'কবিতার কথা' জীবনানন্দ দাশ রচিত-
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
কবিতা
উত্তরের বিবরণ
‘কবিতার কথা’ জীবনানন্দ দাশ রচিত একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। এই প্রবন্ধের একটি বিখ্যাত উক্তি হলো: “সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি”।
জীবনানন্দ দাশ সংক্রান্ত তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালে বরিশালে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে “চিত্ররূপময়” আখ্যায়িত করেছেন।
-
পরিচিতি: ধূসরতার কবি, তিমির হননের কবি, নির্জনতার কবি, রূপসী বাংলার কবি।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: “কবিতার কথা”।
-
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ: “বনলতা সেন”, যা আডগার এলেন পো-এর প্রভাব গ্রহণ করেছে।
-
মৃত্যুর পর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: “রূপসী বাংলা” ও “বেলা অবেলা কালবেলা”।
জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
ঝরা পালক
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা
0
Updated: 1 month ago
জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পর কোন কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
ঝরাপালক
B
রূপসী বাংলা
C
বনলতা সেন
D
সাতটি তারার তিমির
সঠিক উত্তর হলো: খ) রূপসী বাংলা। জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটি তাঁর মৃত্যুর তিন বছর পর ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যগ্রন্থে জীবনের গ্রামীণ দৃশ্য, প্রকৃতি ও বাংলার সৌন্দর্যের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ফুটে উঠেছে এবং এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে বিবেচিত।
• ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ:
-
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান।
-
মৃত্যুর পর ১৯৫৭ সালে ‘রূপসী বাংলা’ প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থটি বাংলার প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন ও সৌন্দর্যের প্রতি কবির গভীর অনুরাগের প্রতিফলন।
• কাব্যগ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য:
-
কবিতাগুলি মূলত সনেট আকারের।
-
বিষয়বস্তুতে রয়েছে বাংলার গ্রাম, নদীনালা, পশু-পাখি, উৎসব ও অনুষ্ঠান।
-
‘আবার আসিব ফিরে’ কাব্যটির একটি বিখ্যাত কবিতা।
• অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:
-
ঝরা পালক:
-
জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত ১৯২৭ সালে।
-
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতিকে কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে।
-
রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
-
বনলতা সেন:
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কাব্য, প্রকাশিত ১৯৪২ সালে।
-
‘বনলতা সেন’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা।
-
কাব্যে প্রেম, প্রকৃতি, ইতিহাস ও ব্যক্তিগত অনুভূতির সমাহার ফুটে উঠেছে।
-
-
সাতটি তারার তিমির:
-
জীবনানন্দের পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত ১৯৪৮ সালে।
-
প্রথম কবিতা ‘আকাশনীলা’।
-
বইটি হুমায়ুন কবিরকে উৎসর্গ করা।
-
0
Updated: 1 month ago
জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
বিমুখ প্রান্তর
B
মহাপৃথিবী
C
কালের কলস
D
বৈরি বৃষ্টিতে
জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি, যিনি প্রাকৃতিক দৃশ্য, মানবিক অনুভূতি এবং দার্শনিক চিন্তাকে গভীরভাবে প্রকাশ করেছেন। তার রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘মহাপৃথিবী’ বাংলা আধুনিক কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এই কাব্যগ্রন্থে কবি প্রকৃতি, জীবনদর্শন এবং মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কিত ভাবনা ছড়িয়ে দিয়েছেন, যা পাঠককে চিন্তাশীল এবং অনুভূতিপ্রবণ করে তোলে।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
প্রকৃতি ও পরিবেশের চিত্রায়ন: ‘মহাপৃথিবী’-তে জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির সৌন্দর্য, ঋতু পরিবর্তন এবং জীবজগতের গতি সূক্ষ্মভাবে বর্ণনা করেছেন। পাঠক প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ অনুভব করতে পারেন।
-
দার্শনিক ভাবনা: কাব্যগ্রন্থে মানুষ, সময় এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের দার্শনিক ও গভীর ভাবনা ফুটে উঠেছে। কবির চিন্তাভাবনা প্রায়শই অন্তর্দৃষ্টি ও মানব জীবনের অর্থ অন্বেষণে নিয়োজিত।
-
ভাষা ও শৈলী: কবির ভাষা সরাসরি, প্রাঞ্জল এবং স্বচ্ছ, যা পাঠককে সহজে ভাবের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
-
মানবিক অনুভূতি: কাব্যগ্রন্থে মানুষের আবেগ, বিচ্ছিন্নতা, আনন্দ এবং দুঃখ সূক্ষ্মভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এটি পাঠকের অনুভূতিশীলতা ও চিন্তাশীলতা উদ্দীপিত করে।
-
বাংলা আধুনিক কবিতায় গুরুত্ব: ‘মহাপৃথিবী’ বাংলা আধুনিক কবিতার প্রতিষ্ঠিত মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত, যেখানে প্রকৃতি, জীবনদর্শন এবং দার্শনিক চিন্তার সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
সারসংক্ষেপে, জীবনানন্দ দাশের ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা আধুনিক কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন, যা প্রকৃতি, জীবনদর্শন এবং মানবিক অনুভূতির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে পাঠককে চিন্তাশীল ও আবেগপ্রবণ করে তোলে।
0
Updated: 2 weeks ago
জীবনানন্দ দাশকে 'নির্জনতার কবি' আখ্যা দিয়েছেন কে?
Created: 4 days ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
বিষ্ণু দে
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি, যিনি প্রকৃতি, জীবন ও মানবমনের গভীর অনুভূতি তার কাব্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর কবিতায় প্রায়শই নির্জনতা, একাকীত্ব এবং ভাবনার গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু তাঁকে ‘নির্জনতার কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জীবনানন্দের কাব্যে সরল ভঙ্গি, প্রকৃতির সঙ্গে মিলন এবং মানব জীবনের একাকীত্বের চিত্র অসাধারণভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তাঁর প্রবন্ধ ও কবিতায় নির্জনতার অনুভূতি শুধুমাত্র একাকীত্ব নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গভীরতার প্রতিফলন। ফলে সাহিত্য বিশ্লেষকের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আখ্যা সঠিকভাবে তাঁর কবিতার ভাব ও স্বরূপকে নির্দেশ করে। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর ‘বুদ্ধদেব বসু’।
0
Updated: 4 days ago