ডিজিটাল কম্পিউটারের মূল ভিত্তি -
A
প্লটারের মাধ্যম
B
গ্রাফিক্যাল সংকেত
C
বাইনারি ডিজিট
D
বৈদ্যুতিক সংকেত
উত্তরের বিবরণ
ডিজিটাল কম্পিউটারের মূল ভিত্তি হলো বাইনারি ডিজিট। এটি তথ্যকে প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ করার জন্য ০ এবং ১-এর সিস্টেম ব্যবহার করে। কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে এই বাইনারি তথ্য স্থানান্তরিত হয়। প্লটার বা গ্রাফিক্যাল সংকেত শুধুমাত্র আউটপুট প্রদর্শনের কাজে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ গণনা ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের মূল ভিত্তি নয়। বাইনারি ডিজিটের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে সক্ষম।
-
কম্পিউটারকে গাণিতিক ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১। এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer)
২। ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)
৩। হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer) -
এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer):
-
ক্রম পরিবর্তনশীল বৈদ্যুতিক সংকেত গ্রহণ করে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে।
-
ফলাফল সাধারণত প্রদর্শন কাঁটা (Indicator) বা প্লটারের মাধ্যমে কাগজে অঙ্কন আকারে দেখানো হয়।
-
বিভিন্ন শিল্প কারখানা, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও মান নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়।
-
-
ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer):
-
মূল ভিত্তি হলো বাইনারি ডিজিট (০ এবং ১)।
-
যাবতীয় গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বাইনারি ডিজিটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল লিখিত আকারে পাওয়া যায়।
-
ইনপুট ও আউটপুট সাধারণত বর্ণ, অক্ষর বা সংখ্যা আকারে প্রদর্শিত হয়।
-
গতি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্যতা বেশি, উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য বৃহৎ মেমোরি ব্যবহার করা হয়।
-
বর্তমান ব্যবহৃত সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।
-
-
হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer):
-
এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে তৈরি।
-
জটিল বৈজ্ঞানিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়।
-

0
Updated: 1 day ago
IBM 1620-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে কম্পিউটারের সূচনা ঘটে কোন সালে?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৭৬ সালে
B
১৯৭৪ সালে
C
১৯৬৬ সালে
D
১৯৬৪ সালে
বাংলাদেশে কম্পিউটারের সূচনা
-
১৯৬৪ সালে IBM 1620 কম্পিউটারের মাধ্যমে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়
-
এটি দেশের প্রথম বৈজ্ঞানিক ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার
-
শিক্ষামূলক ও বৈজ্ঞানিক হিসাবের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল
-
প্রথমে সরকারি ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার শুরু করে
-
IBM 1620-এর আগমনে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তি গড়ে ওঠে
-
কম্পিউটারটি স্থাপিত হয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে (বর্তমানে বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র)
-
বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে সংরক্ষিত
-
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ১৯৬৯ সালের দিকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করে
উৎস:
-
মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
-
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-১, এসএসসি ও দাখিল, ভোকেশনাল

0
Updated: 2 weeks ago
সুপারকম্পিউটার প্রধানত কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
গেম খেলা
B
অফিসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি
C
ভিডিও এডিটিং
D
আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং বৈজ্ঞানিক সিমুলেশন
সুপারকম্পিউটার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার, যা জটিল এবং বিশাল পরিমাণ ডেটা দ্রুততম সময়ে প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম। সাধারণ কম্পিউটারের মতো এগুলো অফিসের কাজ, গেম খেলা বা ভিডিও এডিটিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয় না, বরং এগুলোর মূল কাজ হলো উচ্চক্ষমতার বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সিমুলেশন এবং বিশ্লেষণ। সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করা হয় আবহাওয়া পূর্বাভাস, জলবায়ু পরিবর্তনের মডেল তৈরি, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস, মহাকাশ গবেষণা কিংবা জটিল চিকিৎসা বিশ্লেষণের মতো কাজে। এ কারণে বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুপার কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য:
-
এটি সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
একই সাথে একাধিক ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে।
-
বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত মেমরি ও উচ্চক্ষমতার প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা রয়েছে।
-
একাধিক প্রসেসর একসাথে কাজ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক ও জটিল কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম।
-
সুপারকম্পিউটার সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিশাল ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র নকশা, সিমুলেশন এবং পারমাণবিক চুল্লির নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।
সুপার কম্পিউটারের উদাহরণ:
-
CRAY-I
-
CRAY-XMP
-
CYBER 205
-
ETA-D2P
-
Intel Corporation-এর Paragon
-
জাপানের Nippon Electronic Company-এর Super SX II

0
Updated: 1 day ago
কম্পিউটার ডেটা বাসের কাজ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
গাণিতিক কাজ করা
B
তথ্য আদান প্রদান
C
প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ
D
মেমোরি সংরক্ষণ
• কম্পিউটার ডেটা বাসের কাজ হলো বিভিন্ন চিপের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা।
• ডেটা বাস:
- ডেটা বাস (Data Bus) কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা তথ্য বা ডেটা এক অংশ থেকে অন্য অংশে বহন করে। এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন চিপের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা।
- এই বাসের মাধ্যমে ডাটা উভয় দিকেই যাতায়াত করতে পারে তাই এটিকে Bi-directional বাস বলে।
- একটি বাসের মধ্যে যে কয়টি তার এই আদান প্রদান করতে পারে তাকে তত বিটের বাস বলা হয়।
- ডাটা বাস ৮-বিট , ১৬-বিট, ৩২-বিট ও ৬৪-বিটের হতে পারে।
- বেশি বিটের ডাটা বাস দ্রূত ও বেশি পরিমাণ ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবে।
- এটি CPU, RAM, মেমোরি এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
উদাহরণ:
- যখন CPU RAM থেকে কিছু তথ্য চায়, তখন ডেটা বাস সেই তথ্য এনে CPU-তে পৌঁছে দেয়।
তথ্যসূত্র:
- মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
- "Computer Organization and Architecture" by William Stallings.

0
Updated: 3 weeks ago