নিচের কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট নয়?
A
নিউমোনিয়া
B
ইনফ্লুয়েঞ্জা
C
টাইফয়েড
D
ডিপথেরিয়া
উত্তরের বিবরণ
ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) হলো একটি তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (প্রধানত টাইপ A, B, এবং C) দ্বারা ঘটে।
-
সাধারণত এটিকে ফ্লু (Flu) নামে বলা হয়।
-
ভাইরাসটি হাঁচি-কাশি বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে দ্রুত ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ বলে।
-
উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
ভাইরাসজনিত রোগ:
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাস জনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য ভাইরাস জনিত রোগ: জন্ডিস, পোলিও, জলাতঙ্ক, কোভিড-১৯, হার্পিস, দাদ, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
জন্ডিসের প্রধান কারণ কী?
Created: 1 month ago
A
প্লীহার ক্ষয়
B
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা কমে যাওয়া
C
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
D
রক্তে লাল কণিকার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
বিলিরুবিন হলো একটি হলুদ রঙের পদার্থ যা মূলত যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং প্লীহাতে সংরক্ষিত থাকে। এটি রক্তে থাকা লাল রক্ত কণিকার ১২০ দিনের চক্র শেষ হওয়ার পর ভেঙে তৈরি হয় এবং লিভারে মিলিত হয়ে পাচক তরল পদার্থ হিসেবে গলব্লাডারে জমে থাকে। বিলিরুবিন খাদ্য হজমে সহায়ক এবং মল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উৎপাদন ও সংরক্ষণ: যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়, প্লীহাতে জমা থাকে।
-
রঙ ও উৎস: হলুদ রঙের, লাল রক্ত কণিকা ভেঙে তৈরি।
-
লিভারের ভূমিকা: বিলি নামে পরিচিত পাচক তরল পদার্থে পরিণত হয় এবং গলব্লাডারে সংরক্ষিত থাকে।
-
হজম ও মল প্রস্তুতি: খাবার হজমে সাহায্য করে এবং মল তৈরি করতে সহায়তা করে।
-
জন্ডিসের কারণ: রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়।
-
রক্তে স্তরের বৃদ্ধি: যদি বিলিরুবিন বিলির সাথে মিশতে না পারে অথবা লাল রক্ত কণিকা কম পরিমাণে ভাঙতে শুরু করে, রক্তে বিলিরুবিনের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা অন্য অঙ্গে পৌঁছে হলুদ ভাবের সৃষ্টি করে।
0
Updated: 1 month ago
শিশুদের রিকেট হয়-
Created: 2 weeks ago
A
প্রোটিনের অভাব
B
ভিটামিন ‘E’ এর অভাবে
C
ভিটামিন ‘D’ এর অভাবে
D
আয়রনের অভাবে
রিকেট শিশুদের মধ্যে দেখা দেওয়া একটি পুষ্টিজনিত রোগ, যা মূলত ভিটামিন ‘D’-এর অভাবে হয়। এই ভিটামিন শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের সঠিক শোষণ নিশ্চিত করে, যা হাড় মজবুত রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন ‘D’ ঘাটতির ফলে হাড় দুর্বল ও নরম হয়ে যায়, ফলে রিকেট দেখা দেয়।
এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়
-
রিকেট হলো এমন একটি রোগ, যেখানে শিশুর হাড়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ঘাটতি দেখা দেয়, যার প্রধান কারণ ভিটামিন ‘D’-এর অভাব।
-
ভিটামিন ‘D’ সূর্যালোকের সাহায্যে ত্বকে উৎপন্ন হয় এবং এটি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ ও বিপাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
যখন শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘D’ থাকে না, তখন হাড়ে ক্যালসিয়াম জমা কমে যায়, ফলে হাড় নরম ও বেঁকে যায়।
-
সাধারণত রিকেট ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কারণ এই সময়ে তাদের হাড় দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ভিটামিন ‘D’-এর প্রয়োজন বেশি থাকে।
-
রিকেটের প্রধান উপসর্গ হলো হাড়ের বিকৃতি, যেমন পা বেঁকে যাওয়া (bow legs), বুকের হাড় বের হয়ে আসা (pigeon chest), কবজি বা গোড়ালির হাড় ফোলা, এবং মাথার হাড় নরম হয়ে যাওয়া।
-
এ ছাড়া শিশুর মধ্যে বিলম্বিত দাঁত ওঠা, ঘাম বেশি হওয়া, খিটখিটে মেজাজ, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
-
কারণ হিসেবে দেখা যায়— সূর্যের আলোয় না থাকা, মায়ের দুধে ভিটামিন ‘D’-এর ঘাটতি, পুষ্টিহীন খাবার গ্রহণ, ও নির্দিষ্ট কিছু লিভার বা কিডনির রোগ।
-
প্রতিরোধের উপায় হিসেবে শিশুকে নিয়মিত সূর্যালোকে রাখা, ভিটামিন ‘D’ সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের কুসুম, মাছের তেল, দুধ, চিজ, মাখন ও সার্ডিন মাছ খাওয়ানো দরকার।
-
গর্ভবতী নারী যদি গর্ভকালীন সময়ে যথেষ্ট ভিটামিন ‘D’ গ্রহণ না করেন, তাহলে নবজাতকের মধ্যেও এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
-
চিকিৎসা হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ‘D’ ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়, যা হাড়কে পুনরায় শক্ত ও সুগঠিত করতে সাহায্য করে।
-
অপরদিকে, প্রোটিন, আয়রন বা ভিটামিন ‘E’-এর অভাবে অন্যান্য সমস্যা যেমন কৃশতা, রক্তস্বল্পতা বা স্নায়ুর দুর্বলতা দেখা দিতে পারে, কিন্তু রিকেট হয় না।
সর্বোপরি বলা যায়, রিকেট একটি ভিটামিন ‘D’-এর ঘাটতিজনিত রোগ, যা শিশুর হাড়ের গঠনকে প্রভাবিত করে এবং সময়মতো প্রতিরোধ বা চিকিৎসা না করলে স্থায়ী বিকৃতি সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক পুষ্টি, পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও সচেতনতা রিকেট প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি ছোয়াচে রোগ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
মাম্স
B
AIDS
C
যক্ষ্মা
D
স্ক্যাবিস (Scabies)
0
Updated: 2 weeks ago