নিচের কোন বিবৃতিটি গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভুল?
A
এর ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি
B
এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ
C
এর ফোটনগুলোর শক্তি অনেক কম
D
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট
উত্তরের বিবরণ
গামা রশ্মি (Gamma Ray)
-
প্রকৃতি: গামা রশ্মি হলো শক্তিশালী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ।
-
চার্জ ও ভর: গামা রশ্মি চার্জবিহীন এবং ভরহীন, তাই এটি বিদ্যুৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
-
উৎপত্তি: যখন কোনো নিউক্লিয়াস আলফা বা বিটা কণার বিকিরণ করে 'উত্তেজিত' অবস্থায় থাকে, তখন বাড়তি শক্তি গামা রশ্মি হিসেবে নির্গত হয়।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও শক্তি:
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট (প্রায় ১০⁻¹² মিটারের নিচে)।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং ফোটনের শক্তি বিপরীতানুপাতিক, তাই ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য মানে উচ্চ শক্তি।
-
-
গতি: গামা রশ্মির বেগ সর্বদা আলোর বেগের সমান।
-
ভেদন ক্ষমতা (Penetrating Power):
-
গামা রশ্মি অত্যন্ত উচ্চ ভেদন ক্ষমতার।
-
এটি কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসার পাত বা কয়েক মিটার পুরু কংক্রিটও ভেদ করতে পারে।
-
সাধারণত গামা রশ্মি থামাতে কয়েক সেন্টিমিটার সীসার পুরু পাতা ব্যবহার করা হয়।
-
-
আয়নায়ন ক্ষমতা: চার্জ না থাকলেও, গামা রশ্মি অণু ও পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে, যা এর অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
মূল কারণ: গামা রশ্মির উচ্চ শক্তি তার উচ্চ ভেদন ক্ষমতার মূল কারণ।
0
Updated: 1 month ago
আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার একটি উদাহরণ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
সালোকসংশ্লেষণ
B
বৈদ্যুতিক পাখা ঘোরা
C
চিমনির কাচ গরম হওয়া
D
ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ রূপান্তর
আলোক শক্তির রূপান্তর:
১. আলোক শক্তি → রাসায়নিক শক্তি:
-
ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
ফিল্মে থাকা সিলভার ব্রোমাইড (AgBr) বা সিলভার ক্লোরাইড (AgCl) আলোর সংস্পর্শে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়।
-
ফলে আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
২. আলোক শক্তি → তাপ শক্তি:
-
উদাহরণ: হারিকেনের চিমনির কাঁচে আলো পড়লে তা গরম লাগে।
-
কারণ আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৩. আলোক শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি:
-
উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপন্ন করে।
-
পরে সেই খাদ্য গ্রহণকারী প্রাণীর দেহে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটানিকা।
0
Updated: 2 months ago
আলোক রশ্মি গমন পথে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
অপবর্তন
B
ব্যতিচার
C
প্রতিফলন
D
অপসরণ
প্রতিফলন হলো আলোর সেই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো আলোক রশ্মি কোনো স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনো মাধ্যমের দ্বারা বাধা পেয়ে প্রথম মাধ্যমের দিকে ফিরে আসে। আলোক প্রতিফলনের সময় যে পৃষ্ঠ থেকে আলো ফিরে আসে তাকে প্রতিফলক তল বা প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলা হয় এবং যা ফিরে আসে তাকে প্রতিফলিত আলো বা রশ্মি বলা হয়।
-
যে পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হবে তা নির্ভর করে:
-
মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর
-
আলো প্রতিফলক তলে কত কোণে আপতিত হচ্ছে তার উপর
-
-
প্রতিফলক তল যত বেশি মসৃণ, প্রতিফলন তত বেশি হয়।
-
স্বচ্ছ প্রতিফলকে সাধারণত প্রতিফলন কম হয়, আর অস্বচ্ছ বা সাদা তলে প্রতিফলন বেশি হয়। কালো বা গা dark ় তলে আলো প্রায় প্রতিফলিত হয় না।
-
কাঁচের মতো স্বচ্ছ মাধ্যমের উপর আলো আংশিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
আলোর আপতন কোণ যত বড় হয়, প্রতিফলনের পরিমাণও তত বেশি হয়।
-
প্রতিফলনের ধরন মসৃণতার উপর নির্ভর করে দু’ভাগে বিভক্ত:
-
নিয়মিত প্রতিফলন
-
ব্যাপ্ত প্রতিফলন
-
আলোর প্রতিফলনের সূত্র:
-
আপতিত রশ্মি, প্রতিফলক তলে অঙ্কিত অভিলম্ব এবং প্রতিফলিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
-
আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়, অর্থাৎ ।
0
Updated: 1 month ago
আলোর ফ্লাক্সের একক কী?
Created: 1 month ago
A
লুমেন
B
ক্যান্ডেলা
C
লাক্স
D
স্টেরিডিয়ান
আলোর ফ্লাক্স:
- কোন আলোর উৎস থেকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে, যে পরিমাণ আলোক শক্তি নির্গত হয় বা প্রবেশ করে, তাকে আলোর প্রবাহ বা আলোর ফ্লাক্স বলে।
- আলোর ফ্লাক্স পরিমাপের একক লুমেন।
- এক ক্যান্ডেলা দীপন ক্ষমতার কোন আলোক উৎস থেকে এক স্টেরেডিয়ান ঘনকোণে যে পরিমাণ আলোক ফ্লাক্স নির্গত হয় তাকে এক লুমেন (1 lm) বলে।
অন্যদিকে,
- দীপন মাত্রা পরিমাপের একক লাক্স। কোন পৃষ্ঠের প্রতি বর্গ মিটার ক্ষেত্রে এক লুমেন আলোক ফ্লাক্স যে দীপন মাত্রা সৃষ্টি করে তাকে এক লাক্স (1 lux) বলে।
- ক্যান্ডেলা হলো আলোর শক্তির পরিমাপের একক, যা নির্দিষ্ট দিক থেকে আলোর উজ্জ্বলতার পরিমাপ করে।
- স্টেরিডিয়ান হলো দিকের পরিমাপের একক যা আলোর উৎসের দিকে এককীয় দিকের কোণ প্রতিনিধিত্ব করে।
0
Updated: 1 month ago