নিচের কোন পদকর্তা চর্যাপদের প্রথম পদটির রচিয়তা?
A
কাহ্নপা
B
ভুসুকুপা
C
শবরপা
D
লুইপা
উত্তরের বিবরণ
লুইপা চর্যাপদের প্রথম পদের রচয়িতা এবং তাঁকে আদি সিদ্ধাচার্য হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলা সাহিত্যের সূচনালগ্নে তাঁর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
লুইপা চর্যাপদের প্রথম ও ঊনত্রিশতম পদ রচনা করেছিলেন।
-
তাঁকে চর্যাপদের আদি সিদ্ধাচার্য বলা হয়।
-
তিনি সংস্কৃত ভাষায়ও গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যার সংখ্যা চারটি।
-
তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম হলো ‘অভিসময় বিভঙ্গ’।
-
চর্যাপদের প্রথম পদ “কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল। চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।। ” লুইপার রচনা।
0
Updated: 1 month ago
বৈষ্ণব পদাবলি কোন চরিত্রের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত?
Created: 2 months ago
A
লক্ষ্মী-নারায়ণ
B
উমা-মহেশ্বর
C
রাধা-কৃষ্ণ
D
সীতা-রাম
বৈষ্ণব পদাবলি
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম গৌরব হলো বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত এই অমর কবিতাগুলো বাংলাদেশে শ্রীচৈতন্যদেব প্রচারিত বৈষ্ণব মতবাদের প্রসারে ব্যাপক বিকাশ লাভ করে।
মধ্যযুগের সাহিত্যধারাগুলোর মধ্যে বৈষ্ণব সাহিত্যধারা পরিমাণ ও গুণ—উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ।
বৈষ্ণব সাহিত্য মূলত তিন প্রকার—
-
জীবনীকাব্য
-
বৈষ্ণব শাস্ত্র
-
বৈষ্ণব পদাবলি
0
Updated: 2 months ago
পারস্যের কবি জামী রচিত কাব্যের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পদ্মাবতী
B
ইউসুফ-জোলেখা
C
গুলে বকাওলী
D
মধুমালতী
ইউসুফ-জোলেখা কাব্যটি শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যে এই ধারার প্রথম কাব্য হিসেবে বিবেচিত। এটি মূলত পারস্যের কবি জামী রচিত 'ইউসুফ জোলেখা' কাব্যের বাংলা অনুবাদ ও স্বাধীন রচনার সংমিশ্রণ।
-
কাব্যের রচনা গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ-এর রাজত্বকালে।
-
কাহিনির উৎস: বাইবেল ও কোরান; এছাড়াও ইরানের কবি ফেরদৌসি কাব্য রচনা করেছেন।
-
শাহ মুহম্মদ সগীর কোরান ও ফেরদৌসির সূত্র থেকে কাহিনি গ্রহণ করে ইউসুফ ও জোলেখার প্রেমকাহিনি রচনা করেছেন; তিনি বাইবেল পড়েননি।
-
পরবর্তীতে মধ্যযুগের অন্যান্য কবিরাও ইউসুফ-জোলেখা নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন, যেমন আব্দুল হাকিম এবং শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ। তবে প্রথম এবং মূল রচয়িতা ছিলেন শাহ মুহম্মদ সগীর।
0
Updated: 1 month ago
ড. আশুতোষ ভট্টাচার্য লোককথাকে কয় ভাগে ভাগ করেছেন??
Created: 2 months ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
• লোক কথা বা লোক কাহিনী:
গদ্যের মাধ্যমে কাহিনী বর্ণনা করা হলে তাকে লোক কথা বা লোক কাহিনী বলা হয়ে থাকে।
ড. আশুতোষ ভট্টাচার্য লোককথাকে ৩ ভাগ্যে ভাগ করেছেন।
১। রূপকথা,
২) উপকথা,
৩)ব্রতকথা।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 2 months ago