'সিরাজাম মুনীরা'- কোন ভাষায় রচিত গ্রন্থ?
A
বাংলা
B
আরবি
C
ফারসি
D
হিন্দি
উত্তরের বিবরণ
সিরাজাম মুনীরা' হলো ফররুখ আহমদের বাংলা ভাষায় রচিত একটি বিখ্যাত কাব্য। তিনি আধুনিক বাংলা কাব্যে ইসলামী চেতনা, আধ্যাত্মিকতা ও মানবতার আদর্শ তুলে ধরেছেন। কবিতার মাধ্যমে তিনি শুধু সাহিত্যেই নয়, সমাজেও বিশেষ অবদান রেখেছেন।
-
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘লাশ’ কবিতা তাঁকে প্রথম খ্যাতি এনে দেয়।
-
হাতেমতায়ী তাঁর একটি কাহিনিকাব্য।
-
নৌফেল ও হাতেম তাঁর রচিত একটি কাব্যনাট্য।
-
সাত সাগরের মাঝি হলো তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্য।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যের মধ্যে রয়েছে: সাত সাগরের মাঝি, সিরাজাম মুনিরা, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা, হাতেমতায়ী, হাবেদা মরুর কাহিনী ইত্যাদি।
এ ছাড়া শিশুদের জন্যও তিনি অসাধারণ রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: পাখির বাসা, হরফের ছড়া, ছড়ার আসর ইত্যাদি।

0
Updated: 1 day ago
প্রবোধচন্দ্রিকা” গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
মনোএল দা আস্সুম্পসাঁউ
C
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
D
উইলিয়াম কেরী
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
তিনি উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত, ভাষাবিদ ও লেখক ছিলেন।
-
জন্ম: তৎকালীন ওড়িষা প্রদেশের মেদিনীপুর জেলা।
-
নাটোর রাজবাড়ির দরবারে লেখাপড়া করে তিনি একজন উচ্চমানের সংস্কৃত পণ্ডিতে পরিণত হন।
-
বাংলা গদ্যের প্রাথমিক যুগে তিনি প্রধান লেখক এবং উনিশ শতকের প্রথম শ্রেষ্ঠ বাংলা গদ্যকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
-
উইলিয়াম কেরীর সুপারিশে ১৮০১ সালের ৪ মে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড-পণ্ডিত নিযুক্ত হন।
-
এছাড়াও তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ‘জজ-পণ্ডিত’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
-
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের মধ্যে সর্বাধিক গ্রন্থের রচয়িতাহিসেবে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
-
বত্রিশ সিংহাসন
-
রাজাবলী
-
হিতোপদেশ
-
বেদান্তচন্দ্রিকা
-
প্রবোধচন্দ্রিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ভ্রমণসাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ নয়?
Created: 1 month ago
A
চার ইয়ারী কথা
B
পালামৌ
C
দৃষ্টিপাত
D
দেশে বিদেশে
‘চার ইয়ারী কথা’ ও প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্য
‘চার ইয়ারী কথা’ প্রমথ চৌধুরীর একটি গল্পগ্রন্থ, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। এতে চার বন্ধুর প্রেমকাহিনি উঠে এসেছে। গল্পের নায়িকা চারজনই ইউরোপীয়।
প্রথম নায়িকা উন্মাদ, দ্বিতীয় চোর, তৃতীয় প্রতারক, এবং চতুর্থ নায়িকা মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করে। বইটিতে ভাষার চাতুর্য, সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ, পরিহাসপ্রিয়তা এবং ভাবালু প্রেমকাহিনির প্রতিবাদী রূপ ফুটে উঠেছে।
তুলনায়:
-
‘পালামৌ’ — সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম ভ্রমণকাহিনি।
-
‘দৃষ্টিপাত’ — বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনির রচয়িতা বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়।
-
‘দেশে বিদেশে’ — সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত সুপরিচিত ভ্রমণকাহিনি।
প্রমথ চৌধুরী
-
তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে সুপরিচিত।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল।
-
১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বীরবলের হালখাতা’ প্রবন্ধে প্রথমবার চলিত রীতি প্রয়োগ করেন।
-
বাংলা কাব্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
প্রমথ চৌধুরীর প্রধান রচনা:
-
গল্পগ্রন্থ: ‘আহুতি’, ‘নীললোহিত’ এবং অন্যান্য গল্পসংগ্রহ।
-
কাব্যগ্রন্থ: ‘সনেট পঞ্চাশৎ’, ‘পদচারণ’।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
’রূপজালাল’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
সেলিনা হোসেন
B
নওয়াব ফয়জুন্নেসা
C
সুফিয়া কামাল
D
জাহানারা ইমাম
নওয়াব ফয়জুন্নেসা
-
তিনি একজন জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি।
-
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলাধীন পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
-
পিতা: আহমদ আলী চৌধুরি, হোমনাবাদ-পশ্চিমগাঁও-এর জমিদার।
-
পারিবারিক পরিবেশে গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই তিনি শিক্ষালাভ করেন।
-
মুসলমানদের কঠিন পর্দাপ্রথার মধ্যেও ফয়জুন্নেসা আরবি, ফারসি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা ও ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
-
রূপজালাল (১৮৭৬) গ্রন্থটি গদ্যে-পদ্যে রচিত, রূপকের আশ্রয়ে একটি আত্মজীবনীমূলক রচনা।
-
এতে তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনি স্থান পেয়েছে।
-
এছাড়া সঙ্গীতসার ও সঙ্গীতলহরী নামে তাঁর দু’খানি কাব্য রচনা রয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago