ট্রান্সফরমারের প্রধান কাজ কী?
A
বিদ্যুত থেকে তাপ শক্তি তৈরি করা
B
যান্ত্রিক শক্তি থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি করা
C
বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা
D
বৈদ্যুতিক শক্তির ভোল্টেজ পরিবর্তন করা
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফরমার (Transformer) হলো একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা ভোল্টেজ বাড়ানো বা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি শুধুমাত্র পরিবর্তী প্রবাহ (AC) এর ক্ষেত্রে কার্যকর।
ট্রান্সফরমারের কাজ ও কাঠামো:
-
এটি স্থির বৈদ্যুতিক যন্ত্র এবং তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ (electromagnetic induction) নীতি ব্যবহার করে কাজ করে।
-
ট্রান্সফরমারে দুটি কুণ্ডলী থাকে, যা একটি আয়তাকার কাঁচা লোহার কোরের উপর সারিবদ্ধভাবে পেঁচানো হয়।
-
এক কুণ্ডলীতে পরিবর্তনশীল প্রবাহ (AC) চালালে কোরে চৌম্বক বলের রেখা সৃষ্টি হয় এবং অন্য কুণ্ডলীতে উত্তেজনা (induced EMF) উৎপন্ন হয়।
-
এর মূল উদ্দেশ্য হলো একটি বর্তনী থেকে অন্য বর্তনীতে বৈদ্যুতিক শক্তি স্থানান্তর করা এবং একই সাথে ভোল্টেজ ও প্রবাহের মান পরিবর্তন করা।
-
যন্ত্রটি শুধুমাত্র AC তে কাজ করে কারণ এটি চৌম্বকীয় ফ্লাক্সের পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল।
ট্রান্সফরমারের প্রকারভেদ:
-
স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার (Step-up Transformer):
-
নিম্ন ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করে।
-
মুখ্য কুণ্ডলীর পাকসংখ্যার চেয়ে গৌণ কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা বেশি থাকে।
-
-
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার (Step-down Transformer):
-
উচ্চ ভোল্টেজকে নিম্ন ভোল্টেজে রূপান্তর করে।
-
মুখ্য কুণ্ডলীর পাকসংখ্যার চেয়ে গৌণ কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা কম থাকে।
-
কাজের মূলনীতি:
-
মুখ্য কুণ্ডলীতে AC প্রয়োগ করলে কোরে চৌম্বক বলের রেখা সৃষ্টি হয়।
-
এই পরিবর্তনশীল চৌম্বক ফ্লাক্স গৌণ কুণ্ডলীতে তড়িচ্চালক শক্তি (induced current) উৎপন্ন করে।
-
এর মাধ্যমে ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মান পরিবর্তন করা যায়।
0
Updated: 1 month ago
তেজস্ক্রিয়তা একটি কোন ধরনের প্রক্রিয়া?
Created: 1 month ago
A
অপ্রত্যাবর্তী
B
আংশিক
C
প্রত্যাবর্তী
D
কোনোটিই নয়
তেজস্ক্রিয় রশ্মি
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রশ্মি বিকিরণের প্রক্রিয়াকেই তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পরমাণু।
-
১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ফরাসী বিজ্ঞানী হেনরী বেকেরেল (Henry Becquerel) আকস্মিকভাবে এই রশ্মি আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর নাম অনুসারে এই রশ্মির নামকরণ করা হয় বেকেরেল রশ্মি।
-
পরবর্তীতে মাদাম মারি কুরি (Madame Marie Curie) ও পিয়েরে কুরি (Pierre Curie) নানা পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণা করেন। বর্তমানেই এই রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি (Radioactive rays) বলা হয়।
তেজস্ক্রিয়তার প্রকারভেদ:
১। প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা: কোনো পদার্থ হতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে তেজস্ক্রিয়তা ঘটে।
২। কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা: কৃত্রিম উপায়ে কোনো মৌলকে তেজস্ক্রিয় মৌলে পরিণত করলে যে তেজস্ক্রিয়তা ঘটে।
তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য:
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও অবিরাম প্রক্রিয়া। তাপ, চাপ, তড়িৎ ক্ষেত্র বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
-
তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলফা কণিকা (α), বিটা কণিকা (β) ও গামা রশ্মি (γ) নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তার উৎপত্তি স্থান হলো নিউক্লিয়াস। পরমাণুর ভাঙনের ফলেই রশ্মি নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া; অর্থাৎ এক প্রকার পরমাণু অন্য প্রকারে রূপান্তরিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক গ্যাসে কোন উপাদান সবচেয়ে বেশি পরিমানে থাকে?
Created: 1 month ago
A
মিথেন
B
ইথেন
C
প্রোপেন
D
বিউটেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি পরিচিত উৎস, যা মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয়।
-
এটি তাপশক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়।
-
পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা যায়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (Methane)।
-
এই ধরনের শক্তিকে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান ও পরিমাণ:
-
মিথেন: ৮০–৯০%
-
ইথেন: ১৩%
-
প্রোপেন: ৩%
-
এছাড়া কিছু পরিমাণ বিউটেন, ইথিলিন এবং নাইট্রোজেন থাকে।
-
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
তেজস্ক্রিয়তা প্রথম আবিষ্কার করেন কে?
Created: 1 month ago
A
আইজ্যাক নিউটন
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
হেনরি বেকারেল
D
মেরি কুরি
তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity)
-
বিশেষ ধরনের নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙ্গে গিয়ে বিভিন্ন কণা ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্গত করলে যে প্রক্রিয়া ঘটে তাকে তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
১৮৯৬ সালে হেনরি বেকারেল তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।
তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব ও ক্ষতি:
-
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে ছড়িয়ে যাওয়া তেজস্ক্রিয় পদার্থ মাটির দূষণ ঘটায়।
-
উদাহরণ: রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), ইউরেনিয়াম (U)।
-
এই পদার্থ শুধুমাত্র মাটির উর্বরতা নষ্ট করে না, প্রাণী ও মানুষের ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
-
উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা গাছপালা ও উদ্ভিদ মারা যাওয়ার কারণ হয়।
-
তেজস্ক্রিয় পদার্থ খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago