গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের জন্য সবচেয়ে কার্যকর সমাধান কোনটি?
A
ফাইবার অপটিক ক্যাবল
B
স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
C
3G/4G মোবাইল ডেটা
D
ডায়াল-আপ কানেকশন
উত্তরের বিবরণ
গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া প্রচলিত ফাইবার অপটিক লাইন দিয়ে অনেক সময় ব্যয়বহুল ও অবকাঠামোগতভাবে জটিল হয়ে পড়ে। এই ধরনের অঞ্চলের জন্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেট একটি কার্যকর সমাধান, কারণ এটি সরাসরি উপগ্রহ থেকে সেবা প্রদান করে, তাই যেখানে তার বা টাওয়ার পৌঁছানো সম্ভব নয় সেখানে সেবা নিশ্চিত করা যায়।
স্টারলিংক ইন্টারনেট সম্পর্কিত তথ্য:
-
স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করে।
-
এটি মূলত একটি অরবিটাল স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক।
-
প্রকল্পটি ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের অধীনে পরিচালিত।
-
স্টারলিংক প্রকল্প ২০১৫ সালে শুরু হয়।
-
প্রাথমিক প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইটগুলো ২০১৮ সালে কক্ষপথে পাঠানো হয়।
-
স্পেস এক্স এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০০টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে।
-
স্টারলিংক স্পেস এক্সকেও ইন্টারনেট সরবরাহ করে।
-
এটি পৃথিবীর ৬০টি দেশে কভারেজ প্রদান করে।
-
সেবা ছোট উপগ্রহের অ্যারের মাধ্যমে সীমাহীন উচ্চ-গতির ডেটা সরবরাহ করে।
-
গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবিট (১৫০ এমবিপিএস), এবং স্পেস এক্স এই হার দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করেছে।
-
উকলা (Ookla) স্পিডটেস্ট অনুযায়ী ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন দেশে স্টারলিংক ডাউনলোড গতি রেকর্ড:
-
লিথুয়ানিয়া: ১৬০ এমবিপিএস
-
যুক্তরাষ্ট্র: ৯১ এমবিপিএস
-
কানাডা: ৯৭ এমবিপিএস
-
অস্ট্রেলিয়া: ১২৪ এমবিপিএস
-
মেক্সিকো: গড়ে ১০৫.৯১ এমবিপিএস
-

0
Updated: 23 hours ago
ইন্টারনেট উপযোগী বিশেষ ধরনের লিংককে কী বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
হ্যাশট্যাগ
B
সাবলিংক
C
ইউআরএল
D
হাইপারলিংক
ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ (WWW):
- ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ এর পুরো অর্থ হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW - World Wide Web)।
- এটিকে সংক্ষেপে ওয়েব নামেও অভিহিত করা হয়।
- ওয়েব বলতে একটি বৃহৎ সিস্টেমকে বুঝানো হয় যা অনেকগুলো সার্ভার (যা ওয়েব সার্ভার হিসেবে বিবেচিত হয়) সংযুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয়।
- এসব ওয়েব সার্ভার ইন্টারনেট ইউজারদের যেকোনো ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম।
- এ তথ্য হতে পারে প্রচলিত টেক্সট ফাইল, ছবি, শব্দ বা অন্য কোনো ফরমেটের ডেটা।
- এ সকল তথ্য ব্যবহার করতে হলে ইউজারকে একটি ক্লায়েন্ট বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হয় যা ব্রাউজার (Browser) নামে পরিচিত।
- ওয়েবে তথ্য মূলত সংরক্ষিত হয়ে থাকে পেইজ (Page) বা পৃষ্ঠার আকারে।
- প্রতিটি পেইজে শুধু তথ্যই থাকে না, বরং এখান থেকে অন্য পেইজে যাবার জন্য থাকে বিশেষ ধরনের লিংক (Link) প্রদান করা হয়। ইন্টারনেট উপযোগী বিশেষ ধরনের এই লিংককে বলা হয় হাইপারলিংক (Hyperlink)।
- ওয়েবে হাইপারলিংক ব্যবহার করে খুব সহজেই এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় চলাচল করতে পারা যায়।

0
Updated: 2 weeks ago
কম্পিউটার ভাইরাস নয় কোনটি ?
Created: 2 weeks ago
A
ওয়ার্ম
B
ট্রোজান হর্স
C
জেরুজালেম
D
অ্যাভাস্ট
অ্যাভাস্ট – একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার:
-
কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
-
এটি ভাইরাস আক্রমণের পূর্বেই সমস্যা শনাক্ত করে রোধ করে বা ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেয়।
উল্লেখযোগ্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার:
-
এভিজি (AVG)
-
অ্যাভাস্ট (Avast)
-
নরটন (Norton)
-
এভিরা (Avira)
-
পান্ডা (Panda) ইত্যাদি
কম্পিউটার ভাইরাস:
-
কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ করেন প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কোহেন।
-
ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে পুরো সিস্টেমকে সংক্রমিত করে এবং অচল করে দিতে পারে।
উল্লেখযোগ্য কম্পিউটার ভাইরাস:
-
ভিবিএস/হেল্পার (VBS/Helper)
-
ওয়ার্ম (Worm)
-
ভিবিএস/আকুই (VBS/Aqui)
-
ট্রোজান হর্স (Trojan Horse)
-
এক্স ৯৭এম/হপার (X97M/Hopper)
-
বুট সেক্টর ভাইরাস (Boot Sector Virus)
-
জেরুজালেম (Jerusalem)
-
স্টোন (Stone)
-
ঢাকা ভাইরাস
-
ভিয়েনা (Vienna)
-
সিআইএইচ (CIH) ইত্যাদি
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন প্রযুক্তি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম করে?
Created: 1 week ago
A
সাইবার সিকিউরিটি
B
মেশিন লার্নিং
C
ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT)
D
ব্লকচেইন
ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন গাড়ি, বাড়ির সরঞ্জাম, স্মার্ট সেন্সর ইত্যাদিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে এবং ডেটা আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি করে। এটি দৈনন্দিন জীবনকে আরও স্মার্ট ও স্বয়ংক্রিয় করে।
-
IoT (Internet of Things):
-
IoT হলো ভৌত বস্তু বা ডিভাইসের একটি নেটওয়ার্ক, যা সেন্সর, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য প্রযুক্তি দ্বারা সংযুক্ত।
-
এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যান্য ডিভাইস বা সিস্টেমের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করা।
-
IoT প্রযুক্তির মাধ্যমে দৈনন্দিন বস্তু যেমন স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স, স্মার্ট স্বাস্থ্য ডিভাইস, স্বচালিত গাড়ি ইত্যাদি স্মার্ট ডিভাইসে রূপান্তরিত হয়।
-
এটি মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে।
-
IoT ডিভাইসগুলি ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।
-
IoT প্রযুক্তি মূলত তিনটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত:
১. সেন্সর
২. নেটওয়ার্ক সংযোগ
৩. ডেটা প্রসেসিং সিস্টেম
-

0
Updated: 1 week ago