জসীম উদ্দীনের শ্রেষ্ঠ কাহিনিকাব্য কোনটি?
A
কবর
B
রাখালী
C
সোজন বাদিয়ার ঘাট
D
নক্সী কাঁথার মাঠ
উত্তরের বিবরণ
নক্সী কাঁথার মাঠ জসীম উদদীনের বিখ্যাত কাহিনিকাব্য, যা আধুনিক বাংলা কাব্যের ইতিহাসে বিশেষ স্বাতন্ত্র্য বহন করে। এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং ১৯৩৯ সালে E.M. Milford ইংরেজিতে The Field of the Embroidered Quilt শিরোনামে অনুবাদ করেন।
-
কাব্যের প্রথম অংশে চাষির ছেলে রূপাই ও পাশের গ্রামের মেয়ে সাজুর প্রথম পরিচয়, তাদের অনুরাগের বিকাশ, বিবাহ এবং কয়েক মাসের সুখময় জীবন বর্ণিত।
-
দ্বিতীয় অংশে তাদের বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে গল্প এগিয়ে আসে।
-
কাব্যটি পূর্ববঙ্গ গীতিকায় ব্যবহৃত বর্ণনাভঙ্গি ও ভাষারীতি অনুসরণ করে লেখা।
-
গ্রামীণ জীবনের মাধুর্য ও কারুণ্য, বৈচিত্র্যহীন ক্লান্তিকরতা এবং মানুষের অসহায়তা কাব্যের মূল উপকরণ।
জসীম উদ্দীন
-
জন্ম: ১৯০৩, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে।
-
কলেজ জীবনে ‘কবর’ কবিতা রচনা করে বিপুল খ্যাতি অর্জন।
-
কবর কবিতাটি প্রকাশিত হয় কল্লোল পত্রিকায়।
-
১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন।
-
উপাধি: পল্লিকবি
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: রাখালী
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রাখালী
-
নক্সী কাঁথার মাঠ
-
সুচয়নী
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
এক পয়সার বাঁশি
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
রূপবতী
-
মা যে জননী কান্দে
-
মাটির কান্না
0
Updated: 1 month ago
‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসে রূপক-প্রতীকের মাধ্যমে কোন শাসকের সমালোচনা করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ইয়াহিয়া খান
B
আইয়ুব খান
C
বল্লাল সেন
D
বাদশাহ হারুন-অর-রশীদ
ক্রীতদাসের হাসি হলো শওকত ওসমানের কালোত্তীর্ণ ও প্রতিকাশ্রয়ী উপন্যাস, যা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়। এটি মূলত তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সামরিক শাসনের সমালোচনা নিয়ে রচিত।
-
মূল বিষয়বস্তু:
-
উপন্যাসে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সমালোচনা রূপক-প্রতীকের মাধ্যমে করা হয়েছে।
-
বাগদাদের বাদশা হারুন অর রশিদ অত্যাচারী চরিত্রে চিত্রিত; তিনি ক্রীতদাস তাতারি ও বাঁদি মেহেরজানের সম্পর্কের পথে বাধা সৃষ্টি করেন এবং তাতারিকে গৃহবন্দি ও নির্যাতন করেন।
-
তাতারি আমৃত্যু বাদশা হারুনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
-
উপন্যাসে তাতারি বাঙালি জনতার প্রতীক, আর বাদশা হারুন আইয়ুব খানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
তাতারির হাসি বাঙালির স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত।
-
এটি শওকত ওসমানের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত; রচনার জন্য ১৯৬৬ সালে তাঁকে আদমজি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
-
শওকত ওসমান
-
জন্ম: ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: শেখ আজিজুর রহমান, সাহিত্যিক নাম শওকত ওসমান।
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
নেকড়ে অরণ্য: মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নারীর উপর অত্যাচারের বর্ণনা।
-
জননী: সামাজিক জীবনকে কেন্দ্র করে লেখা।
-
ক্রীতদাসের হাসি: রাজনৈতিক জীবনের অন্ধকার দিক উন্মোচিত।
-
জাহান্নম হইতে বিদায়: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
শওকত ওসমান রচিত কিছু উপন্যাস:
ক্রীতদাসের হাসি, সমাগম, রাজা উপাখ্যান, দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্য, পতঙ্গ পিঞ্জর, রাজসাক্ষী, জলাঙ্গী, পুরাতন খঞ্জর, বনি আদম, জননী, চৌরসন্ধি
শওকত ওসমান রচিত নাটক:
তস্কর নস্কর, পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা, আমলার মামলা
0
Updated: 1 month ago
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে” কে বলেছেন?
Created: 1 month ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
প্রথম চৌধুরী
C
মুনীর চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী
-
সাহিত্যিক ও বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক।
-
জন্ম: ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: ‘বীরবল’।
-
তাঁর রচনা ‘বীরবলের হালখাতা’ ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে তিনি প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ ঘটান।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন।
-
তিনি ‘সবুজপত্র’ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন।
বিখ্যাত কিছু উক্তি:
-
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালিই পড়ে।
-
আনন্দের ধর্ম এই যে তা সংক্রামক।
-
সাহিত্যে মানবত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে।
-
যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।
-
যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি পূর্ববঙ্গ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত নয়?
Created: 2 months ago
A
ভেলুয়া
B
কমল সওদাগর
C
নিজাম ডাকাতের পালা
D
কমলা
• কমলা
-
মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত।
পূর্ববঙ্গ-গীতিকা
-
সংজ্ঞা: পূর্ববাংলার লোকসাহিত্যের একটি সংকলন, যা মুখে মুখে রচিত ও লোকসমাজে প্রচলিত।
-
অঞ্চল: ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফরিদপুর, সিলেট (শ্রীহট্ট), ত্রিপুরা প্রভৃতি।
-
প্রধান সংগ্রাহক: চন্দ্রকুমার দে, দীনেশচন্দ্র সেন, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্দীন, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, রজনীকান্ত ভদ্র, বিহারীলাল রায়, বিজয়নারায়ণ আচার্য প্রমুখ।
-
সংগৃহীত পালাগুলির সংখ্যা: পঞ্চাশের অধিক।
পূর্ববঙ্গ গীতিকার পালা:
-
নিজাম ডাকাতের পালা
-
কাফন চোরা
-
ভেলুয়া
-
চৌধুরীর লড়াই
-
কমল সদাগর
-
সুজা তনয়ার বিলাপ
-
পরীবানুর হাহলা
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago