শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
A
দুই ভাগে
B
তিন ভাগে
C
চার ভাগে
D
পাঁচ ভাগে
উত্তরের বিবরণ
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমষ্টিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যা শব্দের অর্থ ও প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
১. যৌগিক শব্দ:
যেসব শব্দের অর্থ তাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাদের যৌগিক শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
কৃ + তব্য = কর্তব্য, অর্থ: যা করা উচিত।
-
বাবু + আনা = বাবুয়ানা, অর্থ: যিনি বাবুর ভাব নিয়ে চলেন।
২. রূঢ় বা রূঢ়ী শব্দ:
যেসব শব্দের অর্থ তাদের প্রকৃতি বা প্রত্যয়ের মূল অর্থের সঙ্গে মিলিত না হয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে রূঢ় বা রূঢ়ী শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
সন্দেশ শব্দের মূল অর্থ হলো ‘সংবাদ’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘মিষ্টান্ন’।
-
চিকন শব্দের মূল অর্থ ‘চকচকে’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘সরু’।
৩. যোগরূঢ় শব্দ:
সমাসনিষ্পন্ন শব্দ যাদের ব্যাসবাক্যের কোনো অর্থ প্রকাশ না করে, বরং তৃতীয় কোনো অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে যোগরূঢ় শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
জলদ: মূল অর্থ ‘যে জল দেয়’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘মেঘ’।
-
পঙ্কজ: শব্দের অর্থ ‘যা পঙ্কে জন্মে’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘পদ্ম’।

0
Updated: 1 day ago
কোন উপসর্গটি "অভাব" অর্থ প্রকাশ করে?
Created: 3 days ago
A
রাম
B
কদ
C
আব
D
হা
হা উপসর্গটি "অভাব"
অর্থ প্রকাশ করে।
• হা
- অর্থদ্যোতকতা: অভাব অর্থে
- উদাহরণ: হাপিত্যেশ, হাভাতে, হাঘরে, হাকপাল, হাহুতাশ।
অন্যান্য অপশন:
• রাম
- অর্থদ্যোতকতা: বড় বা উৎকৃষ্ট অর্থে
- উদাহরণ: রামছাগল, রামশিঙা, রামবোকা, রামদা।
• আব
- অর্থদ্যোতকতা: অস্পষ্টতা অর্থে
- উদাহরণ: আবছায়া, আবডাল।
• কদ
- অর্থদ্যোতকতা: নিন্দিত অর্থে
- উদাহরণ: কদবেল, কদর্য, কদাকার।

0
Updated: 3 days ago
কোনটি অর্ধস্বরধ্বনি?
Created: 1 week ago
A
[অ্যাঁ]
B
[উ]
C
[আ]
D
[অ]
অর্ধস্বরধ্বনি হলো সেই স্বরধ্বনি যা পূর্ণভাবে উচ্চারিত হয় না। বাংলা ভাষায় চারটি অর্ধস্বরধ্বনি রয়েছে: [ই], [উ], [এ] এবং [ও]। এগুলোকে টেনে বা দীর্ঘ করা যায় না।
অন্যদিকে, কিছু স্বরধ্বনি হলো:
-
মৌলিক স্বরধ্বনি: [আ], [অ]
-
অনুনাসিক স্বরধ্বনি: [অ্যাঁ]

0
Updated: 1 week ago
‘চর্যাপদ’ হলো-
Created: 2 days ago
A
একগুচ্ছ ধর্মোপদেশ
B
সাধন সংগীত
C
জীবনাচরণ পদ্ধতি
D
নীতিকথা
• চর্যাপদ
-গানের সংকলন বা সাধন সংগীত যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন।
-------------
• চর্যাপদ:
- চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/ গানের সংকলন।
- এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র
লিখিত নিদর্শন।
- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের
রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার
করেন।
- চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ
সহজিয়াগণ।
- চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা বলা হয়েছে।
- চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী
চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 2 days ago