নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
A
ষান্মাসিক
B
স্নেহাষ্পদ
C
নির্নীমেষ
D
পূর্বাহ্ণ
উত্তরের বিবরণ
প্রমিত বাংলা বানানের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে, যেখানে উপসর্গ ও প্রত্যয়ের সংযোগে ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ‘অহ্ন’ প্রত্যয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
-
তৎসম শব্দে ‘অপর, পরা, পূর্ব, প্রা’ ইত্যাদি উপসর্গের সঙ্গে ‘অহ্ন’ প্রত্যয় যুক্ত হলে, ‘অহ্ন’ শব্দের দন্ত্য ‘ন’ পরিবর্তিত হয়ে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
যেমন: অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ, প্রাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ। -
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী, শুদ্ধ বানান হলো ‘পূর্বাহ্ণ’।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বাল্মীকি
B
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
C
মহাশ্মশান
D
মেঘনাদবধ কাব্য
মেঘনাদবধ কাব্য মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য। এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর মহাকাব্য। সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ এর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ কাহিনি অবলম্বন করে ১৮৬১ সালের জুন মাসে তিনি এটি রচনা করেন। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের স্বাধীনতামন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মধুসূদন দত্ত রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক রূপে উপস্থাপন করেন। নয় সর্গে রচিত এই মহাকাব্যে মোট তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা প্রমুখ। সর্গসমূহ: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া। অন্য তথ্য: কায়কোবাদের মহাকাব্য: মহাশ্মশান। সংস্কৃত ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছেন বাল্মীকি।উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
ভাষার মৌলিক অংশ কয়টি?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
ভাষার গঠন ও ব্যাকরণমূলক বিশ্লেষণে শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার এবং অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ যেমন—মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থ ইত্যাদি প্রধান ভূমিকা পালন করে। এই কারণে বাংলা ভাষার মৌলিক অংশ চারটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
-
ধ্বনি (sound)
-
শব্দ (word)
-
বাক্য (sentence)
-
অর্থ (meaning)
ফলে, সব ভাষার ব্যাকরণে মূলত চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা হয়:
-
ধানিতত্ত্ব (Phonology)
-
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology)
-
বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
-
অর্থতত্ত্ব (Semantics)
এই চারটি তত্ত্ব নিয়েই ভাষার ব্যাকরণের কাঠামো গড়ে উঠেছে।
0
Updated: 1 month ago
কুসুমকুমারী দাশ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 4 weeks ago
A
বরিশাল
B
ঢাকা
C
পটুয়াখালী
D
কুমিল্লা
কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন বাংলা কাব্যজগতের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যিনি মূলত নৈতিক শিক্ষা, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধের কবিতা রচনার মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। তিনি বরিশাল জেলার সন্তান এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি জীবনানন্দ দাশের জননী।
-
কুসুমকুমারী দাশ ১৮৮২ সালে বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন জীবনানন্দ দাশের মাতা এবং সাহিত্যচর্চায় অনুপ্রেরণার এক গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
-
তাঁর মৃত্যু ঘটে ১৯৪৮ সালে।
-
তিনি শুধু কবি নন, একজন গদ্যকার ও শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
-
তাঁর রচিত গদ্যগ্রন্থের নাম ‘পৌরাণিক আখ্যায়িকা’, যেখানে পৌরাণিক কাহিনি সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
শিশুদের জন্য তিনি ‘কবিতা মুকুল’ নামে একটি বই রচনা করেন, যা তাঁর শিশুসাহিত্যিক মনন ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।
-
তাঁর কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হতো তৎকালীন জনপ্রিয় পত্রিকা ‘প্রবাসী’, ‘ব্রহ্মবাদী’ ও ‘মুকুল’-এ।
-
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’, যার অমর পঙ্ক্তি—
“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।” -
এই পঙ্ক্তিটি বাংলা সাহিত্যে নৈতিকতা ও কর্মপ্রাধান্যের প্রতীক হিসেবে আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
কুসুমকুমারী দাশের সাহিত্যকর্মে দেশপ্রেম, মানবতা, নৈতিকতা ও সামাজিক শিক্ষার বোধ গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে, যা তাঁকে বাংলা সাহিত্যের এক অনুপ্রেরণামূলক নারী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 4 weeks ago