'অসারের তর্জনগর্জন' অর্থে কোন প্রবাদটি ব্যবহৃত হয়?
A
যত গর্জে তত বর্ষে না
B
খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
C
খালি কলসির বাজনা বেশি'
D
গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন
উত্তরের বিবরণ
প্রবাদ-প্রবচন সাধারণত জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে গড়ে ওঠে এবং এতে শিক্ষামূলক অর্থ নিহিত থাকে। প্রতিটি প্রবাদ একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। নিচে প্রদত্ত প্রবাদগুলোর অর্থ তুলে ধরা হলো।
-
'খালি কলসির বাজনা বেশি' অর্থ হলো অসারের তর্জনগর্জন।
-
'যত গর্জে তত বর্ষে না' অর্থ হলো সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাজ সম্পন্ন হয় না।
-
'খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি' অর্থ হলো আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়া।
-
'গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন' অর্থ হলো অধ্যবসায়ের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জিত হয়।
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
'সমাস' শব্দের ব্যুৎপত্তি কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সম্ + √ অ + মস্
B
সম্ + √ অ + অস্
C
সম্ + √ অস্ + অ
D
সম্ + √ অস্
সমাস
ব্যুৎপত্তি:
‘সমাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তি হলো – সম্ + √অস্ + অ।
সংজ্ঞা:
অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দ একত্রিত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
অর্থ:
সমাস শব্দের অর্থ হলো সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ।
সমাসের কাজ:
-
ভাষাকে সংক্ষেপ করা।
-
নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করা।
-
শব্দ গঠন সহজ করা।
সমাস আলোচনার ক্ষেত্র:
সমাস মূলত শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়।
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago
'রামগরুড়ের ছানা' কথাটির অর্থ-
Created: 2 months ago
A
কাল্পনিক জন্তু
B
গোমড়ামুখো লোক
C
মুরগি
D
পুরাণোক্ত পাখি
• ‘রামগরুড়ের ছানা’ বাগ্ধারার অর্থ - গোমড়ামুখো লোক।
এরূপ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগ্ধারা হলো:
• ‘ধামাধরা’ বাগ্ধারার অর্থ - তোষামোদকারী।
• ‘যমের দোসর’ বাগ্ধারার অর্থ - নিষ্ঠুর ব্যক্তি।
• ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ বাগ্ধারার অর্থ - একেবারে দরিদ্র বা হত দরিদ্র অবস্থা।
• 'বুদ্ধির ঢেঁকি' বাগ্ধারার অর্থ - নির্বোধ লোক।
• ‘ফেকলু পার্টি’ বাগ্ধারার অর্থ - কদরহীন লোক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
সারাংশ লিখনে একাধিক অনুচ্ছেদ থাকা-
Created: 2 weeks ago
A
অপ্র্যয়োজনীয়
B
অপিরহার্য
C
বাঞ্ছনীয়
D
অসম্ভব
সারাংশ কিংবা সারমর্ম ঠিকঠাক লেখার জন্য যা যা করতে হবে— - সারমর্ম বা সারাংশ লেখার সময় অনুচ্ছেদের কথা বা বাক্য লিখে দিলে চলবে না। আগে মূল ভাব বুঝতে হবে, এরপরই সাজিয়ে সংক্ষেপে লিখতে হবে।
কবিতা, গদ্য বা রচনা খেয়াল করে পড়লেই ূমূল ভাব আঁচ করা যাবে। অর্থাৎ ভালোভাবে পড়লেই মূল বিষয়বস্তু বোঝা যাবে। - কোনো কোনো সময় রচনায় একাধিক মূল ভাব বা বক্তব্যও থাকতে পারে। যদি এমনটি হয়, তাহলে আসল মূল ভাব বোঝার সহজ উপায় হলো—রচনার বাক্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো শনাক্ত করা। এরপর বাক্যগুলোর সঙ্গে কোন ভাবটি বেশি কাছাকাছি তা যাচাই করা।
কোন বাক্যগুলো দরকারি, কোনগুলো অদরকারি—সেগুলো আলাদা করতে হবে। তাহলে কাজটা সহজ হবে। মূল রচনার যে অংশটা প্রশ্নে থাকবে, সেখানে উল্লিখিত উদ্ধৃতি, বর্ণনা, সংলাপ, উদাহরণ, উপমা বাদ দিতে হয়। - সারমর্ম কিংবা সারাংশ বড় করে লেখার সুযোগ নেই।
আর লেখার গণ্ডি অবশ্যই রচনার মূল ভাবের মধ্যেই যেন সীমিত থাকে। এখানে নিজের ইচ্ছামতো কোনো মন্তব্য বা মতামত লেখা যাবে না। - সারাংশ লিখনে একাধিক অনুচ্ছেদ থাকা অপ্রয়োজনীয়।

0
Updated: 2 weeks ago