কোন চুক্তির মাধ্যমে ইইসি (EEC) প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
A
রোম চুক্তি
B
ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি
C
ভিয়েনা কনভেনশন
D
ব্রাসেলস্ কনভেনশন
উত্তরের বিবরণ
রোম চুক্তির মাধ্যমে ইইসি (EEC) প্রতিষ্ঠা লাভ করে.
EEC:
- EEC-এর পূর্ণরূপ: European Economic Community বা ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়।
- ১৯৫৭ সালের ২৫ মার্চ পশ্চিম ইউরোপের ৬টি দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ‘রোম চুক্তি’ নামে পরিচিত।
- এই চুক্তির ফলে European Economic Community গঠিত হয়।
উল্লেখ্য,
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গড়ে ওঠে।
- ১৯৫১ সালে ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সম্প্রদায় গঠিত হয় যা ইউরোপীয় ফেডারেশনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
- ১৯৫৭ সালে রোম চুক্তির ফলে ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সম্প্রদায়ের কর্মপরিধি বর্ধিত হয় এবং বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, পশ্চিম জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসের সমন্ময়ে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায় গঠিত হয়।
- একই দিনে অন্য আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
- এর ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো আণবিক শক্তির উন্নয়নের জন্য ইউরোপীয় আণবিক শক্তি গঠন করে।
- দুটি চুক্তিই ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
- ১৯৬৭ সালে মার্জার চুক্তি নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
- ৩টি সম্প্রদায়ের জন্য যাদের একসঙ্গে ‘ইউরোপীয় সম্প্রদায় (ইসি)’ নামে অভিহিত করা হতো।
- ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের ম্যাসট্রিচটে ইউরোপীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়—যা ম্যাসট্রিচট চুক্তি নামে পরিচিত।
- ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর এই চুক্তি কার্যকর হয়।
- এর ফলে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ এবং ইউরোপের একক মুদ্রা হিসেবে ‘ইউরো’ চালু হয়।
উৎস: Britannica.
0
Updated: 3 months ago
নিচের কোন চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অনুমোদিত হয়নি?
Created: 3 months ago
A
এবিএম চুক্তি (ABM)
B
সল্ট-১ চুক্তি (SALT-1)
C
সল্ট-২ চুক্তি (SALT-2)
D
স্টার্ট-২ চুক্তি (START-2)
SALT
- SALT-এর পূর্ণরূপ: Strategic Arms Limitation Talks।
- আলোচ্য বিষয়: কৌশলগত অস্ত্র সীমাবদ্ধতা।
- এই আলোচনা শুরু হয়েছিল ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে।
- আলোচনার সময়: ১৯৬৯ সাল।
- পক্ষ: যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
- দুইটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা SALT-I ও SALT-II নামে পরিচিত।
- SALT-I চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল: ২৬ মে, ১৯৭২ সালে।
- SALT-II চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল: ১৮ জুন, ১৯৭৯ সালে।
উল্লেখ্য,
- ১৮ জুন, ১৯৭৯ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনভের মধ্যে স্বাক্ষরিত SALT-2 চুক্তিটি মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করেনি।
- ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক আফগানিস্তান সৈন্য প্রেরণ করলে তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট SALT-2 চুক্তিটি অনুমোদন করে নি।
অন্যদিকে,
- ABM Treaty (Anti Ballistic Missile ) ১৯৭২ সালের ৩ আগস্ট মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয়।
- SALT-I (Strategic Arms Limitation Talks) ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করে।
- START-2 (Strategic Arms Reduction Traty) চুক্তি মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয় ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে।
উৎস: Arms Control Association ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
অটোয়া চুক্তির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করা
B
স্থলমাইন নিষিদ্ধ করা
C
রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা
D
সমুদ্র দূষণ রোধ করা
অটোয়া চুক্তি বা স্থলমাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (Mine Ban Treaty)-এর মূল লক্ষ্য হলো অ্যান্টি-পারসোনেল ল্যান্ডমাইন বা স্থলমাইনের ব্যবহার, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও পরিবহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা। এটি ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং ১ মার্চ, ১৯৯৯ সালে কার্যকর হয়। চুক্তির মাধ্যমে সদস্যদেশগুলো স্থলমাইন অপসারণ, আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে মোট ১৬৪টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ৭ মে, ১৯৯৮ সালে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং ৬ সেপ্টেম্বর, ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন প্রদান করে। এই চুক্তি যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• অটোয়া চুক্তি গৃহীত হয় কানাডার অটোয়া শহরে, তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে “Ottawa Treaty”।
• চুক্তির আনুষ্ঠানিক নাম হলো “Convention on the Prohibition of the Use, Stockpiling, Production and Transfer of Anti-Personnel Mines and on Their Destruction.”
• এই চুক্তি অনুসারে সদস্যদেশগুলো নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিজেদের মজুদকৃত স্থলমাইন ধ্বংস করতে বাধ্য।
• চুক্তির মাধ্যমে স্থলমাইন অপসারণ কার্যক্রম তদারকির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অর্থায়নের কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
• অটোয়া চুক্তির ফলেই বিশ্বব্যাপী স্থলমাইন ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
• চুক্তি বাস্তবায়নে International Campaign to Ban Landmines (ICBL) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা ১৯৯৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে।
• এই চুক্তি মানবিক নিরাপত্তা, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
’প্যাক্ট অব প্যারিস’ চুক্তির উদ্দেশ্য কী ছিল?
Created: 1 month ago
A
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করা
B
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা
C
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করা
D
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধ করণ
Pact of Paris বা Kellogg–Briand Pact হলো একটি আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তি, যা রাষ্ট্রগুলোকে যুদ্ধকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে পরিত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে পরিচালিত করে।
-
চুক্তির মূল লক্ষ্য:
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা
-
সমস্যা সমাধান শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিশ্চিত করা
-
বিশ্বজুড়ে নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা
-
-
চুক্তির নাম: Pact of Paris / Kellogg–Briand Pact
-
স্বাক্ষরের তারিখ: ২৭ আগস্ট, ১৯২৮
-
কার্যকর হয়েছে: ২৪ জুলাই, ১৯২৯
-
মূল উদ্যোক্তা: Frank B. Kellogg (যুক্তরাষ্ট্র) ও Aristide Briand (ফ্রান্স)
-
স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের সংখ্যা: শুরুতে ১৫টি, পরে বেড়ে ৬২টি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago