'চিনিপাতা' — কোন সমাসের উদাহরণ?
A
দ্বন্দ্ব
B
তৎপুরুষ
C
বহুব্রীহি
D
কর্মধারয়
উত্তরের বিবরণ
• তৎপুরুষ
সমাস:
সমস্যমান পদের বিভক্তি ও
সন্নিহিত অনুসর্গ লােপ পেয়ে যে
সমাস হয়, তার নাম
তৎপুরুষ সমাস। এই সমাসে পরপদের
অর্থ প্রাধান্য পায়।
⇒ বিভক্তি
লােপ পাওয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ:
- দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত।
- ছেলেকে ভুলানাে = ছেলে-ভুলানাে।
⇒ সন্নিহিত
অনুসর্গ লােপ পাওয়া তৎপুরুষ
সমাসের উদাহরণ:
- মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা।
- চিনি
দিয়ে পাতা = চিনিপাতা।
⇒ কিছু
ক্ষেত্রে বিভক্তি লােপ পায় না,
এসব তৎপুরুষ সমাসের নাম অলুক তৎপুরুষ।
যেমন-
- গরুর গাড়ি = গরুরগাড়ি।
- তেলে ভাজা = তেলেভাজা।

0
Updated: 7 hours ago
"বার"— শব্দের 'র' কোন ধরনের ধ্বনি?
Created: 7 hours ago
A
ঘর্ষণজাত ধ্বনি
B
তাড়নজাত ধ্বনি
C
কম্পনজাত ধ্বনি
D
পার্শ্বিক ধ্বনি
• "বার"
শব্দের ‘র’ হলো → কম্পনজাত ধ্বনি।
-------------------
• কম্পনজাত ধ্বনি:
জিভ কম্পিত হয়ে বা দন্তমূল
বারবার আঘাত করে উচ্চারিত
হয় বলে এ-জাতীয়
ব্যঞ্জনগুলিকে বলে কম্পনজাত। এ
শ্রেণির বাংলা ব্যঞ্জন একটি /র/।
যেমন- বার, ধার।
----------------------
অন্যদিকে,
• তাড়নজাত ধ্বনি:
জিভ উলটিয়ে এ ধ্বনি তৈরি
হয়। উচ্চারণের সময় জিভের সামনের
অংশ উপরের শক্ত তালুতে একটিমাত্র
টোকা দেয় বলে এগুলিকে
টোকাজাত ধ্বনিও বলে। এ জাতীয়
বাংলা প্রতিবেষ্টিত ব্যঞ্জন দুটি: ড় ও ঢ়
। যেমন- ধড়ফড়, বাড়, গাঢ়, নিগূঢ়।
• ঘর্ষণজাত
ধ্বনি:
এ ধ্বনি উচ্চারণের সময় দুটি বাগযন্ত্র
খুব কাছাকাছি আসে; কিন্তু একসঙ্গে
যুক্ত হয় না। ফলে
বাতাস বাধা পায় ও
সংকীর্ণ পথে বের হওয়ার
সময় ঘর্ষণের সৃষ্টি করে বলে এগুলি
ঘর্ষণজাত ধ্বনি বলা হয়। উচ্চারণস্থান
অনুযায়ী বাংলা ঘর্ষণজাত ধ্বনি হচ্ছে দন্তমূলীয়/স্/ বস্তু, কাস্তে,
তালব্য /শ/ দাশ, রাশ,
হ্রাস, কণ্ঠনালীয়: /হ/ হাট, হনহন।
• পার্শ্বিক
ধ্বনি:
বাতাস জিভের এক পাশ বা
দু-পাশ দিয়ে বেরিয়ে
যায় বলে এসব ব্যঞ্জনকে
বলে পার্শ্বিক। বাংলায় এ শ্রেণির ধ্বনি
একটি: ল। যেমন- তাল,
শাল।

0
Updated: 7 hours ago
“ব্যাকরণ” কোন ভাষার শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
বাংলা
B
পর্তুগীজ
C
হিন্দি
D
সংস্কৃত
ব্যাকরণ = বি + আ + কৃ + অন। ব্যাকরণ শব্দটির বুৎপত্তিগতগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ।

0
Updated: 2 weeks ago
বৈষ্ণব পদাবলিতে 'শৃঙ্গার রস'কে কী নামে ডাকা হয়?
Created: 1 month ago
A
মধুররস
B
সখ্যরস
C
দাস্যরস
D
শান্তরস
বৈষ্ণব পদাবলি
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এ ধারার প্রথম পদকর্তা হিসেবে বাঙালি কবি জয়দেব পরিচিত। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য, যা রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত এবং সংস্কৃত ভাষায় লিখিত, আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন হিসেবে গণ্য হয়।
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন। বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেন চণ্ডীদাস।
বৈষ্ণব পদাবলিতে কৃষ্ণের প্রধান প্রেমিকা শ্রীরাধা নায়িকা হিসেবে চিত্রিত। পদাবলিতে নায়িকার আটটি অবস্থা রয়েছে।
এই কাব্যে মোট পাঁচটি রস বিদ্যমান—
-
শান্তরস
-
দাস্যরস
-
সখ্যরস
-
বাৎসল্যরস
-
মধুররস (মধুররসকে শৃঙ্গার রসও বলা হয়)

0
Updated: 1 month ago