জীবনানন্দ দাশের “আবার আসিব ফিরে” কবিতায় কাকে ‘শাদা ছেঁড়া পালে’ দেখা যায় ?
A
এক বৃদ্ধ মাঝিকে
B
এক শিকারিকে
C
এক কিশোরকে
D
এক জেলেকে
উত্তরের বিবরণ
‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। এটি জীবনানন্দ দাশ রচিত এবং তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘রূপসী বাংলা’ থেকে সংগৃহীত। কবিতাটিতে কবি মৃত্যুর পরও বাংলার মাটিতে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
-
রচয়িতা: জীবনানন্দ দাশ
-
কাব্যগ্রন্থ: রূপসী বাংলা
-
প্রকাশকাল: ১৯৫৭ সাল
-
কবিতার বৈশিষ্ট্য: কবি মানুষের রূপে না হলেও বাংলার প্রকৃতি, পাখি বা প্রাণীর বেশে আবার ফিরে আসার কথা বলেছেন। তিনি ধানসিড়ি নদীর তীর, বাংলার পাখি, প্রকৃতি, শিশুর খেলা—সবকিছুর মধ্যেই নিজেকে খুঁজে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
-
এই কবিতায় উল্লেখ আছে যে, এক কিশোরকে এক শাদা ছেঁড়া পালে দেখা যায়।
‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ:
-
জীবনানন্দ দাশ রচিত অন্যতম কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
-
এর কবিতাগুলো প্রধানত সনেট আকারে রচিত।
-
বাংলার গ্রাম-প্রকৃতি, নদী-নালা, পশু-পাখি, উৎসব-অনুষ্ঠান কাব্যের মূল বিষয়বস্তু।
-
‘আবার আসিব ফিরে’ এ গ্রন্থের বিখ্যাত কবিতা।
জীবনানন্দ দাশ
-
কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল।
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম।
-
পিতা: সত্যানন্দ দাশ, স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক।
-
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ, একজন কবি।
উপাধি
-
ধূসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি
উল্লেখযোগ্য রচনা
কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরা পালক (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সুতীর্থ
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
কবিতার কথা
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদ মূলত কোন ধর্মের সাধকরা রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
শাক্ত সাধক
B
বৈষ্ণব সাধক
C
বৌদ্ধ সহজিয়া
D
জৈন সাধক
"চর্যাপদ: বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন" সম্পর্কিত তথ্য-
আবিষ্কার:
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী — ১৯০৭ সালে — নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
• পরবর্তীতে, ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগ্চী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
চর্যাপদের পরিচয়:
• চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার — প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
• এটি বাংলা সাহিত্যের — আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
• চর্যাগুলো রচনা করেন — বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
• চর্যাপদে — বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও দার্শনিক চিন্তাধারা ফুটে উঠেছে।
• চর্যাপদের ভাষায় বাংলা, অর্ধমাগধী, প্রাকৃত, সংস্কৃত ও দেশজ শব্দের মিশ্রণ আছে।
অনুবাদ:
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন — কীর্তিচন্দ্র।
• এই অনুবাদের সূত্রেই চর্যাপদ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জানা যায়।
0
Updated: 1 month ago
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত নন কে?
Created: 2 months ago
A
চণ্ডীচরণ মুনশী
B
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
C
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
D
তারিণীচরণ মিত্র
✦ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
প্রতিষ্ঠা:
-
লর্ড ওয়েলেসলী, ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন।
ভাষা বিভাগ:
-
বাংলাসহ ভারতের বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা ও প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
-
উইলিয়ম কেরীকে স্থানীয় ভাষা বিভাগের প্রধান নিয়োগ করা হয়।
-
১৮০১ সালের মে মাসে উইলিয়ম কেরী বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
-
১৮০৫ সালের মধ্যে কলেজে মোট ১২টি অনুষদ খোলা হয়।
বাংলা সাহিত্যে অবদান:
-
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা গদ্যের প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ ঘটে।
-
এখানে পণ্ডিত ও অনুবাদকরা বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক, অনুবাদ ও মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
-
বাংলা গদ্যের আদিরূপ গড়ে ওঠে।
প্রধান পণ্ডিতগণ:
-
উইলিয়ম কেরী
-
রামরাম বসু
-
গোলকনাথ শর্মা
-
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
তারিণীচরণ মিত্র
-
রাজীবলочন
-
চণ্ডীচরণ মুনশী
-
হরপ্রসাদ রায় প্রমুখ
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'কবি-কাহিনী' কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 months ago
A
অমিত্রাক্ষর
B
স্বরবৃত্ত
C
অক্ষরবৃত্ত
D
মাত্রাবৃত্ত
‘কবি-কাহিনী’ কাব্যগ্রন্থ
-
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশকাল: ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
প্রকাশের মাধ্যম: ‘ভারতী’ পত্রিকায় পৌষ-চৈত্র ১২৮৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়
-
রচনা শৈলী: নাতিদীর্ঘ কাব্য, অমিত্রাক্ষর ছন্দে, বিন্যাসে পয়া ও ত্রিপদী উভয় ধরনের
-
গঠন: চার সর্গে বিভক্ত
-
প্রধান চরিত্র: নায়ক – এক কবি, নায়িকা – নলিনী
-
বিষয়বস্তু: নলিনীর মৃত্যু ও নায়কের বিশ্বপ্রেম উপলব্ধি
-
বিশেষত্ব: রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ, কাব্যের নায়ককে কবির নিজের সাথে তুলনা করা হয়, নাটকীয়তা নেই
0
Updated: 2 months ago