নিচের কোনটি এম্বেডেড সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য?
A
মাল্টি-ইউজার সিস্টেম
B
সীমাহীন মেমরি
C
জেনারেল-পারপাস সফটওয়্যার
D
রিয়েল-টাইম কার্যক্রম
উত্তরের বিবরণ
এম্বেডেড সিস্টেম হলো বিশেষভাবে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য তৈরি একটি কম্পিউটার সিস্টেম। এগুলো সাধারণত সীমিত মেমরি এবং প্রসেসিং ক্ষমতা নিয়ে তৈরি হয়, তবে নির্দিষ্ট ফাংশন দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অপ্টিমাইজ করা হয়। এই সিস্টেমগুলো মাল্টি-ইউজার সিস্টেমের মতো কাজ করে না এবং সাধারণ উদ্দেশ্যের সফটওয়্যার চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয় না। এম্বেডেড সিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো রিয়েল-টাইম কার্যক্রম, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কার্য সম্পন্ন করার ক্ষমতা।
-
এম্বেডেড কম্পিউটার একটি বিশেষায়িত সিস্টেম, যা কোনো বৃহৎ সিস্টেম বা যন্ত্রের অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি মাইক্রোপ্রসেসর, সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা সম্বলিত মেমরি বা রম এবং ইনপুট/আউটপুট সিস্টেমের সমন্বয়ে গঠিত।
-
সাধারণত এতে একটি মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড ও নির্দিষ্ট প্রোগ্রামসহ রম ব্যবহৃত হয়।
-
আধুনিক এম্বেডেড সিস্টেমে মাইক্রোকন্ট্রোলার ব্যবহার করা হয়।
-
এতে মনিটর বা অন্যান্য অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার সাধারণত থাকে না।
-
এম্বেডেড সিস্টেম ব্যবহৃত হয় সেল ফোন, এসি, প্রিন্টার, থার্মোস্ট্যাট, ভিডিও গেমস, এটিএম, ওয়াশিং মেশিন প্রভৃতিতে।
-
তবে LED লাইটে এম্বেডেড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় না।
0
Updated: 1 month ago
RAM কী ধরনের মেমোরি?
Created: 2 months ago
A
Cloud Memory
B
Non-volatile Memory
C
Volatile Memory
D
Register Memory
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
কম্পিউটার
কম্পিউটার (Computer)
প্রোগ্রাম ডিজাইন মডেল (Program Design Model)
RAM (Random Access Memory)
সংজ্ঞা:
RAM হলো সেই ধরনের মেমোরি, যেখানে যেকোনো একটি তথ্য মুছে নতুন তথ্য লেখা যায় এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা যায়।
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
Volatile Memory: বিদ্যুৎ চলে গেলে বা কম্পিউটার বন্ধ হলে তথ্য মুছে যায়।
-
প্রাইমারি স্টোরেজ: সরাসরি ডেটা এবং ইনস্ট্রাকশন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করতে ব্যবহৃত হয়।
-
Random Access: মেমোরির প্রতিটি আলাদা লোকেশন সহজে এক্সেস করা যায় এবং একই সময়ে পড়া বা লেখা সম্ভব।
-
রিড/রাইট মেমোরি: এর মাধ্যমে তথ্য লেখা এবং পড়া উভয়ই সম্ভব।
0
Updated: 2 months ago
Quantum Computer এর কাজের নীতি কী?
Created: 1 month ago
A
Binary systems
B
Qubits
C
Analog signal
D
Distributed Operating System
কোয়ান্টাম বিট বা কুবিট (Qubit) হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর মৌলিক একক, যা ক্লাসিক্যাল বিটের তুলনায় বেশি শক্তিশালী। এটি শুধুমাত্র 0 বা 1 অবস্থায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং একাধিক অবস্থায় একসাথে থাকতে পারে, যা সুপারপজিশন (Superposition) নামে পরিচিত।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সম্পর্কিত তথ্য:
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান ও জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধানে একটি বিপ্লবী ধারণা।
-
এটি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর নীতি ব্যবহার করে, যেখানে কোয়ান্টাম বিট একাধিক অবস্থায় থাকতে পারে এবং দ্রুত ও দক্ষভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারে।
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের অ্যালগরিদমগুলি সাধারণ ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারের তুলনায় নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে অত্যন্ত দ্রুত।
-
গুরুত্বপূর্ণ কোয়ান্টাম অ্যালগরিদমের মধ্যে একটি হলো Shor’s Algorithm, যা বড় সংখ্যার গুণফল বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
"Distributed Computing"-এর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 month ago
A
একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করে সমস্যা দ্রুত সমাধান
B
একটি মেশিনের মেমোরি ব্যবহার কমানো
C
সিপিইউ ক্লক স্পিড বাড়ানো
D
সব ক্লাউড সার্ভারকে একটি কম্পিউটারে প্রতিস্থাপন করা
Distributed Computing বা বিতরণকৃত কম্পিউটিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে জটিল সমস্যা সমাধান বা বড় ডেটা প্রসেসিং-এর কাজকে একাধিক কম্পিউটারে ভাগ করে সমান্তরালভাবে সম্পন্ন করা হয়। এর ফলে কাজ দ্রুত ও কার্যকরভাবে শেষ করা সম্ভব হয় এবং একটি একক কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা যেমন কম মেমোরি বা সীমিত প্রসেসিং ক্ষমতা এড়ানো যায়। এছাড়া, এই সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা ও scalability বেড়ে যায়, কারণ কোনো একটি কম্পিউটার ব্যর্থ হলেও অন্যগুলো কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
সঠিক উত্তর: ক) একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করে সমস্যা দ্রুত সমাধান
-
Cloud Computing:
-
ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভারের মাধ্যমে ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের NIST (National Institute of Standards and Technology) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং হলো একটি মডেল, যেখানে ক্রেতার তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশনকে সেবাদাতার সিস্টেমে আউটসোর্স করা হয় এবং এতে ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে—
১. Resource Flexibility/Scalability → গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সেবার পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যায়।
২. On Demand → গ্রাহক যখন চাইবে তখনই সেবা পাবে এবং নিজের প্রয়োজন মতো ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
৩. Pay as you go → গ্রাহক শুধুমাত্র ব্যবহৃত সেবার জন্য মূল্য প্রদান করবে; আগে থেকে কোনো রিজার্ভেশন করতে হবে না।
-
-
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য থেকে বোঝা যায় যে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী utility-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রযুক্তি হলো Cloud Computing, যা আসলে Distributed Computing-এর একটি দৃষ্টান্ত।
0
Updated: 1 month ago