'বকেয়া' এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
A
গ্রহণ
B
প্রসারণ
C
হৃদ্যতা
D
অগ্রিম
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় বিভিন্ন শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ জানা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বিপরীতার্থক রূপ দেওয়া হলো।
-
‘বকেয়া’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: অগ্রিম
-
‘বর্জন’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: গ্রহণ
-
‘আকুঞ্চন’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: প্রসারণ
-
‘হৃদ্যতা’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: কপটতা
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ:
-
‘গৃহী’ ↔ ‘সন্ন্যাসী’
-
‘নির্মীলিত’ ↔ ‘উন্মীলিত’
-
‘সিক্ত’ ↔ ‘শুষ্ক’
-
‘সুলভ’ ↔ ‘দুর্লভ’
-
‘সন্ধি’ ↔ ‘বিবাদ’, ‘বিগ্রহ’
-
‘হরদম’ ↔ ‘কদাচিৎ’
-
‘হাজির’ ↔ ‘গরহাজির’
0
Updated: 1 month ago
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পদ্মাবতী
B
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
C
মেঘনাদবধ কাব্য
D
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন তাঁর রচিত পদ্মাবতী নাটকে (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)। তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্থ হলো তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
-
তিনি একজন খ্যাতিমান মহাকবি ও নাট্যকার।
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী সাগরদাঁড়ি গ্রামে।
-
তিনি বাংলা ভাষায় সনেট প্রবর্তনকারী কবি।
-
বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন তিনিই।
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ দ্য ক্যাপটিভ লেডি, যা ইংরেজি ভাষায় রচিত।
তাঁর প্রধান কাব্যসমূহ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
তাঁর রচিত নাটক:
-
শর্মিষ্ঠা
-
পদ্মাবতী
-
কৃষ্ণকুমারী
-
মায়াকানন
তাঁর রচিত প্রহসন:
-
একে কি বলে সভ্যতা
-
বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ
অতিরিক্ত তথ্য: মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে পাশ্চাত্য কাব্যরীতি ও ধ্রুপদি কাব্যধারার সমন্বয় ঘটান। বিশেষ করে তাঁর মেঘনাদবধ কাব্য বাংলা মহাকাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 1 month ago
"আ + উ = ও"- সন্ধি বিচ্ছেদের এই নিয়মে গঠিত শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দীর্ঘোচ্চারণ
B
কথোপকথন
C
গঙ্গোর্মি
D
নবোঢ়া
• স্বরসন্ধির নিয়ম:
বাংলা ভাষায় দুটি পদ একত্রিত হলে কিছু নির্দিষ্ট স্বরধ্বনি পরিবর্তন ঘটে। বিশেষত, প্রথম পদের শেষের অ-ধ্বনি বা আ-ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম উ বা ঊ ধ্বনির সংযোগে ও-ধ্বনি সৃষ্টি হয়। বানানে এটি ও-কারের রূপ হিসেবে প্রকাশ পায়।
উদাহরণসমূহ:
-
অ + উ = ও:
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
অ + ঊ = ও:
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
আ + উ = ও:
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
আ + ঊ = ও:
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
সংক্ষেপে:
অ/আ + উ/ঊ → ও-কার (যথাযথভাবে মিলিত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়)।
0
Updated: 1 month ago
আঞ্চলিক ভাষার অপর নাম কী?
Created: 1 month ago
A
কথ্যভাষা
B
উপভাষা
C
সাধুভাষা
D
চলিত ভাষা
আঞ্চলিক ভাষার অপর নাম উপভাষা। বাংলা ভাষার মোট আঞ্চলিক ভাষা ৫ টি।
0
Updated: 1 month ago