তারিখবাচক শব্দের ১ থেকে ৪ পর্যন্ত সংখ্যাশব্দ কোন নিয়মে সাধিত হয়?
A
বাংলা
B
হিন্দি
C
সংস্কৃত
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় তারিখ নির্দেশ করার জন্য সংখ্যাশব্দের পূরণবাচক ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিনে বা তারিখে বোঝানো হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
১লা → পহেলা বা পয়লা
২রা → দোসরা
৩রা → তেরসা
৪ঠা → চৌঠা
৫ই → পাঁচই
৬ই → ছয়ই -
লক্ষ্যণীয়, প্রথম চারটি তারিখবাচক শব্দ (১–৪) হিন্দি নিয়ম অনুসারে গঠিত, বাকিগুলো বাংলার নিজস্ব নিয়মে গঠিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দে বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কুল
B
দাম
C
নিচয়
D
আবলি
বাংলা ভাষায় প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচন গঠনের জন্য বিভিন্ন বহুবচন পদ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বস্তুবাচক বা অপ্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ বহুবচন লগ্নকও ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে বহুবচন:
কুল → কবিকুল, পক্ষিকুল, মাতৃকুল, বৃক্ষকুল
সকল → পর্বতসকল, মনুষ্যসকল
সব → ভাইসব, পাখিসব
সমূহ → বৃক্ষসমূহ, মনুষ্যসমূহ -
বস্তুবাচক বা অপ্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে বহুবচন লগ্নক:
আবলি → পুস্তকাবলি
গুচ্ছ → কবিতাগুচ্ছ
দাম → কুসুমদাম, পুষ্পদাম
নিকর → কমলনিকর
পুঞ্জ → মেঘপুঞ্জ
মালা → পর্বতমালা
রাজি → তারকারাজি
রাশি → বালিরাশি
নিচয় → কুসুমনিচয়
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান'- কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর
"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান"- এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। স্বরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রতিটি পদে স্বরবর্ণের পরিমাণ (মাত্রা) সুষম থাকে, এবং প্রতিটি পদে অন্ত্যধ্বনি বা শেষ শব্দের শেষ অংশে সাধারণত স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়। এই ছন্দের ক্ষেত্রে, প্রত্যেকটি অক্ষরের মধ্যে সহজ, মসৃণ ও ধারাবাহিক গতি থাকে।
এখানে "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" পদটি এর জন্যই উপযুক্ত উদাহরণ, কারণ এতে প্রতিটি শব্দের মধ্যে যে স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়, তা ধারাবাহিক ও মসৃণ। এর ফলে, শব্দের মধ্যে সুর এবং ছন্দের একটি সুন্দর প্রবাহ তৈরি হয়, যা স্বরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্য।
এছাড়া, বাকি ছন্দগুলো (অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অমিত্রাক্ষর) যেমন:
-
অক্ষরবৃত্ত: যেখানে প্রতিটি পদে নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে নির্ধারিত অক্ষরের।
-
মাত্রাবৃত্ত: যেখানে মাত্রার সংখ্যা অভিন্ন থাকে।
-
অমিত্রাক্ষর: যেখানে চরণে নিয়মিত চরণান্তর থাকে, কিন্তু অন্ত্যমিল নিয়মিত হয় না।
এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি স্বরবৃত্ত ছন্দের সঙ্গে মেলে না, এবং তাই "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
0
Updated: 2 weeks ago
কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
Created: 3 months ago
A
রোমান্টিসিজম
B
আধুনিকতাবাদ
C
উত্তরাধুনিকতাবাদ
D
বাস্তববাদ
উত্তর-আধুনিকতাবাদ:
- উত্তর-আধুনিকবাদ মতটি সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, স্থাপত্য, সমালোচনার ক্ষেত্রে Deconstruction ও Post-structural- ism-এর সঙ্গে অনেকটাই সংশ্লিষ্ট।
- Postmodernism শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৭০ সালে। জন ওয়াটকিনস চ্যাপম্যান ফরাসি Impressionism থেকে চিত্রকলাকে পৃথক করার জন্য প্রথম এই ধারার চিত্রের কথা বলেন।
- সাহিত্যের ক্ষেত্রে Postmodern ধারণাটি প্রথম আসে ১৯৭২ সালে আমেরিকান 'সীমান্ত ২' (Boundary 2) পত্রিকার মাধ্যমে। ডেভিড এনটিন, চার্লস অলসন, জর্জ লুইস বর্জ প্রমুখ এই ধারাকে বেগবান করেন। আরব-আমেরিকার লেখক ইহাব হাসান ১৯৭১ সালে উত্তর-আধুনিক ধারায় সাহিত্য সমালোচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
- উত্তর-আধুনিকতার মূলকথা হচ্ছে: 'সব কিছুই বহমান ও খণ্ডিত। সত্যের কোনো বস্তুগত রূপ নেই। সমস্ত নৈতিক, সামাজিক রীতি-নীতি কৃত্রিম, বিধি বহির্ভূত অকারণ ও বাইরে থেকে চাপানো; সত্য কেবল বিষয়গত ও আধ্যাত্মীয়।'
- আরনল্ড টয়েনবি, আরভিং হো, হ্যারি লেভিন, এডওয়ার্ড সাইড প্রমুখ উত্তর-আধুনিক ধারার সমর্থক।
- এই ধারা মূলত আধুনিকতার বিপরীতে পথসন্ধান করে এবং মধ্যযুগের মূল্যবোধে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মধ্যযুগ ব্যাখ্যায় বৈজ্ঞানিকতার বদলে অনেকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় স্থিত হন। এখানেই উত্তর-আধুনিকতার সীমাবদ্ধতা।
- মূলত নৈরাশ্য থেকে এ পথে তারা সর্বসমস্যার সমাধান খোঁজেন। তখন আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে তারা পতিত হন ধর্মমোহে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago