'উড়ুনি > উড়নি' কোন ধরনের স্বরসঙ্গতির উদাহরণ?
A
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
B
চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি
C
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
D
প্রগত স্বরসঙ্গতি
উত্তরের বিবরণ
• স্বরসঙ্গতি: একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন- দেশি > দিশি, বিলাতি > বিলিতি, মুলা > মুলো ইত্যাদি। প্রগত স্বরসঙ্গতি: আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো। পরাগত স্বরসঙ্গতি: অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে পরাগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- আখো > আখুয়া > এখো, দেশি > দিশি। মধ্যগত স্বরসঙ্গতি: আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- বিলাতি > বিলিতি, জিলাপি > জিলিপি। অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- মোজা > মুজো। চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি: - গিলা > গেলা, মিলামিশা > মেলামেশা, মিঠা > মিঠে, ইচ্ছা > ইচ্ছে ইত্যাদি। - পূর্বস্বর উ-কার হলে পরবর্তী স্বর ও-কার হয়। যেমন- মুড়া > মুড়ো, চুলা > চুলো ইত্যাদি। - বিশেষ নিয়মে - উড়ুনি > উড়নি, এখনি > এখুনি হয়। উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ)।
উৎপাদিত তথ্য অপরিবর্তিত রেখে রিরাইট করা হলো:
স্বরসঙ্গতি:
- একজন স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
- উদাহরণ: দেশি > দিশি, বিলাতি > বিলিতি, মুলা > মুলো ইত্যাদি।
প্রগত স্বরসঙ্গতি:
- আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো।
পরাগত স্বরসঙ্গতি:
- অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে পরগত স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: আখো > আখুয়া > এখো, দেশি > দিশি।
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি:
- আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: বিলাতি > বিলিতি, জিলাপি > জিলিপি।
অন্নোন্য স্বরসঙ্গতি:
- আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: মোজা > মুজো।
0
Updated: 1 month ago
কোনটির স্ত্রীলিঙ্গ ভিন্ন শব্দ?
Created: 1 month ago
A
বিদ্বান
B
গায়ক
C
কোকিল
D
দাদা
গায়ক - গায়িকা, কোকিল - কোকিলা, দাদা - দাদি এগুলো লিঙ্গের সাধারণ নিয়মে গঠিত হয়েছে। 'বিদ্বান - বিদুষী' - ব্যতিক্রম।
0
Updated: 1 month ago
'ঋ' এর উচ্চারণস্থান কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ওষ্ঠ্য
B
দন্ত্য
C
মূর্ধা
D
কণ্ঠ্য
বাংলা স্বরবর্ণ ঋ [রি]
-
অবস্থান: বাংলা ভাষার সপ্তম স্বরবর্ণ।
-
উচ্চারণস্থান: মূর্ধা।
উচ্চারণের নিয়ম:
-
স্বাধীন ব্যবহারে: শব্দের শুরুতে কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে ব্যবহৃত হলে উচ্চারণ হয় 'রি'।
-
উদাহরণ: ঋণ, ঋষি
-
-
যদি অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়: তখন ঋ-এর উচ্চারণ হয় র-ফলা।
-
উদাহরণ:
-
হৃদয় → হ্রিদয়
-
আদৃত → আদ্রিত
-
-
উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে ব্যঞ্জনবর্ণের বিভাজন:
বাকপ্রত্যঙ্গের সেই অংশ যেখানে বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি হয়, সেটিই উচ্চারণস্থান। এর উপর ভিত্তি করে ব্যঞ্জনধ্বনিকে ভাগ করা হয়:
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
-
তালব্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
উৎস:
-
অভিগম্য অভিধান
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছিলেন কোন সাহিত্যিক?
Created: 1 month ago
A
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
সঠিক উত্তর হলো: মুনীর চৌধুরী
অন্যান্য অপশনের বিশ্লেষণ:
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: তিনি ১৯৫৬ সালে মারা যান, তাই ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
-
জহির রায়হান: তিনি ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হন (সম্ভবত নিহত), কিন্তু ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ডে নয়।
-
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী: তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মারা যান।
মুনীর চৌধুরীর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, অনুবাদক এবং সাহিত্যসমালোচক। তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল নোয়াখালী জেলায়। বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি গভীর ভূমিকা রেখেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
পৈতৃক নিবাস: নোয়াখালী জেলা।
-
ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের কারণে তিনি কারাবন্দী হন। জেলখানায় থেকেই ১৯৫৩ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত নাটক “কবর” রচনা করেন।
-
বাংলা টাইপরাইটার উদ্ভাবন: ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে তিনি “মুনীর অপ্টিমা” নামের একটি বাংলা টাইপরাইটার কী-বোর্ড তৈরি করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর হাতে অপহৃত ও হত্যাকাণ্ডে শহিদ হন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক
-
কবর (১৯৫৩) — ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত।
-
রক্তাক্ত প্রান্তর — পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে।
-
মানুষ — ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে।
-
নষ্ট ছেলে — রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক।
-
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য — রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে।
-
দণ্ডকারণ্য — তিনটি নাটকের সমন্বয়ে রচিত।
-
রাজার জন্মদিন — সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত এক অভিনব নাটক।
অনুবাদ নাটক
-
কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৯) — জর্জ বার্নার্ড শ’র You Never Can Tell অবলম্বনে।
-
রূপার কৌটা (১৯৬৯) — জন গলজ্ওয়র্দির The Silver Box অবলম্বনে।
-
মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০) — উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের Taming of the Shrew অবলম্বনে।
0
Updated: 1 month ago