কম্পিউটার ব্যবহারে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে কিছু ইনপুট, কিছু আউটপুট আবার কিছু একইসাথে ইনপুট-আউটপুট হিসেবে কাজ করে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো।

• ইনপুট ডিভাইস: যেসব হার্ডওয়্যার বা ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারী কিংবা পরিবেশ থেকে ডেটা গ্রহণ করে, সেগুলো ইনপুট ডিভাইস নামে পরিচিত। উল্লেখযোগ্য ইনপুট ডিভাইস হলো Keyboard, Mouse, Trackball, Joystick, Touch Screen, Barcode Reader, Point-of-sale, OMR, OCR, Scanner, Digitizer, Lightpen, Graphics pad, Digital Camera ইত্যাদি।

• আউটপুট ডিভাইস: কম্পিউটারের প্রক্রিয়াজাত ফলাফল প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো আউটপুট ডিভাইস নামে পরিচিত। সাধারণ আউটপুট ডিভাইস হলো Monitor, Printer, Plotter, Speaker, Multimedia Projector, Image setter, Film Recorder ইত্যাদি।

• ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস: কিছু ডিভাইস আছে যেগুলো একইসাথে ইনপুট ও আউটপুট উভয় কাজ সম্পন্ন করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় Hard Disk, CD/DVD, Touch Screen, Pendrive, Modem ইত্যাদি।

উৎস: 

মাউস - কেবলমাত্র ইনপুট ডিভাইস।

প্লটার - আউটপুট ডিভাইস (প্রিন্টারের মতো কাজ করে, শুধু গ্রাফিক্সে বিশেষায়িত)।

কীবোর্ড - কেবলমাত্র ইনপুট ডিভাইস।

মডেম - এখানে মজাটা লুকানো, এটি ডাটা কম্পিউটারে পাঠায় (ইনপুট) এবং আবার কম্পিউটার থেকে বাইরে পাঠায় (আউটপুট)।

তাই সঠিক উত্তর হলো মডেম।

টাচস্ক্রিন হলো একটি ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীর স্পর্শের মাধ্যমে ইনপুট গ্রহণ করে এবং তথ্য প্রদর্শন করে।

ইনপুট ডিভাইস: যেসব ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে ডাটা বা কমান্ড ইনপুট করা যায়।

• উদাহরণ: কি-বোর্ড, মাউস, অপটিকাল রিডার, জয়স্টিক, মাইক্রোফোন, স্ক্যানার, গ্রাফিক্স প্যাড, লাইট পেন, ওয়েবক্যাম, ওসিআর।

আউটপুট ডিভাইস: যেগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে ডাটা বা তথ্য আউটপুট নেওয়া যায়।

• উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর, স্পিকার, প্লটার।

ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস: কিছু ডিভাইস আছে যেগুলো উভয় ভূমিকা পালন করে।

• উদাহরণ: পেন ড্রাইভ, টাচস্ক্রিন, মডেম।