A
জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর
B
জাতীয় জাদুঘর
C
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
D
ঢাকা নগর জাদুঘর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জাদুঘরসমূহের ইতিহাস
বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর হিসেবে পরিচিত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, যা ১৯১০ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি স্থাপনে দিঘাপতিয়া রাজপরিবারের কুমার শরৎকুমার রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর পর ১৯২৫ সালে বলধার নরেন্দ্রনারায়ণ রায় চৌধুরী ঢাকায় বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বলধা জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকায় ১৯১৩ সালে ঢাকা মিউজিয়াম গড়ে ওঠে যা বাংলাদেশের প্রাচীনতম সংগ্রহশালা গুলোর মধ্যে একটি।
১৯৫৭ সালে নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে প্রথমবারের মতো একটি কক্ষে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর স্থাপন করা হয়। একই বছর, কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ‘কুঠিবাড়ি’ সংরক্ষিত সৌধ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং পরবর্তীতে এটি একটি ব্যক্তিগত স্মৃতিসংরক্ষক জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়।
অবশেষে, ১৯৮৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, যা দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকার কোন এলাকায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
সেগুনবাগিচা
B
ধানমণ্ডি
C
মগবাজার
D
বনানী
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হলো বাংলাদেশের একমাত্র জাদুঘর যা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত। এটি শুধু একটি জাদুঘর নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, ত্যাগ ও গৌরবময় ইতিহাস সংরক্ষণের এক অনন্য স্থান।
প্রতিষ্ঠা ও প্রাথমিক অবস্থান
১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ, ঢাকার সেগুনবাগিচায় একটি পুরাতন দ্বিতল ভবনে এই জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়। তখনকার সেই ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলা জাদুঘরটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা দুর্লভ দলিল, ছবি, অস্ত্র এবং স্মৃতিচিহ্নের সমাহার দিয়ে দর্শনার্থীদের মন জয় করেছিল।
স্থানান্তর ও নতুন ভবন:
ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৃহত্তর পরিসরে জাদুঘরের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল, আগারগাঁওয়ে নির্মিত নিজস্ব নতুন ভবনে জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এটি ঢাকার এফ-১১/এ-বি, সিভিক সেক্টর, আগারগাঁও এলাকায় অবস্থিত।
জাদুঘরের গুরুত্ব
-
এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক ইতিহাস সংরক্ষণের কেন্দ্রস্থল।
-
জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের নানা দুর্লভ বস্তু, ছবি, নথি ও ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।
-
নতুন ভবনটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত, যাতে গবেষণা, প্রদর্শনী ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
এই জাদুঘর শুধু ইতিহাস জানার স্থান নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
উৎস: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago