নিচের কোনটি NATO এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ?
A
লুক্সেমবার্গ
B
পর্তুগাল
C
কানাডা
D
উপরোক্ত সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
NATO সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ রিরাইট করা হলো। NATO (The North Atlantic Treaty Organization) হলো একটি আন্তর্জাতিক সামরিক জোট, যা উত্তর আটলান্টিক চুক্তির মাধ্যমে গঠিত।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা: ১২টি
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশসমূহ: Belgium, Canada, Denmark, France, Iceland, Italy, Luxembourg, the Netherlands, Norway, Portugal, the United Kingdom, এবং the United States
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৩২টি
-
সর্বশেষ সদস্য দেশ: সুইডেন
-
মুসলিম দেশসমূহ: তুরস্ক ও আলবেনিয়া
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস
0
Updated: 1 month ago
ন্যাটোতে যোগদানকারী মুসলিম দেশের সংখ্যা কতটি? (আগস্ট-২০২৫)
Created: 1 month ago
A
১টি
B
৩টি
C
২টি
D
৪টি
NATO (North Atlantic Treaty Organisation) হলো একটি রাজনৈতিক ও সামরিক জোট, যা ১৯৪৯ সালে যৌথ নিরাপত্তার নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সদর দপ্তর: বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস।
-
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সংখ্যা: ১২টি দেশ।
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৩২টি দেশ (আগস্ট, ২০২৫)।
-
ন্যাটোতে যোগদানকারী মুসলিম দেশ দুটি: তুরস্ক (১৯৫২) এবং আলবেনিয়া (২০০৯)।
-
সর্বশেষ সদস্য: সুইডেন, ২০২৪ সালে ন্যাটোর ৩২তম সদস্য পদ লাভ করে।
0
Updated: 1 month ago
NATO এর কোন অনুচ্ছেদের অধীনে কোন রাষ্ট্র ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ - ১৫
B
অনুচ্ছেদ - ১১
C
অনুচ্ছেদ - ১০
D
অনুচ্ছেদ - ৯
ন্যাটো (NATO) হলো একটি রাজনৈতিক ও সামরিক জোট, যা ১৯৪৯ সালে যৌথ নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
পূর্ণরূপ: North Atlantic Treaty Organization
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
মহাপরিচালক: Mark Rutte (আগস্ট ২০২৫ অনুযায়ী)
-
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সংখ্যা: ১২টি দেশ
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৩২টি (আগস্ট ২০২৫)
-
মুসলিম দেশসমূহের সদস্যপদ: তুরস্ক (১৯৫২) ও আলবেনিয়া (২০০৯)
-
সর্বশেষ যোগদানকারী: সুইডেন, ২০২৪ সালে
সদস্য অন্তর্ভুক্তি নীতি: ন্যাটোর অনুচ্ছেদ-১০ অনুযায়ী Open Door Policy পরিচালিত হয়, যার অধীনে নতুন সদস্য রাষ্ট্র ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
উত্তর আটলান্টিক চুক্তির কত নম্বর ধারায় যৌথ নিরাপত্তার ধারণাটি ব্যক্ত হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
আর্টিকেল ২
B
আর্টিকেল ৩
C
আর্টিকেল ৪
D
আর্টিকেল ৫
ন্যাটো বা North Atlantic Treaty Organization (NATO) বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামরিক জোট, যা সমষ্টিগত প্রতিরক্ষা বা Collective Security নীতির ভিত্তিতে গঠিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত প্রভাব ও সমাজতান্ত্রিক মতবাদের বিস্তার প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এই জোট গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বজায় রাখা।
ন্যাটোর প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ১২টি দেশের মধ্যে North Atlantic Treaty স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি Washington Treaty নামেও পরিচিত। এর মাধ্যমে ন্যাটো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির মূল লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর সামরিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কোনো একটি সদস্য রাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ হলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
ন্যাটোর সদস্য ও সদরদপ্তর:
বর্তমানে (এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত) ন্যাটোর মোট সদস্য সংখ্যা ৩২টি দেশ। সর্বশেষ যোগদানকারী দেশ হলো সুইডেন, যা ২০২৪ সালের ৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ লাভ করে। ন্যাটোর সদরদপ্তর বর্তমানে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত, যদিও প্রাথমিকভাবে এটি লন্ডন ও পরে প্যারিসে ছিল। সংগঠনের বর্তমান মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ (Jens Stoltenberg), যিনি নরওয়ের নাগরিক।
ন্যাটো চুক্তিপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ:
ন্যাটো চুক্তিতে মোট ১৪টি অনুচ্ছেদ (Article) রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অনুচ্ছেদ ৫ ও অনুচ্ছেদ ১০।
অনুচ্ছেদ ৫ — Collective Security বা যৌথ নিরাপত্তা:
এই অনুচ্ছেদকে ন্যাটো চুক্তির “হৃদয়” বা heart বলা হয়। এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো সদস্য দেশ আক্রান্ত হয়, তাহলে সেটিকে সব সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে। সেই ক্ষেত্রে অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো আক্রান্ত দেশের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে এবং প্রয়োজনীয় সামরিক, রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান করবে। এই ধারাই ন্যাটোর মূল শক্তি, যা সম্মিলিত প্রতিরক্ষার ভিত্তি গড়ে তোলে। এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা অঙ্গীকার নিশ্চিত হয়।
অনুচ্ছেদ ১০ — Open Door Policy (নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি):
এই অনুচ্ছেদ অনুসারে ন্যাটোর নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, যে কোনো ইউরোপীয় দেশ ন্যাটোর সদস্য হতে পারে যদি সংগঠনের নীতিমালা মেনে চলে এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা জোরদারে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। এই নীতির ফলে সময়ের সঙ্গে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে।
সব মিলিয়ে, ন্যাটো শুধু একটি সামরিক জোট নয়, বরং এটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর যৌথ নিরাপত্তা, সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। এর Collective Security ধারণা বিশ্ব রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন করেছে।
0
Updated: 2 weeks ago