কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়?
A
লিসবন চুক্তি
B
জেনেভা চুক্তি
C
প্যারিস চুক্তি
D
মাসট্রিচট চুক্তি
উত্তরের বিবরণ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ রিরাইট করা হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১ নভেম্বর, ১৯৯৩, মাস্ট্রিচট চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে
-
সদস্য সংখ্যা: ২৭টি দেশ
-
সর্বশেষ সদস্য: ক্রোয়েশিয়া
-
তখন থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম ট্রেডিং ব্লক হিসেবে পরিচিত
-
ব্রিটেন ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করে
0
Updated: 1 month ago
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে- (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
Created: 1 month ago
A
নরওয়ে
B
স্লোভেনিয়া
C
ফ্রান্স
D
জার্মানি
স্লোভেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্র বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে, যা ঘোষণা করেন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোব। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র আমদানি, রফতানি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
• জুলাইয়ের শুরুতে স্লোভেনিয়া দুইজন ইসরায়েলি কট্টর-ডানপন্থী মন্ত্রীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে
• ইসরায়েল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হলেও অন্যান্য দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র কেনে
• বিশেষ করে যুদ্ধবিমান, স্বয়ংক্রিয় বোমা ও মিসাইলসহ সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিত্রদের উপর নির্ভরশীল
• শীর্ষ সমর্থক: যুক্তরাষ্ট্র, প্রতি বছর কমপক্ষে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা প্রদান করে
• অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক: জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইতালি
0
Updated: 1 month ago
EU পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 week ago
A
European Union
B
European Understanding
C
English University
D
Evangalic Unversity
EU-এর পূর্ণরূপ হল European Union। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যা ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশকে একত্রিত করে। এটি মূলত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং আইনগত দিক থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে গঠিত। ১৯৫১ সালে শুরু হওয়া এই সহযোগিতার ধারণা পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো:
-
European Union (EU) ১৯৫১ সালে ইউরোপের কয়েকটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা শুরু হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে ওঠে।
-
EU-এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাজার, অর্থনীতি, এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা লক্ষ্য।
-
EU এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা।
-
EU এর সদস্য দেশগুলি একটি সাধারণ বাজার তৈরি করেছে, যেখানে পণ্য, পরিষেবা, অর্থ এবং মানুষ সহজে চলাচল করতে পারে।
-
EU একটি নির্বাচিত সংসদ এবং একটি কমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্রাসেলসে, বেলজিয়ামে অবস্থিত।
এই সংগঠনটি উন্নত রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে এবং এর সদস্য দেশগুলি বৈশ্বিক ইস্যুগুলিতে একত্রিতভাবে কাজ করে। EU-এর সদস্য দেশগুলি সাধারণভাবে সমরাস্ত্র, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি বিষয়ে একত্রিত পলিসি গ্রহণ করে থাকে।
EU-এর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও বেশ শক্তিশালী। EU বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, শিক্ষা, এবং মানবাধিকার ইস্যুতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। EU বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 week ago
কোন দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
জার্মানি
B
ব্রিটেন
C
ফ্রান্স
D
স্পেন
ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিহাসে “ব্রেক্সিট” নামে পরিচিত। এটি আধুনিক ইউরোপীয় রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা শুধু ব্রিটেন নয়, গোটা ইউরোপের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক কাঠামোতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই সিদ্ধান্ত আসে জনগণের গণভোটের মাধ্যমে, যা দেখায় ব্রিটিশ জনগণের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত দীর্ঘদিনের বিভক্ত মনোভাব।
ব্রেক্সিটের মূল তথ্য ও পটভূমি:
– পূর্ণরূপ: Brexit শব্দটি এসেছে “Britain” এবং “Exit” শব্দ দুটির সমন্বয়ে, যার অর্থ “ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া।”
– গণভোট: ২৩ জুন ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫১.৯% ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং ৪৮.১% ভোটার থাকার পক্ষে ভোট দেন।
– কার্যকর প্রস্থান: দীর্ঘ রাজনৈতিক আলোচনার পর ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায়।
– প্রধান রাজনৈতিক নেতা: ব্রেক্সিট প্রচারণার মুখ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন বরিস জনসন, যিনি পরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন এবং ব্রেক্সিট কার্যকর করেন।
– বেরিয়ে যাওয়ার কারণ:
• অনেক ব্রিটিশ নাগরিক মনে করতেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালা তাদের অর্থনীতি ও অভিবাসন নীতির উপর অতিরিক্ত প্রভাব ফেলছে।
• কিছু মানুষ বিশ্বাস করতেন, EU ত্যাগ করলে যুক্তরাজ্য নিজের আইন, সীমান্ত ও বাণিজ্য নীতির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে।
• জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছিল ভোটের প্রধান ইস্যু।
ব্রেক্সিটের প্রভাব:
– অর্থনৈতিক দিক: ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ডের মান কিছুটা হ্রাস পায়। অনেক ইউরোপীয় কোম্পানি ব্রিটেন থেকে তাদের অফিস স্থানান্তর করে।
– রাজনৈতিক প্রভাব: ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে ব্রেক্সিটের পর ঐক্যের প্রশ্নে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
– বাণিজ্যিক পরিবর্তন: যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নতুন বাণিজ্যিক চুক্তি করতে হয়, যা পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে পরিবর্তন আনে।
– উত্তর আয়ারল্যান্ড ইস্যু: ব্রেক্সিটের পর সবচেয়ে জটিল বিষয় ছিল আয়ারল্যান্ড সীমান্ত, যা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চল হিসেবে আলোচনায় আসে।
সবশেষে বলা যায়, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত ছিল এক যুগান্তকারী রাজনৈতিক মোড়, যা ভবিষ্যতে ইউরোপের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথ তৈরি করেছে। ব্রেক্সিট কেবল একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ নয়, বরং এটি ব্রিটিশ জনগণের আত্মপরিচয়, সার্বভৌমত্ব এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
0
Updated: 2 weeks ago