'রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র' গ্রন্থের রচনা করেছেন কে?
A
রামরাম বসু
B
উইলিয়াম কেরি
C
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
D
গোলোকনাথ শর্মা
উত্তরের বিবরণ
রামরাম বসু রচিত গ্রন্থ ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ ১৮০১ সালে প্রকাশিত হয়। এটি বাঙালি রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত।
-
রামরাম বসু উইলিয়াম কেরিকে বাংলা ভাষা শেখান (১৭৯৩ থেকে ১৭৯৬ পর্যন্ত)।
-
এজন্য তিনি কেরি সাহেবের মুন্সি নামে পরিচিত ছিলেন।
0
Updated: 1 month ago
'সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।'- বিখ্যাত পদটি কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
জ্ঞানদাস
B
চণ্ডীদাস
C
বিদ্যাপতি
D
গোবিন্দদাস
জ্ঞানদাস
-
জ্ঞানদাস চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত কবি।
-
তিনি বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২০০ (মতান্তরে ৪০০) পদ রচনা করেন।
-
তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ দুটি হলো মাথুর ও মুরলীশিক্ষা, যা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের অংশ।
জ্ঞানদাসের কবিতার কিছু বিখ্যাত পঙ্ক্তি:
-
রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।। -
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।
অমিয়-সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল।।
0
Updated: 1 month ago
হিন্দী 'পদুমাবৎ' -এর অবলম্বনে 'পদ্মাবতী' কাব্যের রচয়িতা-
Created: 4 months ago
A
দৌলত উজীর বাহরাম খান
B
সৈয়দ সুলতান
C
আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
D
আলাওল
পদ্মাবতী আলাওল রচিত একটি প্রখ্যাত প্রণয়কাব্য, যা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত। এটি হিন্দি ভাষার খ্যাতিমান কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ।
এই কাব্যটি ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে রচিত হয় আরাকান রাজ্যের রাজা সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে। রাজ্যের মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে আলাওল এটি অনুবাদ করেন।
‘পদ্মাবতী’ কাব্য দুই পর্বে বিভক্ত:
-
প্রথম পর্বে চিতোরের রাজা রত্নসেন কীভাবে সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করেন, তা বর্ণিত হয়েছে।
-
দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি কীভাবে ব্যর্থভাবে পদ্মাবতীকে দখল করার চেষ্টা করেন, তার বর্ণনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, একই নামের নাটক ‘পদ্মাবতী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ও রচনা করেছিলেন, তবে সেটি আলাওলের কাব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
আলাওল ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর রচনায় ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও প্রণয়কাহিনির অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়।
বিখ্যাত রচনাসমূহ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রাগতালনামা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 4 months ago
'বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন' এর রচয়িতা -
Created: 2 weeks ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
মুহম্মদ আব্দুল হাই
C
আবুল মনসুর আহমদ
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
উত্তর: খ) মুহম্মদ আব্দুল হাই
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ গ্রন্থটির রচয়িতা মুহম্মদ আব্দুল হাই। এটি একটি ভ্রমণকাহিনি, যেখানে লেখক তাঁর বিদেশযাত্রার অভিজ্ঞতা সাহিত্যিকভাবে তুলে ধরেছেন। বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণবিষয়ক লেখার ধারায় এটি এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন, যা কেবল একটি ভ্রমণের বিবরণ নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানসিক অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি।
গ্রন্থটির মূল বিষয় হলো লেখকের ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন জীবন, শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ। তিনি সেখানে কাটিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাতশ দিন, সেই সময়ের প্রতিটি অভিজ্ঞতাকে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন।
লেখাটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে বিদেশি সংস্কৃতি ও বাঙালি মানসিকতার পার্থক্য সূক্ষ্মভাবে চিত্রিত হয়েছে। লেখক তুলনামূলক দৃষ্টিতে পশ্চিমা জীবনধারা ও বাঙালি সমাজের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করেছেন।
-
ভাষা ও শৈলীতে রয়েছে হাস্যরস, রসিকতা ও সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ। এতে লেখকের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিদীপ্ততা ও সাহিত্যিক পরিপক্বতা প্রকাশ পেয়েছে।
-
বইটিতে বিদেশি সমাজের প্রতি অবজারভেশনধর্মী বিশ্লেষণ পাওয়া যায়; তিনি কোনো কিছু অন্ধভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেননি, বরং যুক্তিনির্ভরভাবে বিচার করেছেন।
-
এটি শুধু একটি ভ্রমণকাহিনি নয়; এতে আত্মপ্রতিকৃতি, শিক্ষা ও মানবসম্পর্কের বিশ্লেষণও বিদ্যমান।
-
লেখক বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশি প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করে জাতীয় পরিচয়ের প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন।
-
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’-এর ভাষা পরিশীলিত, কিন্তু সহজবোধ্য। লেখক তাঁর অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যে পাঠক মনে করে, সে নিজেও যেন সেই অভিজ্ঞতার অংশ।
মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিশারদ ও সাহিত্যসমালোচক। তিনি বাংলা সাহিত্যে যুক্তিবাদ, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রচারক হিসেবে পরিচিত। তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (সহলেখক), ‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ প্রভৃতি।
সব মিলিয়ে, ‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ কেবল একটি ভ্রমণকাহিনি নয়, এটি এক বুদ্ধিদীপ্ত সাহিত্য-ভ্রমণ, যেখানে একজন বাঙালি বুদ্ধিজীবীর চোখে বিদেশি সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবজীবনের বহুমাত্রিক রূপ ধরা পড়েছে। এ কারণেই গ্রন্থটি বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের এক ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago