'আচার্য' এর শুদ্ধ স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
A
আচার্যিনী
B
আচার্যি
C
আচার্যানী
D
আচার্যাইন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনে আনী-প্রত্যয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রত্যয় যোগ করলে মূল শব্দ থেকে নতুন শব্দ তৈরি হয়, যা অনেক সময় লিঙ্গবাচক রূপ প্রকাশ করে, আবার কখনো অর্থে ভিন্নতা আনে।
-
আনী-প্রত্যয় যুক্ত শব্দ:
ইন্দ্র → ইন্দ্রানী
মাতুল → মাতুলানী
আচার্য → আচার্যানী (তবে আচার্যের কর্মে নিয়োজিত অর্থে শুধু আচার্য) -
অন্য উদাহরণ:
শূদ্র → শূদ্রা (শূদ্র জাতীয় স্ত্রীলোক)
শূদ্র → শূদ্রানী (শূদ্রের স্ত্রী)
ক্ষত্রিয় → ক্ষত্রিয়া/ক্ষত্রিয়ানী -
অর্থের পার্থক্য সৃষ্টি করা উদাহরণ:
অরণ্য → অরণ্যানী (বৃহৎ অরণ্য)
হিম → হিমানী (জমানো বরফ)
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি।' - বাক্যে 'চোরে' কোন কারক?
Created: 1 month ago
A
কর্ম
B
করণ
C
কর্তৃ
D
অধিকরণ
বাংলা ব্যাকরণে যে বিশেষ্য বা সর্বনাম ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্তা বা কর্তৃকারক বলা হয়। কর্তৃকারক নির্ধারণে সাধারণত ক্রিয়ার সঙ্গে ‘কে’ বা ‘কারা’ প্রশ্ন করা হয়; যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটি কর্তৃকারক।
-
কর্তৃকারকের বিভিন্ন বিভক্তি ও উদাহরণ:
-
প্রথমা (শূন্য বা অ) বিভক্তি: হামিদ বই পড়ে।
-
দ্বিতীয়া (কে) বিভক্তি: বশিরকে যেতে হবে।
-
তৃতীয়া (দ্বারা) বিভক্তি: ফেরদৌসী কর্তৃক শাহনামা রচিত হয়েছে।
-
ষষ্ঠী (র) বিভক্তি: আমার যাওয়া হয়নি।
-
সপ্তমী বিভক্তি: চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সমার্থক অর্থ প্রকাশ করে কোন শব্দজোড়টি?
Created: 1 month ago
A
দার - দ্বার
B
দ্বারা - দারা
C
দ্বার - দ্বারা
D
দার - দারা
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দজোড় আছে যেগুলো উচ্চারণে কাছাকাছি হলেও অর্থে ভিন্ন। আবার কিছু শব্দ একে অপরের সমার্থক অর্থও প্রকাশ করে। নিচে একটি উদাহরণ তুলে ধরা হলো—
-
সমার্থক শব্দজোড়: দার–দারা
অর্থ: স্ত্রী।
অন্যদিকে—
-
দার অর্থ স্ত্রী।
-
দ্বার অর্থ দরজা।
-
দারা অর্থ স্ত্রী।
-
দ্বারা অর্থ দিয়ে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
নিষ্প্রভ
B
নিষ্তব্ধ
C
নিষ্পন্দ
D
পুরষ্কার
শুদ্ধ বানান: নিষ্প্রভ
অর্থ: প্রভাহীন, অনুজ্জ্বল বা দীপ্তিহীন। শব্দটি এমন কোনো বস্তুর অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা আলো, উজ্জ্বলতা বা দীপ্তি হারিয়েছে।
অশুদ্ধ বানানগুলোর শুদ্ধ রূপ:
-
পুরস্কার
-
নিস্পন্দ
-
নিস্তব্ধ
বানানের নিয়ম:
-
বিসর্গযুক্ত অ-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত ‘স’ যুক্ত হয়।
উদাহরণ: পুরঃ + কার = পুরস্কার। -
বিসর্গযুক্ত ই-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত ‘ষ’ যুক্ত হয়।
উদাহরণ: বহিঃ + কার = বহিষ্কার।
সহজ নিয়মে মনে রাখার উপায়:
-
অ-যুক্ত বা মুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘স’ হবে।
উদাহরণ: নমস্কার, পুরস্কার, বনস্পতি, তিরস্কার, বাচস্পতি ইত্যাদি। -
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘ষ’ হবে।
উদাহরণ: আবিষ্কার, নিষ্কলঙ্ক, পরিষ্কার, নিষ্ফল, নিষ্প্রভ, নিষ্পাপ, নিষ্পন্ন, নিষ্কর, জ্যোতিষ্ক ইত্যাদি। -
তবে ‘স্প’, ‘স্ত’, ‘স্থ’ থাকলে ‘ষ’ হয় না।
উদাহরণ: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago