
-
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে (ঘ): শব্দের পদ পরিচয় (বিশেষ্য, ক্রিয়া ইত্যাদি) তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করে, কিন্তু বাক্যে অবস্থান নির্ধারণ করে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া বিন্যাস।

0
Updated: 5 days ago
'ময়ূর' শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
কেকী
B
শিখণ্ডী
C
উরগ
D
বর্হী
সমার্থক শব্দের উদাহরণ
১. ময়ূর
-
অর্থ: উজ্জ্বল ও সুন্দর পালকযুক্ত পাখি
-
সমার্থক শব্দ: কলাপী, কেকী, শিখী, শিখণ্ডী, বর্হী, বর্হিণ
২. সাপ
-
অর্থ: বিষধর বা অ-বিষধর সরীসৃপ
-
সমার্থক শব্দ: আশীবিষ, উরগ
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 3 weeks ago
'ইতরবিশেষ’ বলতে বােঝায়—
Created: 1 week ago
A
দুর্বৃত্ত
B
চালাকি
C
পার্থক্য
D
অপদার্থ
ইতরবিশেষ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং এর অর্থ হলো সামান্য পার্থক্য। এটি সাধারণত কোনো বিষয় বা ব্যক্তির বিশেষ দিককে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। বাংলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা ও তাদের অর্থ হলো:
-
গভীর জলের মাছ: খুব চালাক বা চতুর ব্যক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
ঘটিরাম/অকাল কুষ্মান্ড: অপদার্থ বা অযোগ্য ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
বকধার্মিক: ভণ্ড বা দু-faced ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 week ago