ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে- (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
A
নরওয়ে
B
স্লোভেনিয়া
C
ফ্রান্স
D
জার্মানি
উত্তরের বিবরণ
স্লোভেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্র বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে, যা ঘোষণা করেন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোব। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র আমদানি, রফতানি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
• জুলাইয়ের শুরুতে স্লোভেনিয়া দুইজন ইসরায়েলি কট্টর-ডানপন্থী মন্ত্রীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে
• ইসরায়েল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হলেও অন্যান্য দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র কেনে
• বিশেষ করে যুদ্ধবিমান, স্বয়ংক্রিয় বোমা ও মিসাইলসহ সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিত্রদের উপর নির্ভরশীল
• শীর্ষ সমর্থক: যুক্তরাষ্ট্র, প্রতি বছর কমপক্ষে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা প্রদান করে
• অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক: জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইতালি
0
Updated: 1 month ago
নিম্নোক্ত কোন দেশটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (EU) সদস্য নয়?
Created: 4 weeks ago
A
বুলগেরিয়া
B
হাঙ্গেরি
C
পোল্যান্ড
D
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়, তবে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট, যার উদ্দেশ্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
প্রতিষ্ঠা: ১ নভেম্বর, ১৯৯৩
-
সদরদপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
প্রতিষ্ঠাতা দেশ: ৬টি
-
বর্তমান সদস্য দেশ: ২৭টি
-
প্রধান সদস্যদেশ: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন ও সুইডেন
ঐতিহাসিক বিকাশ:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় দেশগুলো অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়।
-
১৮ এপ্রিল ১৯৫১: প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে European Coal and Steel Community (ECSC) গঠিত হয়।
-
২৫ মার্চ ১৯৫৭: ৬টি দেশ (বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি) ‘রোম চুক্তি’ স্বাক্ষর করে, যার মাধ্যমে EEC (European Economic Community) ও Euratom প্রতিষ্ঠিত হয় (১৭ জানুয়ারি ১৯৫৮)।
-
১৯৬৫: ‘ব্রাসেলস চুক্তি’-এর মাধ্যমে সংগঠনটি European Community (EC) নামে পরিচিত হয়।
-
১৯৯২: ‘ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি’-এর ভিত্তিতে EC পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান European Union (EU) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
শেনজেনভুক্ত দেশ: ২৯টি
-
ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী দেশ: ২০টি
0
Updated: 4 weeks ago
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) মধ্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করার সুযোগ দেয় কোন চুক্তি?
Created: 2 months ago
A
শেনজেন চুক্তি
B
লিসবন চুক্তি
C
ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি
D
ব্রাসেলস চুক্তি
শেনজেন চুক্তি (Schengen Agreement):-
-
একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ব্যক্তির অবাধ চলাচলের অনুমতি প্রদান করে।
-
স্বাক্ষরিত: ১৯৮৫ সালে, লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে।
-
কার্যকর: ২৬ মার্চ, ১৯৯৫, যার মাধ্যমে ভিসামুক্ত ইউরোপের যাত্রা শুরু হয়।
-
শেনজেনভুক্ত দেশ: ২৯টি।
-
EU-এর বাইরে শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দেশ: সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU – European Union):-
-
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
প্রতিষ্ঠিত: ১ নভেম্বর, ১৯৯৩।
-
সদরদপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।
-
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য: ৬টি দেশ (বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি)।
-
বর্তমান EU সদস্য দেশ: ২৭টি
-
দেশগুলো: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
-
🔹 ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতিহাস:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় দেশগুলো অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য একটি জোটের প্রয়োজন অনুভব করে।
-
১৮ এপ্রিল, ১৯৫১: প্যারিসে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে European Coal and Steel Community (ECSC) গঠিত।
-
২৫ মার্চ, ১৯৫৭: ‘রোম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয় ৬টি রাষ্ট্রের মধ্যে; ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৮-এ European Economic Community (EEC) এবং Euratom প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৬৫: ‘ব্রাসেলস চুক্তি’ অনুসারে EEC রূপান্তরিত হয় European Community (EC)-তে।
-
১৯৯২: ‘ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি’ অনুসারে EC রূপান্তরিত হয়ে বর্তমান European Union (EU) হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
উৎস: EU ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
EU পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 week ago
A
European Union
B
European Understanding
C
English University
D
Evangalic Unversity
EU-এর পূর্ণরূপ হল European Union। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যা ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশকে একত্রিত করে। এটি মূলত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং আইনগত দিক থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে গঠিত। ১৯৫১ সালে শুরু হওয়া এই সহযোগিতার ধারণা পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো:
-
European Union (EU) ১৯৫১ সালে ইউরোপের কয়েকটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা শুরু হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে ওঠে।
-
EU-এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাজার, অর্থনীতি, এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা লক্ষ্য।
-
EU এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা।
-
EU এর সদস্য দেশগুলি একটি সাধারণ বাজার তৈরি করেছে, যেখানে পণ্য, পরিষেবা, অর্থ এবং মানুষ সহজে চলাচল করতে পারে।
-
EU একটি নির্বাচিত সংসদ এবং একটি কমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্রাসেলসে, বেলজিয়ামে অবস্থিত।
এই সংগঠনটি উন্নত রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে এবং এর সদস্য দেশগুলি বৈশ্বিক ইস্যুগুলিতে একত্রিতভাবে কাজ করে। EU-এর সদস্য দেশগুলি সাধারণভাবে সমরাস্ত্র, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি বিষয়ে একত্রিত পলিসি গ্রহণ করে থাকে।
EU-এর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও বেশ শক্তিশালী। EU বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, শিক্ষা, এবং মানবাধিকার ইস্যুতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। EU বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 week ago