A
গ্রিসে
B
মেসোপটেমিয়ায়
C
রোমে
D
ভারতে
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম ও বহুল আলোচিত সভ্যতা হলো মেসোপটেমিয়া। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৪,০০০ অব্দে, যখন মিশরে নগর সভ্যতার সূচনা ঘটে, তখন মেসোপটেমিয়াও তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও নগর জীবনের বিকাশ শুরু করে।
‘মেসোপটেমিয়া’ শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক ভাষা থেকে, যার অর্থ “দুই নদীর মাঝে অবস্থিত ভূমি”। এই দুটি নদী হলো টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস, যাদের মাঝে বিস্তৃত ছিলো উর্বর এক উপত্যকা। গ্রীক পণ্ডিতরাই প্রথম এই অঞ্চলের জন্য ‘মেসোপটেমিয়া’ নাম ব্যবহার করেন।
ভৌগোলিকভাবে মেসোপটেমিয়া দুই ভাগে বিভক্ত ছিল—উত্তর ও দক্ষিণ। উত্তরাঞ্চল পরিচিত ছিল অ্যাসেরীয় নামে, আর দক্ষিণ অংশই মূলত মেসোপটেমিয়া নামে অধিক পরিচিত।
বর্তমান বিশ্বের মানচিত্রে ইরাকের অধিকাংশ এলাকাই এই প্রাচীন সভ্যতার অংশ ছিল। তাছাড়া এর বিস্তৃতি আজকের সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান ও কুয়েত পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
মেসোপটেমিয়ার মানুষ ধর্মীয়ভাবে ছিল বহুঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তারা একাধিক দেবদেবীর পূজা করত এবং প্রতিটি দেবতার ছিলো নিজস্ব দায়িত্ব ও ক্ষমতা। এই সভ্যতা শুধু প্রাচীনত্বেই নয়, মানবজাতির সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও প্রশাসনিক বিকাশেও এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যসূত্র: Britannica

0
Updated: 2 weeks ago