ii) প্রথম আলো।
আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন জাতীয় সংসদে পাস হয় কোন সালের কত তারিখে?
A
১৭ এপ্রিল, ২০০২
B
৯ এপ্রিল, ২০০২
C
১৮ মার্চ, ২০০২
D
৩ এপ্রিল, ২০০২
উত্তরের বিবরণ
আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এখন স্থায়ী আইন
২০০২ সালের ৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন’টি শুরুতে সীমিত মেয়াদে কার্যকর করা হয়েছিল। আইনটি প্রণয়নের সময় এর মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২ বছর।
তবে প্রয়োজনের ভিত্তিতে একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল আইনটির কার্যকারিতা ২২ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়, যা ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হয়।
২০২৪ সালে এই আইনের কার্যকারিতা আর মেয়াদ বাড়িয়ে না দিয়ে একে স্থায়ী আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সংসদে উত্থাপিত সংশোধনী বিলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পেশ করেন। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে এই আইনকে স্থায়ীভাবে কার্যকর রাখা অপরিহার্য।
বিলের উদ্দেশ্য ও বিবরণে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, দস্যুতা, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, সম্পত্তি ধ্বংস, দরপত্র জমা দিতে বাধা প্রদান এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ইত্যাদি গুরুতর অপরাধ দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দমন করার লক্ষ্যেই এই আইন কার্যকর রাখা হয়েছে।
এর মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও অপরাধ দমনে একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে এটি বিবেচিত হয়।
এখন থেকে এই আইনটি আর মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না, কারণ এটি ২০২৪ সালে স্থায়ী আইনে রূপান্তরিত হয়েছে।
উৎস: আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট - bdlaws.minlaw.gov.bd
0
Updated: 3 months ago
Related MCQ
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন কত সালে প্রণীত?
Created: 1 month ago
A
২০০৪ সালে
B
২০০৫ সালে
C
২০০৬ সালে
D
২০০৭ সালে
ChatGPT said:
0
Updated: 1 month ago
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা-
Created: 1 month ago
A
আইন মন্ত্রণালয়ের
B
রাষ্ট্রপতির
C
স্পিকারের
D
জাতীয় সংসদের
জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা
বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। সংবিধান অনুযায়ী, এটি দেশের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
সংবিধান ৬৫(১) ধারায় বলা হয়েছে:
"জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের উপর থাকবে।
তবে এখানে একটি শর্তও রয়েছে: সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে, তাতে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা অন্যান্য আইনগত কার্যকর চুক্তি তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংসদকে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে না। অর্থাৎ, সংসদ সবসময় প্রধান আইন প্রণয়নকারী থাকবে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান, ধারা ৬৫
0
Updated: 1 month ago
সরকারি চাকরি আইন কত সালে প্রণীত হয়?
Created: 1 month ago
A
২০১৭ সালে
B
২০১৮ সালে
C
২০১৯ সালে
D
২০২০ সালে
বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ প্রণীত হয়। এ আইন সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়োগ, শৃঙ্খলা, অবসর এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট করে।
-
সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ সালে প্রণয়ন করা হয়।
-
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর এই আইনের গেজেট প্রকাশিত হয়।
-
আইনটি কার্যকর হয় ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে।
প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
সরকারি চাকরি আইনের অধীনে বর্তমানে কোনো কর্মচারী ২৫ বছর চাকরির বয়স পূর্ণ করলে সরকার কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে।
-
এর বাইরে কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হলে ‘সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি তদন্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
0
Updated: 1 month ago