‘চন্দ্রাবতী' কাব্যের লেখক কে?
A
দ্বিজ কানাই
B
চন্দ্রাবতী
C
কেরেশী মাগন ঠাকুর
D
নয়ানচাঁদ ঘোষ
উত্তরের বিবরণ
• ‘চন্দ্রাবতী'
কাব্য:
- ‘চন্দ্রাবতী'
কাব্যের একমাত্র রচয়িতা — কেরেশী মাগন ঠাকুর।
- এর একটি খণ্ডিত পুথি
পাওয়া গেছে।
- কাব্যের রচনাকাল নিয়ে সংশয় আছে।
- তবে মাগন ঠাকুর — আরাকান
রাজ্যের মন্ত্রী ও আলাওলের পৃষ্ঠপোষক
ছিলেন। তাই কাব্যটি সতের
শতকের।
- ‘চন্দ্রাবতী' কাব্যের প্রাচীন উৎস জানা যায়
না।
- মনে হয় এটা কবির
স্বাধীন কল্পনা।
- উল্লেখ্য, চন্দ্রাবতী নামে ময়মনসিংহ গীতিকার
একজন মহিলা কবি রয়েছেন যিনি
প্রথম রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন।
- আরও উল্লেখ্য, চন্দ্রাবতীকে নিয়ে মৈমনসিংহ-গীতিকায়
নয়ানচাঁদ ঘোষ নামে একজন
কবির পালা রয়েছে।
- এই পালাটি বিভিন্ন নামে পরিচিত - ‘জয়-চন্দ্রাবতী’, 'চন্দ্রাবতী চরিত', 'চন্দ্রাবতী উপাখ্যান'।

0
Updated: 7 hours ago
'বিদ্যাসুন্দর' কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আবদুল হাকিম
B
সাবিরিদ খান
C
দৌলত কাজী
D
মুহম্মদ কবীর
বিদ্যাসুন্দর
-
বিদ্যাসুন্দর কাব্যের রচয়িতা সাবিরিদ খান, যিনি মধ্যযুগের বাংলা কবি।
-
কাহিনি রচনায় তিনি প্রচলিত লোককাহিনি অবলম্বন করেছেন।
-
বিদ্যাসুন্দরের কাহিনি কালিকামঙ্গল ধারার অন্তর্গত।
সাবিরিদ খানের আখ্যানমূলক কাব্যসমূহ:
-
বিদ্যাসুন্দর
-
রসুল বিজয়
-
হানিফা-কয়রাপরী

0
Updated: 1 month ago
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের মৃত্যুর পর প্রকাশিত গদ্যরীতির গ্রন্থ কোনটি?
Created: 5 days ago
A
প্রবোধচন্দ্রিকা
B
পঞ্চতন্ত্র
C
রাজাবলি
D
বত্রিশ সিংহাসন
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ও ‘প্রবোধচন্দ্রিকা’
১. প্রবোধচন্দ্রিকা
-
রচনা ও প্রকাশ: ১৮১৩ সালে রচিত হলেও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার মৃত্যুর পর ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত।
-
ধারা ও বিষয়: মূলত দার্শনিক নিবন্ধ; সংস্কৃত বিদ্যাভাণ্ডারের পরিচয় প্রদানের উদ্দেশ্যে রচিত।
-
ভাষা ও শৈলী: কথ্য সাধু ভাষা ও সংস্কৃত রীতির মিশ্র ব্যবহার।
২. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২–১৮১৯)
-
প্রধান রচনাসমূহ:
১. বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২)
২. রাজাবলি (১৮০৮)
৩. হিতোপদেশ (১৮০৮)
৪. বেদান্তচন্দ্রিকা (১৮১৭)
৫. প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩) -
গ্রন্থ বৈশিষ্ট্য:
-
হিতোপদেশ: সংস্কৃত ‘পঞ্চতন্ত্র’ থেকে অনূদিত; ভাষা সংস্কৃতানুগ।
-
রাজাবলি: কিংবদন্তি ও লোকপ্রসিদ্ধির উপর নির্ভর; গদ্যরীতি সুষ্ঠু ও প্রাঞ্জল; আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার।
-
বেদান্তচন্দ্রিকা: নামপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ের উল্লেখ নেই; বহু অংশ সংস্কৃত গ্রন্থ ও বেদান্ত সূত্রের অনুবাদ; স্বাধীন রচনা নয়।
-

0
Updated: 5 days ago
'কায়েশ' চরিত্রটি কোন কাব্যের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 5 days ago
A
ইউসুফ-জোলেখা
B
লায়লী মজনু
C
চন্দ্রাবতী
D
পদ্মাবতী
লায়লী-মজনু কাব্য বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোমান্টিক কাব্য, যা ফারসির প্রখ্যাত কাব্য ‘লায়লী-মজনু’ এর ভাবানুবাদ। মূল কাহিনির উৎস আরবি লোকগাঁথা, যা সারা বিশ্বে পরিচিত প্রেমকাহিনি।
-
কাব্যের প্রধান চরিত্র: কায়েশ (মজনু) ও লায়লী।
-
কাব্যটি রচনা করেছেন দৌলত উজির বাহরাম খান, ফারসি কবি জামীর লায়লী-মজনু কাব্যের ভাবানুবাদ ও স্বাধীন রচনার সংমিশ্রণে।
-
কাহিনি সংক্ষেপে:
-
আমির-পুত্র কায়েশ বাল্যকালে বণিক কন্যা লায়লী-এর প্রেমে পড়ে।
-
কায়েশ প্রেমে এত আবেগময় হয় যে তাকে মজনু বা পাগল বলা হয়।
-
লায়লীও মজনুর প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করে।
-
তাদের বিবাহে প্রবল বাধা সৃষ্টি হয়; মজনু বনজঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়, লায়লী অন্যত্র বিবাহিত হলেও তার মন মজনুর প্রতি স্থির থাকে।
-
দীর্ঘ বিরহের শেষে তাদের মৃত্যু ঘটে করুণভাবে।
-
-
কাব্যের বৈশিষ্ট্য:
-
এটি কাব্যরস, লিপিচাতুর্য, ভব্যতা ও শালীনতায় সমৃদ্ধ।
-
রচনার রীতি গতানুগতিক, কিন্তু কবিত্বশক্তি ও ভাব প্রকাশে সফল।
-
-
ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মতে, ষোড়শ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে সমকক্ষ কাব্য বিরল।

0
Updated: 5 days ago