'অবিন্ধন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
অব্ + ইন্ধন
B
অপ্ + ইন্ধন
C
অপ্ + বিন্ধন
D
অবি্ + ইন্ধন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি হলো এমন একটি ব্যুৎপত্তিগত নিয়ম যেখানে পূর্বপদ এবং পরপদ যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন করে। এটি মূলত ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বর ও ব্যঞ্জনের মিলন নির্দেশ করে।
-
নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বপদের শেষ বর্গের ব্যঞ্জন যদি ক, চ, ট, ত্, প হয় এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জন, তাহলে পূর্বপদের ব্যঞ্জনকে সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ধ্বনি তে পরিবর্তন করা হয়।
উদাহরণ: ক → গ্, চ → জ্, ট → ড্ [ড়্], ত্ → দ্, প্ → ব্। পরপদের স্বর ধ্বনি বর্গের তৃতীয় ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। -
উদাহরণসমূহ:
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
প্রাক্ + উক্ত → প্রাগুক্ত
ণিচ্ + অন্ত → ণিজন্ত
অচ্ + অন্ত → অজন্ত
ষট্ + অঙ্গ → ষড়ঙ্গ
ষট্ + ঋতু → ষড়ঋতু
ষট্ + ঐশ্বর্য → ষড়ৈশ্বর্য
ষট্ + আনন → ষড়ানন
সৎ + অর্থক → সদর্থক
সৎ + ইচ্ছা → সদিচ্ছা
মৃৎ + অজ্ঞা → মৃদঙ্গ
শরৎ + ইন্দু → শরদিন্দু
অপ্ + অগ্নি → অবগ্নি
অপ্ + ইন্ধন → অবিন্ধন
সুপ্ + অন্ত → সুবন্ত
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'মস্যাধার' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মস্যা + ধার
B
মসি + আধার
C
মসী + ধার
D
মসী + আধার
'মস্যাধার' শব্দের সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ
-
মসী + আধার = মস্যাধার
🔹 সন্ধির নিয়ম
-
ই-কার (◌ি) বা ঈ-কার (◌ী)-এর পর ই বা ঈ ছাড়া অন্য কোনো স্বর এলে, ই/ঈ স্থলে য/য-ফলা বসে।
-
এই য-ফলা পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
📌 সূত্র: [ ঈ + আ = য্ + আ ]
উদাহরণ:
-
মসী + আধার = মস্যাধার
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
“নাবিক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 21 hours ago
A
নৌ + ইক
B
নব + ইক
C
ন + বিক
D
নাব + ইক
“নাবিক” শব্দটি গঠিত হয়েছে দুটি অংশের মিলনে, যা বাংলায় সন্ধি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন অর্থ তৈরি করে। এখানে “নৌ” শব্দের অর্থ নৌকা বা জাহাজ, আর “ইক” প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে এমন ব্যক্তি বোঝাতে যে নৌকা চালায় বা পরিচালনা করে। নিচে বিষয়টি বিশদভাবে তুলে ধরা হলো।
-
মূল শব্দ “নৌ” এসেছে সংস্কৃত “নৌ” (নৌকা) শব্দ থেকে, যার অর্থ জাহাজ বা জলযান।
-
“ইক” হলো প্রত্যয়, যা কোনো পেশা বা কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ করে। যেমন “গায়ক” (যে গান গায়), “নাবিক” (যে নৌ চালায়)।
-
সন্ধি প্রক্রিয়া: “নৌ + ইক” যোগে স্বরসন্ধি ঘটে, যেখানে “ও + ই” → “বি” ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়ে “নাবিক” গঠিত হয়।
-
অর্থ: “নাবিক” অর্থ সেই ব্যক্তি, যিনি জাহাজ বা নৌকা পরিচালনা করেন।
-
ভাষাগত বিশ্লেষণ: এখানে “নৌ” পদটি বস্তুবাচক, আর “ইক” প্রত্যয় দ্বারা পেশাবাচক রূপ পেয়েছে।
-
উদাহরণ: যেমন “গায়ক”, “চাষিক”, “পাঠক”— এদের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রত্যয় যোগে পেশা নির্দেশ করা হয়েছে।
0
Updated: 21 hours ago
’শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
C
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
রামানন্দ চট্টপাধ্যায়
‘শনিবারের চিঠি’ ছিল একটি ব্যঙ্গাত্মক ধাঁচের সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক আকারে প্রকাশিত হয়। হাস্য-বিদ্রূপের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্যচর্চাকে সমালোচনা করাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল।
-
পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে।
-
১৯৩০-৪০ এর দশকে এটি কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
-
এই পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ছিল আক্রমণাত্মক, তবে তৎকালীন সাহিত্যে এটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল।
-
পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রকাশনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন যোগানন্দ দাস।
-
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী-ও একসময় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত অধিকাংশ রচনা বেনামে প্রকাশিত হয়েছিল।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago