বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থের নাম কী?
A
চৈতন্য মঙ্গল
B
চৈতন্য-ভাগবত
C
চৈতন্য-চরিতামৃত
D
চৈতন্যজীবনী
উত্তরের বিবরণ
শ্রী চৈতন্যদেব মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য প্রভাব বিস্তারকারী ধর্মপ্রচারক। তিনি নিজে বাংলা ভাষায় একটি পঙক্তিও রচনা করেননি, কিন্তু তাঁর নামেই একটি যুগের সৃষ্টি হয়েছে, যা চৈতন্যযুগ নামে পরিচিত। তাঁকে কেন্দ্র করে মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যধারা বৈষ্ণব সাহিত্য গড়ে ওঠে। তাঁর প্রচেষ্টা ও প্রভাবের ফলেই বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষিত হয়।
-
বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থ হলো বৃন্দাবন দাস রচিত ‘চৈতন্য-ভাগবত’।
-
দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ হলো লোচন দাসের ‘চৈতন্য মঙ্গল’।
-
সবচেয়ে অদ্বিতীয় ও তথ্যবহুল জীবনীগ্রন্থ হলো কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্য-চরিতামৃত’।
-
বাংলা সাহিত্য ১৫০০ থেকে ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে চৈতন্যযুগ বলা হয়।
-
শ্রীচৈতন্যর পিতৃদত্ত নাম ছিল বিশ্বম্ভর মিশ্র, আর ডাক নাম ছিল নিমাই।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৫৩৩ খ্রিষ্টাব্দে।
বৈষ্ণব সাহিত্য প্রধানত তিন প্রকার—
-
জীবনীকাব্য
-
বৈষ্ণব শাস্ত্র
-
পদাবলী
0
Updated: 1 month ago
'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' গ্রন্থটির রচয়িতা-
Created: 5 months ago
A
মুহম্মদ আব্দুল হাই
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
আবুল মনসুর আহমদ
D
আতাউর রহমান
• 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' (১৯৬৮) গ্রন্থটির রচয়িতা আবুল মনসুর আহমদ।
- এটি একটি রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থ।
- আবুল মনসুর আহমদ রচিত রাজনীতি বিষয়ক আরেকটি গ্রন্থ হলো: ‘শেরে বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু’ (১৯৭৩)।
--------------
• আবুল মনসুর আহমদ:
- সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক।
- আবুল মনসুর আহমদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলেও বিদ্রুপাত্মক রচনার লেখক হিসেবেই তিনি সমধিক পরিচিত।
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
- আয়না ও
- ফুড কনফারেন্স।
আত্মচরিত:
- আত্মকথা।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
কোন গ্রন্থটির রচয়িতা এস ওয়াজেদ আলি?
Created: 3 months ago
A
আশা-আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে
B
ভবিষ্যতের বাঙালি
C
উন্নত জীবন
D
সভ্যতা
‘ভবিষ্যতের বাঙালি’ গ্রন্থ ও এস ওয়াজেদ আলি: এক দৃষ্টিপাত
‘ভবিষ্যতের বাঙালি’ শিরোনামের প্রবন্ধগ্রন্থটি রচনা করেছেন বিশিষ্ট বাঙালি চিন্তাবিদ, লেখক ও প্রাবন্ধিক এস ওয়াজেদ আলি। এই গ্রন্থে তিনি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন গড়ে তুলে একটি সাম্প্রদায়িকতা-বর্জিত, ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের স্বপ্ন তুলে ধরেছেন।
এস ওয়াজেদ আলি: সংক্ষিপ্ত পরিচয়
এস ওয়াজেদ আলির সাহিত্যিক পরিচয় বহুস্তরীয়—তিনি প্রবন্ধকার, গল্পকার এবং ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা হিসেবে সমানভাবে খ্যাত। তাঁর জন্ম ১৮৯০ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শণ্ঠীরামপুর মহকুমার বড় তাজপুর গ্রামে। সাহিত্যজগতে তার প্রবেশ ঘটে ‘অতীতের বোঝা’ নামক প্রবন্ধের মাধ্যমে, যা ১৯১৯ সালে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্রে প্রকাশিত হয়।
১৯৩২ সালে তিনি ‘গুলিস্তাঁ’ নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যচর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করেন।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছেন, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
জীবনের শিল্প
-
প্রাচ্য ও প্রতীচ্য
-
ভবিষ্যতের বাঙালী
-
আকবরের রাষ্ট্র সাধনা
-
মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ
উপন্যাস ও ভ্রমণবিষয়ক রচনা
তাঁর একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক উপন্যাস গ্রানাডার শেষ বীর, পাঠকদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
ভ্রমণ সাহিত্যে তাঁর অবদানও প্রশংসনীয়। এর মধ্যে পশ্চিম ভারত এবং মোটরযোগে রাঁচী সফর উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র:
ড. সৌমিত্র শেখর সম্পাদিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
জাহানারা ইমাম রচিত গ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 5 months ago
A
সাতটি তারার তিমির
B
বুকের ভিতর আগুন
C
ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস
D
একাত্তরের দিনগুলি
• 'সাতটি তারার তিমির' কাব্যগ্রন্থটি জাহানারা ইমাম রচনা করেন নি।
- কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা - জীবনানন্দ দাশ।
• জাহানারা ইমাম:
- জাহানারা ইমাম 'শহীদ জননী' হিসেবে খ্যাত।
- তিনি ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য শহীদ শফি ইমাম রুমীর মা।
- তিনি ১৯৯২ সালে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি'র আহবায়ক হন।
- জাহানারা ইমাম ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে গণ-আদালত গড়ে তোলেন।
• তাঁর রচিত কয়েকটি গ্রন্থ:
- সাতটি তারার ঝিকিমিকি,
- অন্যজীবন,
- বুকের ভিতর আগুন,
- নাটকের অবসান,
- নিঃসঙ্গ পাইন,
- ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস,
- প্রবাসের দিনগুলি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago