'কুম্ভকার' কোন সমাস?
A
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
অলুক দ্বন্দ্ব
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন একটি সমাস যেখানে কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার অর্থপূর্ণ অংশের আগে থাকা পদটিকে উপপদ বলা হয় এবং কৃৎ-প্রত্যয় দ্বারা সমাস তৈরি হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
অগ্রে গমন করে যে → অগ্রগামী
এখানে 'গামী' স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার হয় না। কেবল অগ্রে গামী বলা সম্ভব নয়; ব্যাক্য হবে 'অগ্রে গমন করে যে'। -
এরূপ উদাহরণ:
ধামা ধরে যে → ধামাধরা
ছেলে ধরে যে → ছেলেধরা -
উপপদ সনাক্ত করার নিয়ম:
কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের আগে যদি কোন পদ থাকে, তাকে উপপদ বলা হয়। অথবা, যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেটিও উপপদ হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ: কুম্ভকার → কুম্ভ + √কৃ + অ
এখানে 'কুম্ভ' হলো উপপদ। অর্থাৎ কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
বিবৃত স্বরধ্বনি বলতে বোঝায় -
Created: 1 week ago
A
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট বেশি খোলে
B
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে জিভ উঁচু হয়
C
যে স্বরধ্বনি অবিকৃতভাবে উচ্চারিত হয়
D
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে বিকৃতি ঘটে
বিবৃত স্বরধ্বনি হলো এমন স্বরধ্বনি যাকে উচ্চারণ করার সময় ঠোঁট বেশি খোলে। স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটা খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
সংবৃত: [ই], [উ] – উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলা থাকে।
-
অর্ধ-সংবৃত: [এ], [ও] – মাঝারি খোলা ঠোঁটের স্বরধ্বনি।
-
অর্ধ-বিবৃত: [অ্যা], [অ] – তুলনামূলক বেশি খোলা ঠোঁট।
-
বিবৃত: [আ] – উচ্চারণের সময় ঠোঁট সবচেয়ে বেশি খোলা থাকে।
উচ্চারণের সময়ে জিভের অবস্থান অনুযায়ীও স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত:
-
উচ্চ স্বরধ্বনি: [ই], [উ] – জিভ উপরে থাকে।
-
উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: [এ], [ও] – জিভ মাঝারি অবস্থানে থাকে।
-
নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: [অ্যা], [অ] – জিভ কিছুটা নিচে থাকে।
-
নিম্ন স্বরধ্বনি: [আ] – জিভ নিচে থাকে।
উচ্চ স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ উপরে ওঠে এবং নিম্ন স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ নিচে নামে।

0
Updated: 1 week ago
বাক্যের ক্ষুদ্রাংশকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
পদ
B
রূপ
C
শব্দমূল
D
ধ্বনি
ধ্বনি: ভাষার সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম উচ্চারণযোগ্য একক। কিন্তু এটি বাক্যের ক্ষুদ্রাংশ নয়, ভাষার মৌলিক ধ্বনিগত একক।
-
শব্দমূল: শব্দের মূল ভিত্তি বা উৎপত্তি, কিন্তু এটি বাক্যের অংশ নয়।
-
রূপ: শব্দের আকার বা রূপান্তর বোঝায়।
-
পদ: বাক্যের ক্ষুদ্রাংশকে বলা হয় পদ। এক বা একাধিক পদ মিলেই একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠিত হয়। যেমন –
-
আমি (পদ) ভাত (পদ) খাই (পদ)।
-
অতএব, বাক্যের ক্ষুদ্রাংশ = পদ।

0
Updated: 3 weeks ago
জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী 'ও' এর অবস্থান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মধ্য
B
সম্মুখ
C
পশ্চাৎ
D
নিম্ন মধ্য
• উচ্চারণের সময়ে জিভের উচ্চতা অনুযায়ী, জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী এবং ঠোঁটের উন্মুক্তি অনুযায়ী স্বরধ্বনিকে ভাগ করা হয়।
• জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী-
সম্মুখ- ই, এ, অ্যা,
মধ্য- আ;
পশ্চাৎ- উ, ও, অ।
• জিভের উচ্চতা অনুযায়ী-
উচ্চ- ই, উ।
উচ্চ-মধ্য- এ, ও।
নিম্ন-মধ্য- অ্যা, অ।
নিম্ন- আ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম ও দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago